আগামী ৬ সেপ্টেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশন বসতে চলেছে। এবারের অধিবেশনের মেয়াদও সংক্ষিপ্ত হবে, সংসদের এই নবম অধিবেশনের মেয়াদ মাত্র পাঁচ কার্যদিবস হতে পারে বলে বলে সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে। সোমবার (১৭ আগস্ট) সংসদ সচিবালয়ের আইন শাখার কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে সর্বশেষ ৯ জুলাই চলতি অর্থবছরের বাজেট অষ্টম অধিবেশন শেষ হয়েছিল। ওই অধিবেশনের মেয়াদ ছিল ৯ দিন। সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাংবিধানিক নির্দেশনা মেনে এবারেও নিয়ম রক্ষার্থে সংসদ অধিবেশন বসতে চলেছে ।

সোমবার (১৭ আগস্ট) সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় এক অধিবেশনের শেষ ও আরেক অধিবেশনের শুরুর মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ দিনের বেশি বিরতি দেওয়ার সুযোগ নেই। সেই হিসাবে ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অধিবেশন বসতেই হবে। অন্যথায় সংবিধান লঙ্ঘনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। সেকারণে ৬ সেপ্টেম্বর অধিবেশন বসবে।

এর আগে চলতি বছরের মার্চে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই সপ্তম ও অষ্টম অধিবেশন শেষ হয়েছে। এবারের অধিবেশনেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি মাথায় রেখেই আয়োজন চলছে। বাজেট অধিবেশনের আগে ১৮ এপ্রিল সপ্তম অধিবেশনের মেয়াদ ছিল মাত্র এক দিন। ওই দিন মাত্র দেড় ঘণ্টায় অধিবেশন শেষ হয়, যা ছিল ইতিহাসের সংক্ষিপ্ততম অধিবেশন।

অধিবেশনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি মাথায় রেখে এবারও এক দিনে সর্বোচ্চ ৮০ থেকে ৯০ জন সংসদ সদস্যকে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে এখনও অধিবেশন আহ্বানের প্রস্তাব বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়নি। প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের নির্দেশে কিছু প্রস্তুত রয়েছে। দু এক দিনের মধ্যে তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠান হবে এবং ২-৩ দিনের মধ্যে অধিবেশন সংক্রান্ত নির্দেশনা আসতে পারে রাষ্ট্রপতির নিকট থেকে।

সংসদের কর্মকর্তারা জানান, যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বনের পরও গত (অস্টম) বাজেট অধিবেশন চলাকালে একের পর এক মন্ত্রী ও এমপি করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। এবার ওই পরিস্থিতি ঠেকাতে আরও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি পালনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এবারে সাংবাদিকদের প্রবেশাধীকার দেয়া হতে পারে বলে সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে।