×

খেলা

রাতে বায়ার্ন-লিঁও মুখোমুখি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২০, ১২:০৫ পিএম

রাতে বায়ার্ন-লিঁও মুখোমুখি

ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করতে শেষ মুহূর্তে অনুশীলনের ঘাম ঝরাচ্ছেন বায়ার্ন মিউনিখের খেলোয়াড়রা।

এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পরপর দুবার চমক দেখিয়েছে ফরাসি ক্লাব লিঁও। প্রথমে তারা রাউন্ড ষোল থেকে বিদায় করে দেয় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর জুভেন্টাসকে। জুভেন্টাসের বিপক্ষে রাউন্ড ষোলতে ২-২ গোলের ড্র করলেও অ্যাওয়ে গোলের হিসাবে কোয়ার্টারে উঠে তারা। তখন অনেকে মনে করেছিল ভাগ্যের জোরে কোয়ার্টারে এসেছিল তারা। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে শক্তিশালী দল ম্যানচেস্টার সিটিকে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে তারা বুঝিয়ে দেয় যে না আমরা ভাগ্যের জোরে আসিনি। শক্তির পরীক্ষা দিয়ে তবেই সেমিতে এসেছি।

আজ বুধবার রাতে তারা সেমিফাইনালে খেলতে নামবে এবারের মৌসুমের শিরোপার সবচেয়ে বড় দাবিদার জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে। যদি লিঁও আজকের ম্যাচটিতে জয় তুলে নিয়ে ফাইনালে যেতে চায় তাহলে তাদের বায়ার্নের আক্রমণ ঠেকাতে হবে আগে। আর যদি তারা বায়ার্নের আক্রমণ প্রতিহত করে দিতে পারে তাহলে তাদের জন্য ম্যাচটি জয় সহজ হয়ে যাবে। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১ টায়।

বায়ার্নের আক্রমণ ভাগের অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পেতে হলে শুধু তাদের এই মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পারফরমেন্সের দিকে তাকালেই হবে। এই মৌসুমে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত বায়ার্ন ৯টি ম্যাচ খেলেছে। আর এই ৯টি ম্যাচ খেলে তারা গোল করেছে ৩৯টি। মাত্র ৯টি ম্যাচে ৩৯টি গোল করা চাট্টিখানি কথা নয়। তারা শুধু কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার বিপক্ষে ৮টি গোল করেছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক আউট পর্বের ম্যাচের ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ড। লিঁও যদি ফাইনালে যেতে চায় তাহলে তাদের একইসঙ্গে বায়ার্নের আক্রমণ প্রতিহত করতে হবে এবং নিজেদের আক্রমণে যেতে হবে। আর তারা যদি বায়ার্নের মূল শক্তি আক্রমণের টুটি চেপে ধরতে পারে তাহলেই তারা ফাইনালে চলে যেতে পারবে। আর নয়তো ফাইনালের টিকেটটা সহজেই বাগিয়ে নেবে বায়ার্ন। অবশ্য ম্যাচ মাঠে গড়ানোর আগেই বেশির ভাগ মানুষ বায়ার্নকে বিজয়ী দল হিসেবে ধরে নিয়েছে। শুধু যে সেমিফাইনালের বিজয়ী তা নয়। এই মৌসুমের শিরোপাজয়ী হিসেবেও বায়ার্নকে এগিয়ে রাখছেন বেশির ভাগ ফুটবল সমর্থক ও ফুটবল বোদ্ধারা।

বায়ার্নকে সবাই এগিয়ে রাখলেও তবে বলে একটি কথা রয়ে যায়। কারণটি হলো বায়ার্ন মিউনিখ ২০১৩ সালে শিরোপা জয়ের পর এই মৌসুমের আগে আরো ৪ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ৪ বারই তারা সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে। এর মধ্যে ২০১৩-১৪ মৌসুম থেকে ২০১৫-১৬ মৌসুম পর্যন্ত টানা ৩ বার সেমিতে খেলেও ফাইনালে জায়গা করে নিতে পারেনি। ফলে সেমিতে গিয়ে তারা যে বারবার আটকে সেটির ভয় ঠিকই রয়ে যায়। ফলে বায়ার্নের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয়ার ব্যাপারটিকে অ্যাডভানটেজ হিসেবে নিতে পারে লিঁও।

তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লিঁওর একটি সমস্যা রয়েছে। তারা ২০১১-১২ মৌসুমের পর এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা ২টি ম্যাচে জয় তুলে নিতে পারেনি। তারা জুভেন্টাসের বিপক্ষে রাউন্ড ষোলর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটিতে হেরেছিল। এরপর কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যানসিটির বিপক্ষে জয় পেয়েছিল। এখন তারা যদি বায়ার্নকে হারাতে পারে তাহলে ২০১১-১২ মৌসুমের পর ফের টানা দুটি ম্যাচে জয় তুলে নিতে পারবে এবং প্রথমবারের মতো ফাইনালে পৌঁছে যেতে পারবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App