বিমানের টিকেট ভোগান্তিতে অভিবাসী শ্রমিক
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২০, ০৭:১৯ পিএম
বাংলাদেশে ১৭ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে দেশের বাইরে কর্মরত আছেন প্রায় ১ কোটি ১৫ লাখ মানুষ। দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি প্রবাসীদের আয়। প্রবাসীদের আয়ের কারণেই বাংলাদেশের রিজার্ভের অঙ্কটাও বেশ শক্তিশালী। করোনা ভাইরাস সারাবিশ্বে তাণ্ডব চালাচ্ছে। লকডাউন ও এই অচলাবস্থার কবলে পড়েছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে জনশক্তি রপ্তানি খাতে। একদিকে প্রবাসে অবস্থানকারী বাংলাদেশিরা পাচ্ছে না সঠিক বেতন আবার অপরদিকে কর্মী ছাঁটাই। আবার অনেকে ৬ বা ৪ মাসের ছুটিতে এসেছিল। করোনা ভাইরাসের কারণে সঠিক সময়ে ফিরতে পারেনি কর্মসংস্থানে। সব মিলিয়ে দুঃখ-দুর্দশায় রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। দীর্ঘ ৫ মাসের এই অচলাবস্থা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। বিপত্তি একদিকে বিমানের টিকেট নিয়ে ভোগান্তি আবার অপরদিকে করোনা পরীক্ষা কোনোটিই যেন মানছে না সঠিক নির্দেশনা। অনেকের অভিযোগ ৩৮ হাজার টাকার টিকেট যদি ৮১ হাজার টাকা দেয়া হয় তবে নাকি মিলছে টিকেট। সিন্ডিকেট বা দালাল শ্রেণি কাজ করছে বিমানের টিকেট নিয়ে। আবার অভিযোগ এসেছে ইকোনমি ক্লাসের টিকেটের আসন নাকি পূর্ণ হয়ে গিয়েছে তাই বেশি টাকা দিয়ে বিজনেস ক্লাসের টিকেট কেনার কথা বলা হচ্ছে। তবে দালালরা আবার ইকোনমি ক্লাসের টিকেট পাচ্ছে। বিমান অফিসে আবুধাবির টিকেটের চাহিদা বেশি। তবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানায়, ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ৪টি ফ্লাইট আছে আবুধাবির। তবে আসন সংখ্যা সংকট। তাই নতুন করে আরো দুটি ফ্লাইটের জন্য আবেদন করেছে সংস্থাটি। আর বিমানের টিকেটপ্রত্যাশী প্রবাসীদের দাবি তাদের জন্য বিশেষ ফ্লাইট বা অতিরিক্ত ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা তা না হলে কর্মসংস্থান হারাতে হবে, বেকার হতে হবে। সেই সঙ্গে করোনা পরীক্ষা নিয়ে যাতে কোনো নাটকীয় অধ্যায় শুরু না হয় তার অনুরোধ প্রবাসীদের। কারণ সঠিক সময়ে করোনা পরীক্ষার ফলাফল না পেলে টিকেটটাই জলে যাবে। প্রবাসীরা যদি সঠিক সময়ে কাজে না ফিরতে পারে তবে তা আমাদের দেশের জন্যও ক্ষতি। কারণ প্রবাসীদের কর্মসংস্থানের অভাব হবে আবার আমাদের অর্থনীতিও হুমকির মুখে পড়বে। সংকটের মুখে পড়বে বাংলাদেশের অর্থনীতি।
শিক্ষার্থী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
[email protected]