সেতু পার হতে লাগে বাঁশ!
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২০, ১১:০৫ এএম
১৫ ফুটের সেতুটিতে উঠতে হয় বাঁশ দিয়ে
ভয়ে ভয়ে পার হতে হয় সেতুটি
ঝুঁকি থাকা স্বত্ত্বেও পার হয় শিক্ষার্থীরা
আনোয়ারার বরুমচড়া লাল মোহাম্মদিয়া সড়ক
লাল মোহাম্মদিয়া সড়কে ভাঙা সেতু আছে সড়ক নেই। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার জুঁইদন্ডী ও বরুমচড়া ইউনিয়নের মাঝামাঝি শাহ মোহছেন আউলিয়া খালের ওপর স্থাপিত বরুমচড়া লাল মোহাম্মদিয়া সড়কের প্রায় ১৫ ফুটের সেতুটিতে উঠতে হয় বাঁশ দিয়ে। সড়ক ও সেতুর বেহাল দশায় স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় কৃষকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে।
জানা যায়, ২০০৮ সালের বরুমচড়া ইউনিয়ন পরিষদ (সওদাগর দীঘিরপাড়) থেকে খুরুস্কুল পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়কটিতে ইট বিছানো হয়। সেতুটি নির্মাণ করা হয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে। ২০১৫ সালে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে সেতুটি ভেঙে পড়ে সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সেতুটি। এরপর থেকে সড়ক ও সেতুর কোনো সংস্কারের ছোঁয়াও লাগেনি। এ সড়ক ও সেতু ব্যবহার করে উপজেলার জুঁইদন্ডী ও বরুমচড়া ইউনিয়নের বাসিন্দারা। এই দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এটি। বর্ষায় সেতুটির দুপাশের মাটি ভেঙে খালে বিলীন হয়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে সেতুতে ওঠানামার জন্য বাঁশের সাঁকো দিয়েছেন স্থানীয়রা। একই সঙ্গে বেহাল হয়ে পড়েছে পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘের লাল মোহাম্মদিয়া সড়কটিও।
[caption id="attachment_236936" align="alignnone" width="1280"] ভয়ে ভয়ে পার হতে হয় সেতুটি[/caption]স্থানীয় বাসিন্দা এনামুল হক সানী জানান, আমাদের উপজেলার দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের চলাচলের একমাত্র যোগাযোগমাধ্যম এ সড়ক ও সেতু। দীর্ঘদিন ধরে এ সড়ক দিয়ে অটোরিকশা ও অন্যান্য ছোট যানবাহন চলাচল করে ঝুঁকির মধ্যে।
সড়ক ও সেতুর বেহাল দর্শায় স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় কৃষকদেরও চলাচল করতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। অনেক বৃদ্ধরাও সেতুতে ভয়ে পার হতে পারে না। ফলে দুর্ভোগে পড়েছে দুই ইউনিয়নের হাজারো বাসিন্দাদের। এ সড়ক ও সেতুটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।
বরুমচড়া ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা ও জুঁইদন্ডী জেকে উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সানজিনা আকতার বলেন, আমাদের এলাকা থেকে সহজে বিদ্যালয়ের যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। সড়ক ও সেতুটির অবস্থা খারাপ হওয়ায় যাতায়াত করতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। বর্ষা এলে স্কুলে যেতে হয় কয়েক কিলোমিটার বিকল্প সড়ক দিয়ে অনেক কষ্টে। এতে করে অনেক সময় যেতে যেতে ক্লাসের একটা ঘণ্টাও চলে যায়।
[caption id="attachment_236938" align="alignnone" width="1280"] ঝুঁকি থাকা স্বত্ত্বেও পার হয় শিক্ষার্থীরা[/caption]স্থানীয় বরুমচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, সড়ক ও সেতু সংস্কারের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই বরাদ্দ এলে কাজ শুরু হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জামিরুল ইসলাম বলেন, ২০১৫ সালে সেতুটি যখন ভেঙে যায় তখন আমরা পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। নতুন করে সেতু নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাবে সেতুটি।