অনুমতি ছাড়াই সরকারি কলেজের গাছ কাটল অধ্যক্ষ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২০, ০৬:১১ পিএম
ফাইল ছবি
খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান ভবনের সামনে থাকা মূল্যবান সেগুন, কড়ই, জামসহ ৮টি গাছ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই কেটে ফেলেছে। গাছগুলো কাটা হয় জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রথম দফায় খাগড়াছড়ি বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে শিক্ষক ডরমেটরিতে বেশ কয়েকটি গাছ গত বছরের ডিসেম্বরে কেটে ফেলা হয়। কিন্তু চলতি বছরের জুলাই মাসে রাষ্ট্র বিজ্ঞান ভবনের সামনে থাকা গাছগুলো কাটতে জেলা প্রশাসনের এমনকি বন বিভাগের কারো কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো গাছ কাটতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগে।
অধ্যক্ষ প্রফেসর শাহ আহম্মদ নবী বলেন, গাছ কাটতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতির প্রয়োজন পড়ে না।
পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন কমিটির সভাপতি ও সাংবাদিক প্রদীপ চেীধুরী বলেন, মুজিব বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সারাদেশে যখন এক কোটি গাছের চারা লাগানো হচ্ছে তখন খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজে করোনার ভয়াবহকালে চলছে নীরব বৃক্ষ নিধন। পাহাড়ে বৃক্ষ নিধনে পরিবেশের ভারসাম্য হারাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের এক প্রভাষক জানান, প্রায় বিশ থেকে বাইশ বছর আগে গাছগুলো লাগিয়ে ছিলেন এই কলেজে এক সময় কর্মরত মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক শেখর দস্তিদার। গাছগুলো কেটে ফেলার পর গাছের গোড়া বাঁধানো ছিল। ছাত্রছাত্রীরা সেখানে বসত।
ফেসবুকে লেখালেখি এবং সাংবাদিকরা যোগাযোগ করার পর গাছের গুড়িগুলো তুলে প্রমাণ নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে এমন অভিযোগ ছাত্রছাত্রীদের। রসায়ন বিভাগের জন্য ভবনের নকশাবহির্ভূত একটি কক্ষ বাড়ানো হয় সেখানেও সাবেক অধ্যক্ষ দিলীপ কুমার দাস এর লাগানো গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শাহ আহম্মদ নবী এ বিষয়ে বলেন ,গাছগুলো মরে যাচ্ছিল তাই কেটে ফেলা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতির প্রয়োজন পড়ে না। বিধায় অনুমতি নেয়া হয়নি।
খাগড়াছড়ি বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সারওয়ার আলম বলেন, কলেজের গাছ কাটার বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রফেসর ড.শাহ মো. আমির আলী বলেন, যেকোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটতে জেলা প্রশাসন ও বন পরিবেশ রক্ষা কমিটির অনুমতি নিয়ে গাছ কাটতে হয়। অনুমতি না নিয়ে গাছ কাটতে পারবে না।