×

বিশেষ সংখ্যা

আগস্ট পালন করতে হবে যুগে যুগে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২০, ১১:৪১ পিএম

আগস্ট পালন করতে হবে যুগে যুগে
আগস্ট পালন করতে হবে যুগে যুগে
আগস্ট পালন করতে হবে যুগে যুগে

আজিমপুর গার্লস স্কুল,১৯৭২

বাঙালি জাতি যতদিন টিকে থাকবে ততদিনই পনেরই আগস্ট ফিরে ফিরে আসবে। কেননা ১৯৭৫-এর পনেরই আগস্ট বাঙালির স্বপ্ন খুন হয়েছিল। যিনি ছিলেন এক ‘দিঘল পুরুষ’ সর্বদাই তিনি থাকবেন বাঙালির ‘বোধের গহীন অন্তরে জাজ¦ল্যমান’ (বাবুল জোয়ারদার)। তিনি থাকবেন জাগ্রত আমাদের মননে চিরকাল কেননা তাঁর রক্তে যে উর্বর আমাদের মাটি। হয়েছে সবুজ আমাদের প্রন্তর। তিনি যে বাঙালির অস্তিত্বের সমান। বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। তাঁর পরম শত্রু রাও তাঁর দেশপ্রেম নিয়ে, আত্মত্যাগ নিয়ে প্রশ্ন তোলার সাহস রাখে না। নানা চড়াই-উৎরাই পার হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর এই এগিয়ে চলার মূল চালনা শক্তি যে তিনিই। কেননা তিনিই যে বাংলাদেশ। তিলে তিলে খনি শ্রমিকের মতো পরিশ্রম করে তিনিই জন্ম দিয়েছেন ‘কনসেপ্ট বাংলাদেশ’। সেই ধারণাকে এদেশের দুঃখী মানুষ ও সচেতন শিক্ষিতজনদের মনে গেথে দিতে তিনি রাত দিন পরিশ্রম করেছেন। জেল জুলুম হাসিমুখে গ্রহণ করেছেন। সেই বাল্যকাল থেকেই এদেশের মাটি ও মানুষের কাছাকাছি থেকেছেন তিনি। তাঁর অন্তর্নিহিত সাংগঠনিক ক্ষমতাকে আজীবন কাজে লাগিয়েছেন বঞ্চিত মানুষের কল্যাণে। যাদের পাশে দাঁড়াবার কেউ নেই, তাদের পাশে নির্দ্বিধায় দাঁড়াতেন শেখ মুজিব। ইতিহাসের পরম্পরায় তাই তিনিই রূপান্তরিত হয়ে চিরদিনের জন্য বনে গেলেন বঙ্গবন্ধু। প্রান্তজনের সখা। দুঃখীজনের দুঃখ মোচনের সারথি। বাঙালির জাতির পিতা। তাঁরই ডাকে অকাতরে প্রাণ দিলেন লক্ষ লক্ষ বাঙালি। যাদের বেশির ভাগই ছিল বয়সে তরুণ। রক্তের আখরে তারা বিশ^মানচিত্রে লিখলেন বাংলাদেশের নাম। চিরদিনের জন্য উড়িয়ে দিলেন দুঃখ ও আনন্দের প্রতীক লাল সবুজের পতাকা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অধিকার আদায়ের লড়াই থেকে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামের এই কাহিনী যেমনি রোমাঞ্চকর তেমনি বিপুল আত্মত্যাগের। শুরু থেকেই বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল কেন্দ্রে ছিলেন অধিকারবিহীন প্রান্তজন। তাদের অধিকার আদায়ের জন্য তিনি শাসক শ্রেণির সঙ্গে লড়েছেন মাঠে, ঘাটে এবং গণপরিষদে। নিজের পরিবার বলতে ছিল তাঁর বৃহত্তর রাজনৈতিক সাংগঠনিক পরিবার। জেলখানাই ছিল তাঁর দ্বিতীয় স্থায়ী ঠিকানা। যখনই নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিকে অন্যায়ভাবে নস্যাৎ করে দিতে চেয়েছে শাসক শ্রেণি তখনই তিনি সশস্ত্র সংগ্রামের ডাক দিয়েছেন স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে। মৃত্যুকে তুচ্ছ জ্ঞান করে তিনি অটল ছিলেন সকল প্রতিক‚লতার মুখে। আর তিনিই তো বীর যিনি মৃত্যুকে ভয় পান না। তাই আগরতলা মিথ্যে মামলার সময় এবং একাত্তরের ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরের পর মাথা উঁচু করেই নিশ্চিত মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই জেল জীবন বেছে নিয়েছিলেন। তাঁর জাদুকরী নেতৃত্বের ছোঁয়ায় জেগে উঠেছে এদেশের সাহসী