×

মুক্তচিন্তা

বঙ্গবন্ধু ও তাঁর ‘আর্ট-অব-রেজিসটেন্স’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২০, ০৮:৩৪ পিএম

বিখ্যাত রাজনৈতিক-নৃবিজ্ঞানী আমেরিকার ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেমস স্কট (James Scott) তার ‘ডমিনেশন এন্ড দ্য আর্টস অব রেজিসটেন্স’ বা The Domination and the Arts of Resistance (Yale University Press, 1990) গ্রন্থে চমৎকার এথনোগ্রাফিক ডেটেইলস দিয়ে দেখিয়েছেন অন্যের আধিপত্য থেকে মুক্ত হতে হলে এবং আধিপত্যবাদকে রুখতে হলে রেজিসটেন্সের নানা কলা-কৌশল জানতে হবে এবং সেটা নিত্যদিনের নানা অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে সময়-সুযোগ মতো প্রয়োগ করতে হবে। বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রাম পর্যন্ত ইতিহাসের ক্রম-পরিক্রমাকে বুঝতে হলে আসলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিরোধের কলাকৌশলকে বা আর্ট-অব-রেজিসটেন্সকে বুঝতে হবে গভীর রাজনৈতিক দর্শন দিয়ে। কেননা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কেবলই একজন সাধারণ রাজনৈতিক নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন ‘রাজনীতির ব্যাকরণ রচয়িতা’। বিপ্লবী ফিদেল ক্যাস্ট্রো তাই বলেছিলেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি, কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব এবং সাহসিকতায় তিনিই হিমালয়।’ একেবারেই মাটিবর্তী ঘনিষ্ঠতায়, ব্রাত্যজনের অকৃত্রিম আত্মীয়তায় এবং সমাজের বহুমুখী ক্রিয়া-প্রক্রিয়া-মিথস্ক্রিয়ার ভেতর দিয়ে গড়ে ওঠা এবং বেড়ে ওঠা রাজনৈতিক নেতা ছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু গণমানুষের আশা-আকাক্সক্ষা, আশা-ভরসা এবং স্বপ্ন-বাসনার প্রতীক হয়ে উঠতে পেরেছিলেন। তাই তাঁকে বলা হয় ‘পয়েট অব দ্য পলিটিক্স’, কেননা তাঁর বক্তৃতা ছিল গণমানুষের কণ্ঠস্বর, সমাজের অকথিত অভিব্যক্তির তীব্র উচ্চারণ, মানুষের অব্যক্ত আকুতির প্রদীপ্ত বয়ান এবং শব্দ ও বাক্যবিন্যাসের কাব্যিক সন্নিবেশ। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ, ১৯১১ সালের বঙ্গবঙ্গ রদ, ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন, ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব, ১৯৪৭ সালের দেশভাগ, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৬২ সালের ছাত্র আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬ ছফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ প্রভৃতিকে যদি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল বাকবদলের কেন্দ্রীয় প্রণোদনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়, বিগত শত বছরের ইতিহাসের প্রায় সব রাজনৈতিক পালাবদল এবং গৌরবান্বিত মাহেন্দ্রক্ষণের কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্তে্বর ভিত্তিতে যখন ভারত-পাকিস্তান দুভাবে বিভক্ত হলো, তখন পূর্ববঙ্গ হয়ে গেল পূর্ব পাকিস্তান। মূলত তখন থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ওপর সব ধরনের সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক নিপীড়ন শুরু করে। এ নিপীড়ন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের তথা পূর্ববঙ্গের রাজনীতিতে এক নতুন পালাবদল শুরু করে এবং পশ্চিম পাকিস্তানি নিপীড়নের বিরুদ্ধে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে যে সামাজিক প্রতিরোধ একটি রাজনৈতিক চরিত্র ধারণ করছিল, বঙ্গবন্ধু সে রাজনৈতিক চরিত্রকে কীভাবে অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত এবং সুকৌশল নেতৃত্বের মাধ্যমে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বপ্নের বীজ বপন করেছিলেন, সেখানেই বঙ্গবন্ধুর ‘আর্ট-অব-রেজিসটেন্স’ বা প্রতিরোধের বুদ্ধিদীপ্ত কৌশল প্রতিভাত হয়। তিনিই সর্বপ্রথম পূর্ব পাকিস্তানের ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেন। ১৯৫৭ সালে পাকিস্তানের গণপরিষদের তরুণ সদস্য বঙ্গবন্ধু বক্তৃতা দেয়ার সময়, ‘পূর্ব পাকিস্তান নামটির প্রতিবাদ করে বলেন, পূর্ব বাংলার একটা ইতিহাস ও ঐতিহ্য আছে। যদি পূর্ব পাকিস্তান বলতে হয়, তাহলে বাঙালিদের মধ্যে গণভোটের ব্যবস্থা করুন।’ ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক জনসভায় বঙ্গবন্ধু পরিষ্কার বলে দেন যে, পূর্ব পাকিস্তান না বলে আমাদের ভূখণ্ডকে পূর্ব বাংলা বলুন। তবে ‘আমাদের স্বাধীন দেশটির নাম হবে বাংলাদেশ’। এসবই হচ্ছে রাজনীতির আর্ট বা শিল্পকলা, যা রাজনৈতিক ভাষণ হয়েও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মেজরিটি মানুষের মনের জ্বালা-যন্ত্রণার নানা অব্যক্ত ব্যথা এবং বেদনা নিজের দীপ্ত উচ্চারণের ভেতর দিয়ে প্রতিভাত হয়েছিল। উদাহারণ হিসেবে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করা যাক। বঙ্গবন্ধু ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় কারাগারে ছিলেন। তিনি তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে লিখেছেন, ‘আমার কেবিনের একটা জানালা ছিল ওয়ার্ডের দিকে। আমি ওদের [ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের] রাত একটার পর আসতে বললাম। পুলিশ চুপচাপ পড়ে থাকে...। গোয়েন্দা কর্মচারীরা একপাশে বসে ঝিমায়। বারান্দায় বসে আলাপ হলো এবং আমি বললাম সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করতে হবে। আবার ষড়যন্ত্র চলছে বাংলা ভাষার দাবিকে নস্যাৎ করার। এখন প্রতিবাদ না করলে কেন্দ্রীয় আইন সভায় মুসলিম লীগ উর্দুর পক্ষে প্রস্তাব পাস করে নেবে। ...সেখানেই ঠিক হলো আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা দিবস পালন করা হবে এবং সভা করে সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হবে। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের কনভেনর করতে হবে। আমি আরো বললাম, আমি আমার মুক্তির দাবিতে ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে অনশন ধর্মঘট শুরু করবো।’ তিনিই নেতা যিনি জেলের ভেতর কারারুদ্ধ থাকার পরও জেলের বাইরে কীভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হবে, তার পরিকল্পনা তৈরি করেন। এবং নিজেও নিজের অবস্থান থেকে সে আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন এমনি কারাগারে অবরুদ্ধ থাকার পরও। এটাই রাজনীতি এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিরোধের ধ্রুপদি প্রকৌশল, যা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর পরতে পরতে লিপিবন্ধ। যারা বলেন, ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর তেমন কোনো অবদান ছিল না, তারা আদতে ইতিহাসের চরম সত্যকে মিথ্যাচারে ঢাকতে চান কেননা যে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন পরিচালিত হয়েছিল সেই সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের পরিকল্পনাই গ্রহণ করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কারাগারের অনানুষ্ঠানিক পরিকল্পনা সভায়।

পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ওপর সব ধরনের সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক নিপীড়ন শুরু করে। এ নিপীড়ন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের তথা পূর্ববঙ্গের রাজনীতিতে এক নতুন পালাবদল শুরু করে এবং পশ্চিম পাকিস্তানি নিপীড়নের বিরুদ্ধে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে যে সামাজিক প্রতিরোধ একটি রাজনৈতিক চরিত্র ধারণ করছিল, বঙ্গবন্ধু সে রাজনৈতিক চরিত্রকে কীভাবে অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত এবং সুকৌশল নেতৃত্বের মাধ্যমে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বপ্নের বীজ বপন করেছিলেন

বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে এ রকম হাজারো নজির আছে, যার মধ্য থেকে আরেকটা নজির এখানে দিলাম। ১৯৭০ সালের জাতীয় পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ডিসেম্বরের ৭ তারিখ, যেখানে ন্যাশনাল এসেম্বলিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৬২টি আসনের মধ্যে ১৬০টি আসনে জয়লাভ করে এবং প্রাদেশিক নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৮ আসনে জয়লাভ করে। বঙ্গবন্ধুর নামে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ডিসেম্বরের ১ তারিখ একটি লিফলেট বিতরণ করা হয় ‘শেখ মুজিবুর রহমানের নির্বাচনী আবেদন’ শিরোনামে। সেখানে শেষ অনুচ্ছেদটি ছিল এ রকম, ‘বাংলার যে জননী শিশুকে দুধ দিতে দিতে তেজগাঁওয়ের নাখালপাড়ায় মারা গেল, বাংলার যে শিক্ষক অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণের ঢলে পড়ল, বাংলার যে শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তুলতে গিয়ে জীবন দিল, বাংলার যে ছাত্র স্বাধিকার অর্জনের সংগ্রামে রাজপথে রাইফেলের সামনে বুক পেতে দিল, বাংলার যে সৈনিক কুর্মিটোলার বন্দি শিবিরে অসহায় অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হলো, বাংলার যে কৃষক ধানক্ষেতের আলের পাশে [প্রাণ] হারালো- তাদের বিদেহী অমর আত্মা বাংলাদেশের পথে-প্রান্তরে ঘরে ঘরে ঘুরে ফিরছে এবং অন্যায়-অত্যাচারের প্রতিকার দাবি করছে। ...আপনারা আওয়ামী লীগের প্রতিটি প্রার্থীকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি আসনে জয়যুক্ত করে আনুন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, যে জালেমদের ক্ষুরধার নখদন্ত জননী বঙ্গভ‚মির বক্ষ বিদীর্ণ করে তার হাজারো সন্তানকে কেড়ে নিয়েছে, তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা জয়যুক্ত হবো।’ এগুলো হচ্ছে ‘আর্ট-অব-রেজিসটেন্স’ কেননা এ বাক্যগুচ্ছ কেবল কোনো রাজনৈতিক স্লোগান নয়, একাত্তর-পূর্ব পেক্ষাপটে পশ্চিম পাকিস্তানের নিপীড়ন, নির্যাতন এবং আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে মানুষের ভেতর যে ক্রমবর্ধমান ক্ষোভ এবং পুঞ্জীভ‚ত বিক্ষোভ তাকে ভিন্ন এক রাজনৈতিক তাৎপর্য দিয়ে ‘ব্যালটকে বুলেটে’ পরিণত করার এ এক ধ্রুপদি রাজনৈতিক প্রকৌশল, যা শত বছরের ইতিহাসে কেবলই বঙ্গবন্ধুর মধ্যে আমরা দেখতে পাই। ৭ মার্চের ভাষণের কথা না বললেই নয়, কেননা এ ভাষণ ছিল সার্বিক বিবেচনায় সত্যিকার অর্থে একটি ক্ল্যাসিক আর্ট-অব-রেজিসটেন্স। কেননা তিনি সরাসরি বলেননি যে, আমি আজ স্বাধীনতার ঘোষণা দিচ্ছি কিন্তু তিনি স্বাধীনতার সব ধরনের প্রতীকী ঘোষণা দিয়েছেন। কেননা ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো ... তোমাদের যা কিছু আছে তা নিয়ে শক্রর মোকাবেলা করতে হবে’, কিংবা ‘জীবনের তরে রাস্তা-ঘাট যা কিছু আছে আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি তোমরা বন্ধ করে দেবে’, বা ‘আমরা যখন মরতে শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবাতে পারবে না’, বা ‘যে পর্যন্ত আমার দেশের মুক্তি না হলো, খাজনা ট্যাক্স সবকিছু বন্ধ করে দেয়া হলো, কেউ দেবে না’, ‘প্রত্যেক পাড়ায়, প্রত্যেক মহল্লায়, প্রত্যেক ইউনিয়নে, প্রত্যেক সাব-ডিভিশনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলো এবং তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো’ বা ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ’ বা ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’... এসবই মূলত পরোক্ষভাবে এবং প্রতীকী-রূপকে স্বাধীনতার ঘোষণা। যদি তিনি সরাসরি ঘোষণা দিতেন তাহলে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী নিরীহ-নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ত। বহির্বিশ্বকে পাকিস্তান বোঝাত যে, ‘বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র করছে এবং স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে তিনি বিচ্ছিন্নবাদকে উসকে দিচ্ছেন।’ তাই বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত সুকৌশলে সরাসরি ঘোষণা না দিয়ে আকারে-ইঙ্গিতে, কথায়-ভাষায় এবং উপমা-উত্তেজনায় স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন ৭ মার্চের ভাষণেই। এটাই আর্ট-অব-রেজিসটেন্স। পরিশেষে বলব, সংবাদপত্রের কলামের কলেবরে বঙ্গবন্ধুর বিশালত্বের কণাংশকে ধারণ করাও দুরূহ কাজ। রবীন্দ্রনাথ উৎসর্গ কাব্যগ্রন্থে ‘প্রসাদ’ নামে একটি কবিতায় লিখেছিলেন, ‘শিশির কহিল কাঁদিয়া/ তোমারে রাখিব বাঁধিয়া/ হে রবি আমার নাহি তো এমন বল/ তোমা ছাড়া মোর ক্ষুদ্র জীবন/ কেবলই অশ্রুজল।’ বঙ্গবন্ধুর বিশালত্বের তুলনা যদি সূর্য, আমরা সবাই কেবলই শিশির কণা। সূর্যের আলোয় প্রতিবিম্বিত হওয়া এক একজন বাঙালি। কিন্তু তিনি তো শুধু বিশালই নন, মহৎও বটে। তাইতো তিনি শিশির কণাকে ডেকে বলেন, ‘আমি বিপুল কিরণে ভুবন করি যে আলো/ তবু শিশির কণারে ধরা দিতে পারি/ বাসিতে পারি যে ভালো।’ এটাই বঙ্গবন্ধুর বিশালত্ব। এটাই বঙ্গবন্ধুর ‘আর্ট-অব-লাভ’। আর বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি কেবলই রাজনীতি নয়, বরঞ্চ ‘আর্ট-অব-পলিটিক্স’।

ড. রাহমান নাসির উদ্দিন : নৃবিজ্ঞানী ও অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App