পরাজয়ের গ্লানি মোচনের জন্য বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২০, ০৪:০৮ পিএম
কথা বলছেন প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। ছবি: ভোরের কাগজ।
জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার কারণ ছিল বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নেতৃত্বে যেন স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও শক্তি এদেশে আর ঘুরে দাড়াতে না পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
শনিবার (১৫ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু যখন অর্থনৈতিক মুক্তি ও সবুজ বিপ্লবের ডাক দিলেন তখনই ষড়যন্ত্রকারীরা জাতির পিতাকে হত্যা করে। পরাজয়ের গ্লানি মোচনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।
সকালে ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সম্মেলনকক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই সভার আয়োজন করেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব কাজী রওশন আক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক জ্যোতি লাল কুরী, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাকসুরা নূর, অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তর-সংস্থার প্রতিনিধিরা।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, ঘাতকেরা ১৫ আগস্ট অন্তসত্তা নারী ও শিশুদেরও হত্যা করে। যা পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক হত্যাকাণ্ড। খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বঙ্গবন্ধুর আদর্শকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। তারা দেশকে আবার পাকিস্তানে পরিণত করতে চেয়েছিল। তবে তারা সফল হতে পারেনি। শত চেষ্টা ও ইতিহাস বিকৃতি করেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে দেশের আটটি বিভাগের শিশুদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু বিষয়ে ছড়া, কবিতা ও স্বরচিত কবিতা পাঠের আয়োজনে অংশগ্রহণ করে শিশুদের উদ্দেশ্য বলেন, জাতির পিতা শিশুদের খুব ভালবাসতেন ও তাদের সাথে সময় কাটাতে পছন্দ করতেন। দুস্থ ও অসহায় শিশুদের পরম মমতায় কাছে টেনে নিতেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৬৩ সালে ঢাকায় প্রেস ক্লাবে কচি কাচার মেলা আয়োজিত শিশু আনন্দ মেলায় এসে বলেছিলেন, 'এই পবিত্র শিশুদের সঙ্গে মিশি মনটাকে হালকা করার জন্য'।