মানুষ। অকাতরে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন স্বাধীনতার বেদিমূলে। তাঁদের রক্তে-ঘামে-শ্রমে অর্জিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশ। সেই দেশের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনিই বাঙালির জাতির পিতা। স্বদেশের ভাষা ও সংস্কৃতির মর্যাদা রক্ষায় যিনি সদাই তৎপর। অসাম্প্রদায়িক, আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক এই নেতা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। সামাজিক সুবিচার এবং সাম্যের প্রশ্নে আপসহীন। দুই অর্থনীতির তত্ত্ব থেকে ছয়-দফা তাঁরই সৃষ্টি। এই ছয়-দফাই এক সময় এক দফায় রূপান্তরিত হয়ে যায়। এদেশের দেশপ্রেমিক অর্থনীতিবিদ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা পরবর্তী সময়ে তাঁর এই ধারণাকে আরও বিস্তৃত করেছেন। পোক্ত করেছেন। পাকিস্তানি শাসক শ্রেণির নির্মমতা ও দুঃশাসনের কারণে এই রূপান্তর সহজ হয়েছিল। আর বাঙালির ক্ষোভ ও বঞ্চনার তুষের আগুন তো জ¦লেই ছিল। অনুসারীদের প্রবলভাবে উৎসাহিত ও উজ্জীবিত করার বিরল গুণে গুণান্বিত এই নান্দনিক ‘দিঘল পুরুষ’ দেশের এবং বিদেশের শত্রু দের মুখে ছাই দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করাটাই যে ছিল তার বড়ো অপরাধ। তাছাড়া, সেই স্বাধীন দেশটিকে আবার তিনি গড়তে চেয়েছিলেন অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক এবং তার মতো করে সমাজতান্ত্রিক এক আধুনিক দেশ হিসেবে। অতি অল্প সময়েই তিনি তৈরি করে ফেলেছিলেন মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা প্রদানকারী একটি আধুনিক সংবিধান। প্রণয়ন করে ফেলেছিলেন দুঃখী মানুষের দুঃখ ঘোচানোর কৌশল-নির্ভর প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বিশে^র সবচেয়ে শক্তিধর দেশের বৈরী ‍কূটনৈতিক তৎপরতাকে অগ্রাহ্য করে তিনি এগিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার অভিযাত্রায়। কায়েমী স্বার্থবাদীরা অস্থিরমতি তরুণদের উস্কে দিতে থাকে আমূল সংস্কারবাদী এই সাহসী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। জনগণের মনের খোঁজ তিনি রাখতেন। তাই কতিপয় নয়, সকলের জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেন সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কৌশলগত পরিকল্পনা নিয়ে। যুদ্ধবিধ্বস্ত অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ করে, সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন করে প্রতিষ্ঠিত করে কৃষি ও শিল্পের ভারসাম্য রক্ষা করে অগ্রগতির পথ-নকশা ধরে যখন তিনি জোর কদমে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ঠিক তখনই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশের শত্রু রা আচমকা আক্রমণ করে এই মহৎপ্রাণ নেতার ওপর। ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে শারীরিকভাবে নিঃশেষ করে ফেলা হয় বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তানকে। সঙ্গে তাঁর পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদেরও প্রাণ কেড়ে নেয়া হয়। অদ্ভুত এক আঁধারে ঢেকে যায় বাংলাদেশ। স্বদেশ হাঁটতে থাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ঠিক উল্টো দিকে। হঠাৎ করেই থমকে দাঁড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল বাহাত্তরে মাত্র ৯৩ ডলার। পঁচাত্তরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৭৩ ডলার। আর বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশে সেই অংক ছিয়াত্তরেই নেমে দাঁড়ায় ১৩৮ ডলারে। সাতাত্তরে ১২৮ ডলারে। আর রাজনীতিতে ঘটে মৌলবাদীদের উত্থান। মুক্তচিন্তার মানুষ তখন ম্রিয়মাণ। [caption id="attachment_237114" align="aligncenter" width="700"] আজিমপুর গার্লস স্কুল,১৯৭২[/caption] জেলখানা ভরে যায় স্বাধীনতাকামী তরুণ ও রাজনীতিকদের আটকের ফলে। বারে বারে ‘ক্যু’ ও পাল্টা ‘ক্যু’র ফলে হারিয়ে যেতে থাকে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা। যেন এক অন্ধকার যুগে প্রবেশ করেছিল বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করা যাবে না, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ তো দূরের কথা তাঁর নামটিও উচ্চারণ করা যাবে না গণমাধ্যমে। পনেরই আগস্ট শোকার্ত কর্মীরা তাদের মতো করে স্মরণ করতো বঙ্গবন্ধুকে। অনেক বঙ্গবন্ধুপ্রেমী সশস্ত্র প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রাণ হারান। অনেকে হন দেশান্তরী। অনেকে প্রতিজ্ঞা করেন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবনযাপন করবেন না। পায়ে জুতো পর্যন্ত পরবেন না। চুল দাড়ি কাটবেন না। তাদের এই দৃঢ় প্রত্যয় এবং বঙ্গবন্ধুকন্যার দেশে ফিরে আসার পর পর যে রাজনৈতিক স্রোতধারায় গতি আসে তারই ফলে আমরা ফিরে পাই বঙ্গবন্ধুকে। উদযাপন করতে পারছি তাঁর জন্মদিন। আর স্মরণ করতে পারছি পনেরই আগস্ট এবং তাঁর অমূল্য অবদানকে। পনেরই আগস্টের দুঃখ যাতনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় বাঙালির মুক্তির প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধুর আজীবনের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের নানা দিক। পৃথিবীতে খুব কম জাতির পিতাই স্বদেশের জন্য এতোটা আত্মত্যাগ করেছেন। সবার জন্যই ছিল তাঁর মনোযোগ। শুধু ছিল না মনে নিজের ভালোমন্দের কথা। এরপর বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে আজ সম্ভাবনাময় এক উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। তবু একথা ভুললে চলবে না যে বঙ্গবন্ধু এখনও সমান প্রাসঙ্গিক। তিনিই আমাদের এগিয়ে যাবার মূলমন্ত্রদাতা। তাঁর আদর্শই আমাদের সঠিক পথে চালিত করতে পারে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে আগামী দিনের সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের অংশীদার করতে হলে অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রদর্শনের সাথে তাদের পরিচিত করাতে হবে। সেই দিক থেকে দেখলে সঠিক ইতিহাসই হতে পারে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে আশাবাদী ও সাহসী করে গড়ে তোলার এক সার্থক উপকরণ। আর বাংলাদেশের ইতিহাসের জমিনটিই তো বঙ্গবন্ধু। তাই তাদের কাছে অনুরোধ থাকবে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসো। সে জন্য পনেরই আগস্ট পালন করা এতোটাই জরুরি। যখন পনেরই আগস্ট জাতীয়ভাবে পালন করা হতো না তখন তরুণ প্রজন্ম আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের কথা ভালো করে জানতেই পারতো না। আমার মনে আছে ১৯৯৬ সালে পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে