×

জাতীয়

উষ্ণতা ছড়াল ভ্যাকসিন কূটনীতি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২০, ০৮:৪৭ এএম

উষ্ণতা ছড়াল ভ্যাকসিন কূটনীতি

রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে গতকাল পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। ছবি: ভোরের কাগজ।

‘ভ্যাকসিন কূটনীতি’ দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে উষ্ণতা আনার চেষ্টা করল ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার আচমকা ঢাকা সফরে দুপক্ষই উপলব্ধি করে এই উষ্ণতার তাগিদ। সহযোগিতার মনোভাবও স্পষ্ট।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বে যাতে কোনো ভুল বোঝাবুঝি না হয়, অন্য কোনো দেশের কর্মকাণ্ডে এই বন্ধুত্বে যাতে ফাটল না ধরে- সেটা নিশ্চিত করতেই ঢাকায় পাঠানো হয় শ্রিংলাকে। তার এই সফর নিয়ে কঠোর গোপনীয়তা থাকলেও এটাকে একটা ‘ব্রেকথ্রুু’ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনও। এর ফলে দুদেশই ‘খুশি’ বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, দুদেশের সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করতে যে গোপনীয়তায় ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফরসূচি তৈরি হয়েছে তাতে কোনো ঐতিহ্য কিংবা রেওয়াজের ধার ধারেনি কোনো পক্ষই। ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব দিল্লি থেকে দেশটির বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমানে মঙ্গলবার ঢাকায় আসেন। ঢাকার কোনো কর্মকর্তা তাকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে যাননি। ঢাকায় নেমেই তিনি ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন। তারপর সন্ধ্যায় গণভবনে গিয়ে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। ওই বৈঠকের সময়সূচি নিয়েও ধোঁয়াশা ছিল। অবশ্য বৈঠকের বিষয়ে কোনো কিছু জানানো না হলেও ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, পররাষ্ট্র সচিবের আচমকা ঢাকা সফর এবং বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুশি হয়েছেন।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, শুধু বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দেয়ার বিষয়ে কথা বলার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শ্রিংলার মতো একজন শীর্ষস্থানীয় ক‚টনীতিককে ঢাকায় পাঠাননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মূলত বাংলাদেশের ভালোবাসা পাওয়ার জন্যই নরেন্দ্র মোদির এ আয়োজন। শ্রিংলার এই সফরের আগে তৃতীয় কোনো পক্ষ বা কোনো দেশ রয়েছে, যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দূতিয়ালি করেছে। তৃতীয় ওই পক্ষের দূতিয়ালির কারণেই দুদেশের উচ্চ পর্যায় থেকে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর ঠিক হয়েছে এবং দুদেশ সম্পর্ক উষ্ণ করতে রাজি হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে শ্রিংলা ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন ‘গণভবনে’ যে বৈঠক করেন তার কোনো সূচি প্রধানমন্ত্রীর দৈনন্দিন তালিকায় ছিল না। সেই বৈঠকের কোনো খবরও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে প্রকাশ হয়নি। তবে চীন-পাকিস্তান বলয় যাতে বাংলাদেশে শক্তিশালী হতে না পারে; তার প্রতিশ্রুতি শ্রিংলা ঢাকা থেকে নিয়ে গেছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, শ্রিংলা এর আগে ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার ছিলেন এবং তিনি বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়। সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে তার এই ইতিবাচক ভাবমূর্তিকেই কাজে লাগিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।

বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, মোদির বিশেষ বার্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দিয়েছেন শ্রিংলা। ঘণ্টাব্যাপী চলা ওই বৈঠকে শ্রিংলা কী শুধু শেখ হাসিনার কাছে বিশেষ বার্তাই তুলে দিয়েছেন? মূলত একঘণ্টা ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে উভয় দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে কথা হয়েছে শ্রিংলার। ভ্যাকসিনের নাম করে চীনকে ঠেকানোর কথা আলোচনায় উঠে এসেছে।

