×

সাময়িকী

আমার গুরু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২০, ০৮:৪৮ পিএম

আমার গুরু

মুর্তজা বশীর

সবাই একদিন চলে যাবে তাদের প্রিয় পৃথিবী ছেড়ে- যেখানে সে ছোটবেলা মায়ের হাত ধরে ধরে ছোট দুটি পায়ে ঘুরে বেড়াত। একটু বড় হয়ে ভাবত আমি বড় হয়ে এমন নাম করবো যে কাগজের প্রথম পাতায় শিরোনাম উঠবে আমার, এমনি চিন্তাধারা ছিল আমাদের প্রিয় স্যার মুর্তজা বশীরের।

‘ঠাণ্ডা মুখের ওপর এমন গাঢ় হয়ে জমে আছে জীবনের শেষ শয্যা, আর কান্নায় কেঁপে উঠছে বিস্তৃত মেঘ।’ সবাই একদিন চলে যাবে তাদের প্রিয় পৃথিবী ছেড়ে- যেখানে সে ছোটবেলা মায়ের হাত ধরে ধরে ছোট দুটি পায়ে ঘুরে বেড়াত। একটু বড় হয়ে ভাবত আমি বড় হয়ে এমন নাম করবো যে কাগজের প্রথম পাতায় শিরোনাম উঠবে আমার, এমনি চিন্তাধারা ছিল আমাদের প্রিয় স্যার মুর্তজা বশীরের। চলে গেলেন তিনিও এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে। আমি যখন ১৯৮৮ সালে university তে fine arts dpl এ ভর্তি হই, তিনি ছিলেন আমাদের Painting-এর শিক্ষক। আমি ভাস্কর্য নিয়ে পড়াশোনা করি ঠিকই কিন্তু লুকিয়ে স্যারের lecture শুনতাম class--এ গিয়ে। আমার বাবা আমাকে বলেছিলেন, পৃথিবীর বিখ্যাত সব Artist এখন তোমার শিক্ষক। মন দিয়ে কাজ শিখবে। আজো যখন কাজ করি স্যারের কিছু মূল্যবান কথা মনে পড়ে যায়। ওনার guide Line আমাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মুনিজা বশীর স্যারের ছোট মেয়ে আমার বাল্যবন্ধু। কিন্তু স্যার সব সময়ে আমাকে তাঁর ছাত্রী হিসেবেই দেখতেন। এই Pandemic এ আমার Mrinmuy art gallery একটি online exhibition আয়োজন করে। মুর্তজা বশীর এই exhibition এ অংশগ্রহণ করেন। সম্ভবত স্যারের শেষ exhibition ছিল। অনেক দিন ফুসফুসের শ্বাসকষ্টে কষ্ট পেয়ে ১৫ আগস্ট আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন স্যার। স্যারের শেষ বাণী আমার মৃন্ময় আর্ট গ্যালারির জন্য দিয়ে গেলেন।

“মৃন্ময় আর্ট গ্যালারি মে মাসের ৮ তারিখে অনলাইনে একটি চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। এখানে বাংলাদেশের শিল্পীরা ছাড়াও নানা দেশের শিল্পীরা অংশগ্রহণ করছে। এখন এই করোনা ভাইরাসের কারণে যেখানে জনসমাগম একসাথে নিষিদ্ধ সেখানে তাই এই অনলাইন এক্সিবিশন। এই অনলাইন এক্সিবিশনে, একটি ফুলের তোড়ায় যেমন নানারকম ফুল থাকে, কোন ফুল সুগন্ধি কোন ফুল গন্ধহীন, ঠিক তেমনি এই প্রদর্শনীর মধ্যে অনেকে খ্যাতিমান, অনেকে নবীন, অনেকে নতুন প্রজন্মের শিল্পী। এদের নিয়েই এই আয়োজন, নিশ্চয় এটি অভিনন্দন যোগ্য। এইযে পুরনো ও নতুনের এই সংমিশ্রণ, এর ফলে পরস্পরের মধ্যে একটি আদানপ্রদান, ভাবের বিনিময় হবে, যা প্রবীণ ও নবীন দুই প্রজন্মেরই শিল্পীদের জন্য প্রয়োজন। আমি অত্যন্ত আনন্দের সাথে এই অনলাইন প্রদর্শনীর উদ্বোধন ঘোষণা করছি। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। আমার বয়স এখন ৮৮ বছর। আমার ফুসফুসের সমস্যা, যার জন্য আমাকে সারাক্ষণ অক্সিজেন নিয়ে থাকতে হয়। আর এই করোনা ভাইরাসের কারণে আমাকে আরো অন্তরীণ থাকতে হচ্ছে। ঠিক যেমন ব্রিটিশ আমলে স্বদেশি যুগের রাজনৈতিক কর্মীদের যেভাবে অন্তরীণ করে রাখা হতো, ঠিক সেইরকম। আমি এই এক্সিবিশনের সাফল্য কামনা করি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App