প্রথমবার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার ক্ষমতায় এসেই বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বিটিভিতে প্রচার করেছিল। সে কি অভিজ্ঞতা। তরুণরা এই প্রথম অনুভব করলো কেন বলা হয় বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ সমার্থক। পনেরই আগস্টের নির্মমতার কথা না জানতে পারলে তরুণ প্রজন্মকে আবার বিভ্রান্ত করার সুযোগ নিতে পারে উদারনৈতিক বাংলাদেশের বিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি। এই শক্তিই বঙ্গবন্ধুকে লক্ষ্য করে বলতো ‘তুমি কেউ নও’। অথচ ‘বাংলাদেশের আড়াইশত নদী বলে/তুমি এই বাংলার নদী, বাঙলার সবুজ প্রান্তর/তুমি এই চর্যাপদের গান/তুমি এই বাংলার অক্ষর/ বলে ওরা তুমি কেউ নও, কিন্তু তোমার পায়ের শব্দে/ নেচে ওঠে পদ্মার ইলিশ/তুমি কেউ নও, বলে ওরা, কিন্তু রবীন্দ্রনাথের গান আর বজরলের/বিদ্রোহী কবিতা বলে/তুমি বাংলাদেশের হৃদয়’ সেই হৃদয় বিদীর্ণ হয়েছিল পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট। ঐ রাতে তাঁর হৃদয় থেকে উৎসারিত রক্ত বত্রিশ নম্বরের বাড়ির সিঁড়ি থেকে চুইয়ে চুইয়ে চলে গেছে বঙ্গোপসাগরে। যাবার পথে সারা বাংলার মাটি উর্বর করেছে ঐ রক্ত। আজ তাই বাংলাদেশ কৃষিতে এতোটা সফল। উদ্বৃত্ত ফসলে, সবজিতে, মাছে, ফুলে ও ফলে। তাই পনেরই আগস্ট আমাদের পালন করতে হবে যুগে যুগে। দলমত নির্বিশেষে। কেননা, ঐ মর্মান্তিক ঘটনার পরই বাংলাদেশ যে ‘অদ্ভুত এক উটের পিঠে’ চলছিল উল্টো দিকে। সেই দৃশ্য আর দেখতে চাই না। সে জন্য বঙ্গবন্ধু যেমন দুর্নীতিমুক্ত, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন সেই প্রতিজ্ঞা যেন আরও জোরদার হয় প্রতিবছর পনেরই আগস্টের এই দিনে। ক’দিন আগে বাগেরহাট জেলার ডেপুটি কমিশনারের আমন্ত্রণে একটি ভার্চুয়াল বিতর্কে যোগ দিয়েছিলাম প্রধান অতিথি হিসেবে। সে দিন তরুণ বিতার্কিকদের গভীর দেশপ্রেম ও মেধাবী উচ্চারণে দারুণ স্বস্তি বোধ করেছিলাম। শুধু দেশ-বিদেশের খবরই নয়, বাংলাদেশের সত্যিকার ইতিহাসও তাদের জানা। তসমিয়া নামের একটি মেয়ে বল্লো মুজিবকে নতুন প্রজন্মের মনে গেথে দিতে পারলেই ‘মুজিব বর্ষ’ পালন সার্থক হবে। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন সেই সব দেশ ভাগ্যবান যারা তাদের সন্তানদের সত্যিকার ইতিহাস তুলে ধরতে পারে। পঁচাত্তরোত্তর এক ঘন কালো সময় এসেছিল বাংলাদেশে। ইতিহাস নিয়ে তখন ছক্কা পাঞ্জা খেলা হতো। বঙ্গবন্ধু আর মুক্তিযুদ্ধের কথা শিক্ষার্থীদের বলাই যেতো না। আর এখন শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুকে বুকে ধারণ করে তাঁর চিত্র আঁকে। গল্প লেখে। কবিতা লেখে। তাঁকে নিয়ে লেখা গান করে। তাঁর ওপর লেখা কবিতা আবৃত্তি করে। পনেরই আগস্ট স্মরণ অনুষ্ঠান তরুণ প্রজন্মের কাছে এই দায়বোধের বার্তা নিয়ে যাবার সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে। তাই অনন্তকাল ধরে বাঙালি যেন দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে এই দিন পালন করেন সেই প্রত্যাশা করছি। চিরদিনই জাতির পিতা প্রাসঙ্গিক থাকুক সেই কামনা করছি। পনেরই আগস্ট নিয়ে ভাবতে হবে কেন? এই প্রশ্নের উত্তর আমাদের তরুণ প্রজন্মের বঙ্গবন্ধু প্রীতির মাঝেই খুঁজতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App