এদিকে গত সপ্তাহে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, চীনের ভ্যাকসিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। গত সোমবার সেই আলোচনা হওয়ার কথা থাকলেও সেটি হয়নি। এমনকি গত একসপ্তাহ ধরে চীনের ভ্যাকসিন নিয়ে বাংলাদেশে কোনো আলোচনাই নেই। এরকম পরিস্থিতিতে শ্রিংলার সফর থেকে অক্সফোর্ডের মাধ্যমে ভারতে যে ভ্যাকসিনটি প্রস্তুত হচ্ছে সেই ভারতীয় ভ্যাকসিনের কথা আলোচনা হচ্ছে। এছাড়া তিস্তায় একটি বাঁধ নির্মাণকে কেন্দ্র করে চীনের দেয়া এক বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়ার প্রস্তাব নিয়েও ভারত উদ্বিগ্ন বলে জানা গেছে। তিস্তা নদীর পানি ভাগ করে নেয়ার বিষয়টি নয়াদিল্লি ও ঢাকার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত ইস্যু হিসেবে ঝুলে আছে। ভারত ও বাংলাদেশ তিস্তার পানি-ভাগাভাগি চুক্তি প্রায় চ‚ড়ান্ত করেছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহযোগিতা না করায় এটি আটকে যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার সফরে বাংলাদেশকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বিষয়টি সমাধান করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত এর অগ্রগতি হয়নি। নদীটি সিকিম থেকে উদ্ভূত হয় ও অবশেষে আসামের ব্রহ্মপুত্র এবং বাংলাদেশের যমুনার সঙ্গে মিশে যাওয়ার আগে পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে যায়।

এরকম পরিস্থিতিতে, শুষ্ক মৌসুমের জন্য বাংলাদেশ তিস্তায় জলাধর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। সেই জলাধার নির্মাণের জন্য এরই মধ্যে চীন এক বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়ার প্রস্তাব করেছে। এই খবরটি ভারতের কাছে সবচেয়ে অস্বস্তির কারণ। এরকম জলাধার নির্মাণ করা হলে বাংলাদেশে যেমন শুকনো মৌসুমে পানির সমস্যা হবে না; ঠিক তেমনিও ভারতের কাছেও তিস্তার পানি নিয়ে বাংলাদেশের ধর্ণা দিতে হবে না। এটি ভারতের জন্যও মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর এ কারণেই ভারত এরকম জলাধারের ব্যাপারে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে।

বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কও নতুন মাত্রা লাভ করেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে চীনা অংশীদারিত্ব বাড়ছে। করোনা সংকটেও ভারতের চেয়ে বেশি সহযোগিতা করছে চীন।

চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের এই অতিঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নয়াদিল্লি মেনে নিতে পারছে না। কদিন আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন চাঁচাছোলা ভাষায় বলেছিলেন, ভারতের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক আর চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে বাংলাদেশের। মোদি সরকার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই কথাকেও ভালোভাবে নেয়নি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপ, সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে ঢাকায় পাকিস্তানের নতুন হাইকমিশনারের দৌড়ঝাঁপ নিয়েও ভারত গভীর নজর রাখছে। ভারত চাইছে না, ঢাকায় কোনোভাবেই চীন-পাকিস্তান বলয় শক্তিশালী হোক। আর এ কারণেই তৃতীয় একটি পক্ষকে যুক্ত করে বাংলাদেশের সঙ্গে দূতিয়ালি করা হয়েছে। এই দূতিয়ালির সফল পরিণতি শ্রিংলার অনির্ধারিত ঢাকা সফর।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম বলেছে, দুদেশের যে বিষয়গুলো যৌথ উৎসাহের জায়গা, সেগুলোতে বোঝাপড়া বাড়ানোর জন্য এই সফর। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে আরো বলা হয়েছে, মোদির বার্তা পৌঁছে দেয়া ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মোদির প্রচেষ্টাকে প্রশংসা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, করোনা ভাইরাস সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক যেন অব্যাহত থাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এমন বার্তা নিয়ে আমি বাংলাদেশে এসেছি। তিনি বলেন, গতকাল (১৮ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সন্তোষজনক বৈঠক হয়েছে। তিনি (শেখ হাসিনা) করোনা সংকটে কারো সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন না। কিন্তু আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে শ্রিংলা বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে করোনা ভ্যাকসিন বিনিময়ে কাজ করবে ভারত।

এদিকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সফর খুবই খুশির খবর বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সিলেটে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী। তাদের সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক সম্পর্ক। আমাদের স্বাধীনতায় তারাও রক্ত দিয়েছে। সুতরাং আমরা দুদেশ মিলে অনেক প্রোগ্রাম একসঙ্গে করি। খুবই খুশির খবর যে, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব আমাদের দেশ সফরে এসেছেন। তার সঙ্গে অনেক বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা হবে। করোনার টিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতে করোনার ভ্যাকসিন তৈরির সম্ভাবনা আছে। সেই ভ্যাকসিন আমরা কীভাবে পেতে পারি, সে বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে আলাপ হবে।

যদিও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, কথা হবে। তবুও কী কথা হয়েছে তা সম্পূর্ণই আজানা। দুদেশের গণমাধ্যমে নানা ধরনের রিপোর্ট ছেপেছে। এর মধ্যে আনন্দবাজার পত্রিকা ‘হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বিদেশ সচিব’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরে নরেন্দ্র মোদির জমানায় প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে ভারতের- সেটা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। রিপোর্টে বিশেষজ্ঞদের বরাতে পত্রিকাটি জানায়, মোদির জমানায় প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে ভারতের। গত বছর নাগরিকত্ব আইন বা জাতীয় নাগরিকপুঞ্জিকে কেন্দ্র করে বিজেপি নেতাদের মন্তব্য ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলেছিল। এখন লাদাখে চীন-ভারত স্নায়ু যুদ্ধ চলছে। আর পুরনো সুসম্পর্কের জেরে বাংলাদেশের ওপর ক্রমাগত প্রভাব বাড়িয়ে চলেছে চীন। ভারত-বাংলাদেশ তিস্তা চুক্তি আটকে আছে।

দ্য হিন্দু এক রিপোর্টে বলেছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় দুদেশের সম্পর্কের একটি রোডম্যাপ নিয়ে কথা হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও কিছু বলা হয়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের সঙ্গেও ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের মোলাকাত হয়নি। আসলে কী বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে এসেছিলেন শ্রিংলা তা হয়তো এখনই জানা যাবে না।

তবে মিডিয়া রিপোর্ট এবং ওয়াকিবহাল সূত্রগুলো বলছে, ঢাকায় চীনের উপস্থিতি নিয়েই বেশি উদ্বিগ্ন ভারত। বিশেষ করে তিস্তা প্রকল্পে চীনের এক বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রস্তাবের খবর দিল্লিকে বিচলিত করেছে। চীনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা বাংলাদেশে চালানোর ছাড়পত্র দেয়ায় উদ্বেগের মাত্রা আরো বেড়েছে। সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর প্রকল্পে চীনা অর্থায়নকেও ভারত সন্দেহের চোখে দেখছে। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে চীনের ভূমিকা নিয়েও দিল্লি নানাভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস লিখেছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও হর্ষবর্ধন শ্রিংলার মধ্যকার বৈঠককে ‘চমৎকার’ বা এক্সিলেন্ট বলে অভিহিত করেছেন সূত্রগুলো। করোনা ভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পর প্রথম কোনো বিদেশি অতিথি হিসেবে শ্রিংলাকে স্বাগত জানিয়ে শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভ‚য়সী প্রশংসা করেছেন। দুপক্ষ কীভাবে তাদের সম্পর্ককে সামনে এগিয়ে নিতে পারে সে জন্য দূত পাঠানোয় তিনি মোদির প্রশংসা করেন।

সূত্র আরো বলেছেন, উভয়পক্ষ ব্যবসায়িক, সরকারি ও মেডিকেলবিষয়ক সফরকে অনুমোদন দেয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। একটি জয়েন্ট কন্সালটেটিভ কমিশন শিগগিরই বিভিন্ন প্রকল্প ইস্যুতে সম্পর্কের বিষয়ে বৈঠক হয়েছে। উভয়পক্ষ কানেক্টিভিটি বা সংযুক্তিকে উন্নত করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। সূত্র আরো বলেছেন, আলোচনায় শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরেছেন এবং মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে কথা বলেছেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, ভারত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে সেখানে বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে ভারত যাতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের প্রস্তাবটি উত্থাপন করে সেটি আমরা ভারতের পররাষ্ট্র সচিবকে বলেছি। তিনিও বলেছেন, বিষয়টি উত্থাপন করবেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App