কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের কথাও ভাবতে হবে
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২০, ০৭:১৭ পিএম
দেশে কিন্ডারগার্টেন স্কুল আছে প্রায় ৬৫ হাজার। করোনা মহামারিতে প্রায় ৫ মাস ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রায় ১০ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী। বরাবরই ব্যক্তি উদ্যোগের এসব প্রতিষ্ঠান নানামুখী চ্যালেঞ্জ নিয়ে শিক্ষাদান করে গিয়েছে। ভাড়া বাড়ি, চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল শিক্ষক ও ক্লাসরুম, শিক্ষকদের সীমিত সুযোগ-সুবিধার মতো নানান সীমাবদ্ধতার মাঝেও সামর্থ্যরে সবটুকু দিয়ে শিক্ষাগ্রহণের পথে শিশুদের প্রথম হাতেখড়ি দেয়া হয় এসব স্কুলে। করোনার মহামারিতে মানুষ গড়ার এই কারিগরদের এখন এক প্রকার মানবেতর জীবনযাপনই করতে হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ কিন্ডারগার্টেনগুলো। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সরকার থেকে নিয়মিত বেতন পেলেও সম্পূর্ণ নিজস্ব আয়ে চলা কিন্ডারগার্টেনগুলো পড়েছে চরম বিপাকে। স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক বেতন পাচ্ছেন না স্কুল কর্তৃপক্ষ। এতে মাসের পর মাস স্কুল ঘরের ভাড়া থেকে শুরু করে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনও দিতে পারছেন না স্কুলের মালিকরা। দেনা শোধ করতে না পেরে স্কুল বিক্রি করে দেয়ার বিজ্ঞাপনও চোখে পড়েছে কয়েকটি স্থানে। একমাত্র আয়ের এই পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ৪ মাস ধরে বিপাকে আছেন বেতন না পাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীরা। কিন্ডারগার্টেনের এসব শিক্ষক-কর্মচারী এ অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এজন্য কয়েকবার তারা মানববন্ধনও করেছেন। সর্বশেষ গত জুলাইতে ঢাকা, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের ব্যানারে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে। এই মানববন্ধন থেকে শিক্ষকরা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত আর্থিক প্রণোদনা কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের জন্য বরাদ্দ দেয়ার এবং সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করে এই আর্থিক দুরবস্থা থেকে উত্তরণে সরকারি সহায়তার দাবি জানান।
শিক্ষার্থী, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। [email protected]