×

সারাদেশ

আশ্রয় কেন্দ্রের মালামাল আত্মসাত মেম্বারের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২০, ০৮:১৬ পিএম

আশ্রয় কেন্দ্রের মালামাল আত্মসাত মেম্বারের

ছবি: প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নে তিন বছর আগে নদী ভাঙা ভূমিহীনদের জন্য সরকারি বরাদ্দে তৈরি করা হয়েছিল নাওশালা আশ্রয় কেন্দ্র। তিন বছর যেতে না যেতেই ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের কবলে পড়ে আশ্রয় কেন্দ্রটি। আশ্রয় কেন্দ্রের ঘরগুলি নদীগর্ভে চলে যাওয়ার উপক্রম হলে সেগুলো ভেঙে ফেলে আশ্রিতরা। ভাঙা মালামাল প্রভাব খাটিয়ে জমা নেয় স্থানীয় ইউপি সদস্য নরুল হক। আশ্রিতদের ঘর ভাঙার মজুরি দেয়ার কথা বলে মজুরি না দিয়ে আত্মসাত করে ওই ইপি সদস্য।

এ ব্যাপারে রাজিবপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো ফল না পেয়ে সাংবাদিক বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দেন। কেন অভিযোগ পেয়েও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি উপজেলা প্রশাসন এমনটাই প্রশ্ন ভুক্তভুগী আব্দুল হকের?

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আশ্রয়কেন্দ্রের ৭৫টি কক্ষের ২২৫টি স্টীলের দরজা , ১৫০টি জানালা, টয়লেটের ৯০টি দরজা, ১৫টি টিউবওয়েল, ১২৭৫টি রঙিন ঢেউটিনসহ অগণিত ইট, রট ও অ্যাঙ্গেল আত্মসাত করেছে নুরুল হক ও তার সহযোগী কুকিল মণ্ডল, আশরাফ আলী, আ. রহিম ও অফিজল হক।

এছাড়া ঘর পাইয়ে দেয়ার নাম করে সহযোগীদের মাধ্যমে ঘর প্রতি ৫ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা করে ঘুষ নেয়া হয়েছে। ঘুষ নিয়েও ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়নি ১৮ জন ভুক্তভুগীকে। পরিবারগুলোর দাবি, আমরা নিঃস্ব, ভাঙা ঘরগুলো আমাদের দিলে উপকার হত। না দিয়ে মেম্বার আত্মসাত করেছে। আমাদের মজুরিও দেয়নি। অভিযোগ দিয়ে বিচারও পাই নি। আমাদের থাকার জায়গাও নেই।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য নুরুল হক বলেন, আমাকে কেউ টাকা দেয় নি। গত বছর যে মালামাল ছিল সেটা বিক্রি করে শ্রমিক মজুরি দিয়ে শেষ হয়েছে। এ বছর কে বা কারা ভেঙে নিয়েছে তা আমি জানি না।

উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নবীরুল ইসলাম জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বর্তমানে আমি ছুটিতে আছি। এসে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App