×

জাতীয়

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ আজ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২০, ০৯:৪২ এএম

৪ পুলিশ ও ৩ সাক্ষী ৭ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে সিফাত-শিপ্রাকেও
কক্সবাজারের টেকনাফে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় গতকাল পর্যন্ত কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া এলিট ফোর্স র‌্যাব। তবে আজ বৃহস্পতিবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদের মধ্য দিয়ে রিমান্ড কার্যক্রম শুরুর কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এদিকে চার পুলিশ সদস্য ও পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীর প্রত্যেককে সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিকে গতকাল বুধবার মহেশখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেও মহেশখালী থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত লবণচাষি আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী হামিদা বেগম এ মামলাটি দায়ের করেন। গত ৩১ জুলাই রাত ১০টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ৫ আগস্ট ওসি প্রদীপ ও দায়িত্বরত পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করে সিনহার বোন কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর সব আসামিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। মামলাটি তদন্ত করছে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫। ওই মামলায় ওসি প্রদীপসহ তিনজনকে সাত দিনের রিমান্ড ও অন্য আসামিদের দুদিন করে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন আদালত। ওসি প্রদীপসহ সাত আসামি এখনো কারাগারে রয়েছেন। একই ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় ৯ আগস্ট সিনহার সহযোগী শিপ্রা দেবনাথ ও ১০ আগস্ট সাহেদুল ইসলাম সিফাত জামিনে মুক্তি পান। কক্সবাজার আদালতের পুলিশ পরিদর্শক প্রদীপ কুমার দাশ গতকাল জানান, সিনহা হত্যা মামলার আসামি কনস্টেবল সাফানুল করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সহকারী উপপরিদর্শক লিটন মিয়াকে সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। একই ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষী মো. আয়াস উদ্দিন, নুরুল আমিন ও নাজিম উদ্দিনকেও সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ বিষয়ে গতকাল লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ১০ কার্যদিবসের মধ্যে রিমান্ড সংক্রান্ত কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশনা ছিল আদালতের। তবে এ সময়সীমাকে উন্মুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করলে আরো সাত কর্মদিবস সুবিধামতো সময় বাড়াতে পারবেন। ইতোমধ্যে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত ও এসআই নন্দলাল রক্ষিতের সাত দিন রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। আবার জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা চার পুলিশ সদস্য ও পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীরও গতকাল ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা এ মামলার অন্যতম সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদের মধ্য দিয়ে রিমান্ড কার্যক্রম শুরু করতে চান। কিন্তু বয়সে অত্যন্ত তরুণ সিফাত ও শিপ্রা এখনো ট্রমায় আছেন। তারা কক্সবাজারেই অবস্থান করছেন। দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে র‌্যাবের যোগাযোগ রয়েছে, তাদের যে কেনো সময় প্রয়োজন অনুযায়ী জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে। তাই গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন সাক্ষীকে র‌্যাব হেফাজতে এনে আজ বৃহস্পতিবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে। তবে এর আগে রিমান্ডে নেয়া সাক্ষীরা গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছিলেন, এ হত্যার ঘটনা তারা কেউ নিজের চোখে দেখেননি। ঘটনার পর স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে তাদের ডেকে নেয়া হয়। পরে সকালে টেকনাফ থানায় নিয়ে সাদা কাগজে তাদের স্বাক্ষর নেয়া হয়েছিল। পরে জানতে পারেন তাদের সাক্ষী করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App