×

সারাদেশ

গো-খাদ্যের সংকটে দিশেহারা খামারিরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২০, ০৮:৩১ পিএম

গো-খাদ্যের সংকটে দিশেহারা খামারিরা

গো-খাদ্য। ছবি: প্রতিনিধি

কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা দুটিতে দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট। জুলাই মাসের ভয়াবহ বন্যায় নিচু ভূমিতে দীর্ঘদিন জলাবন্ধতা সৃষ্টি ও সংরক্ষিত ধানের খড় নষ্ট হওয়ায় এ সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় রোপা আমনের বীজ তলাও নষ্ট হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে রোপা আমন চাষ করতে পারছেনা দু’টি উপজেলার কৃষকরা।

সরেজমিনে বলদমারা নৌকা ঘাটে দেখা যায়, ছোট ছোট খড়ের ১ শত আটি ১ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ১ শত আটি খড়ের মূল্য আগে ছিল ১ শত টাকা। ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ব্রম্মপুত্র নদ, সোনাভরী, জিঞ্জিরাম নদী, হলহলিায়া নদীর পানি উপচে জুলাই মাসে সৃষ্ট বন্যায় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ৯০ শতাংশ এলাকায় বন্যার পানিতে নিমিজ্জিত হয়। ফলে গো-চারণ স্থানগুলো দীর্ঘদিন জলে ডুবে থাকে। বর্তমানে অনেক এলাকার নিম্নাঞ্চলে পানি জমে আছে।

নষ্ট হয়ে যায় উৎপাদিত ঘাস ও ধানের খড়। ওইসব এলাকার গবাদি পশুকে মাঠে চড়াতে না পেরে কৃষক ও খামারিদের নিকট সংরক্ষিত থাকা খড় খাওয়ানো শেষ হয়ে যায়। আকাশ ছোয়া খড়ের দামে বিপাকে পড়েছে কৃষক ও খামারিরা।

উপজেলার বাইটকামারী গ্রামের কৃষক লোকমান হোসেন জানান, আমার ৫টি গরু রয়েছে। গবাদিপশুর ১ বছর খাদ্য খড় সংরক্ষণ করে রেখে ছিলাম। কিন্তু বন্যার পানিতে খড় নষ্ট হয়ে গেছে। এখনো পতিত জমি ও মাঠে পানি ঘাস না থাকায় গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে আছি।

উপজেলার পাখিউড়া গ্রামের হাবিবুর রহমান জানান, নিম্নাঞ্চল দীর্ঘদিন থেকে পানি জমে থাকায় ঘাস নেই। বন্যায় খড় নষ্ট হওয়ায় খড়ের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। গরু বাঁচিয়ে রাখতে ৫ শত টাকার খড় ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. এটিএম হাবিবুর রহমান বলেন, উপজেলায় সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় কৃষক ও খামারিদের সংরক্ষিত খড় ও ঘাস চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখনো কিছু কিছু নিম্নাঞ্চলে পানি রয়েছে। যে কারণে গো-খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা পরামর্শ দিচ্ছি ,পতিত জমিতে ঘাস চাষ করার জন্য। অন্যান্য বছর কিছু প্রকল্পে পশু খাদ্য বরাদ্দ থাকে। যা কৃষক ও খাামারিদের মাঝে বিতরণ করি। এবার আমাদের কোনো বরাদ্দ নেই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App