×

সারাদেশ

প্রশাসনের হস্তক্ষেপে নির্ধারিত ভাড়ায় খেয়া পারাপার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২০, ০৩:১৮ পিএম

প্রশাসনের হস্তক্ষেপে নির্ধারিত ভাড়ায় খেয়া পারাপার

বালিয়াতলী খেয়াঘাট

ভোরের কাগজের সংবাদ প্রকাশের জের

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার সাগর কন্যা কুয়াকাটা যাওয়ার বিকল্প সড়ক হিসেবে পরিচিত বালিয়াতলী খেয়াটি এখন সরকার নির্ধারিত চার্টের ভাড়া অনুযায়ী চলছে। কিছুদিন ধরে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিভিন্ন অনিয়ম ও অভিযোগের সংবাদ ভোরের কাগজ ও অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এখন চার্টের নির্ধারিত ভাড়ায় পারাপার হচ্ছে যাত্রীরা। এতে স্বস্তি ফিরে এসেছে খেয়া পারাপারের সাধারণ যাত্রীদের মাঝে। বর্তমান দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি ও সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে কয়েক বছর আগে নির্ধারণ করা চার্টের ভাড়া বৃদ্ধিকরণসহ ভাড়ার তালিকা পরিবর্তনের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন খেয়া ইজারাদার।

ইজারাদার জানান, খেয়া পারাপারের বর্তমান মূল্য তালিকা পরিবর্তন না করলে অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখছেন ইজারাদার কর্তৃপক্ষ। তাদের মতে, খেয়া পারাপারের বর্তমান মূল্য তালিকাটি ২০১৫-১৬ সালে করা হয়েছে। তখনকার সময়ে খেয়া পরিচালনা খরচ আর এখনকার খরচের মধ্যে অনেক ব্যবধান রয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে বালিয়াতলী খেয়া বাবদ ইজারাদারকে ভ্যাট ও আইডিসহ সরকারি কোষাগারে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা জমা দিতে হয়েছে। খেয়া পারাপারের জন্য ২টি বোর্ড ও লোকবলসহ বছরে প্রায় ১ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা খরচ হয়। এসব মূলধন হিসাব করার পরে ব্যবসায়ের হিসাব কষতে হয় ইজারাদারকে।

তদুপরি, নভেল করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতির ঘানি টানতে হয়েছে। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও বাজার চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে ভাড়ার তালিকাটি পরিবর্তন করা প্রয়োজন বলে তারা মনে করছেন।

জানা যায়, উপজেলার বালিয়াতলী, লালুয়া, মিঠাগঞ্জ, ধুলাসার ও ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ এ খেয়া দিয়ে প্রতিদিন উপজেলা শহরে যাতায়াত করে। এ পথ দিয়ে সাধারণ যাত্রীদের যাতায়তের জন্য সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা রয়েছে। সে মূল্য তালিকার অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি গনমাধ্যম ও সোস্যাল মিডিয়ায় উঠে আসলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। প্রশাসনের তদারকি ও তোপের মুখে সরকার নির্ধারিত ভাড়াতেই চলছে বালিয়াতলীর খেয়া। ন্যায্য ভাড়ায় খেয়া পারাপার করায় সাধারণ যাত্রীরা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বালিয়াতলী ইউনিয়নের এক যাত্রী তুহিন জানান, আমি প্রতিদিন এ খেয়া দিয়ে কলাপাড়া শহরে যাতায়ত করি। আগে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করত। তবে এখন ন্যায্য ভাড়া নেয়ায় আমরা অত্যান্ত খুশি।

ধুলাসার থেকে আসা যাত্রী আসমা ও আনোয়ারা বেগম বলেন, এখন তো ভাড়া ঠিকমত নিচ্ছে। তবে এটা যেনো সব সময় বহাল থাকে আমরা এটা আশা করছি।

ইজারাদারের পক্ষে বালিয়াতলী খেয়া পরিচালনাকারী গাজী মো. মুছা বলেন, আমরা এখন সরকার নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী ভাড়া আদায় করছি। কিন্তু বর্তামান বাজার মূল্যের সঙ্গে মিল রেখে আমরা চলতে পারছি না। কর্তৃপক্ষ ভাড়ার তালিকাটি সংষ্কার করে আমাদের চলার মতো ব্যবস্থা করে দিবেন বলে আমরা আশা করছি।

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, সরকার নির্ধারিত বর্তমান চার্টের ভাড়ার বিষয়টি জেনেই তারা খেয়া ইজারা নিয়েছে। তাই নির্ধারিত এ ভাড়াতেই তাদের লোক পারাপার করতে হবে। খেয়া পারাপারের ভাড়া বৃদ্ধি করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত আমাদের নেই। তবে, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা আসলে বিষয়টি বিবেচনা করা যাবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App