ঢাকার ২৫টি ওয়ার্ড এখনও ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২০, ০৭:৫১ পিএম
ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বিপজ্জনক চিহ্নিত করা হচ্ছে
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ২৫টি ওয়ার্ড এখনও ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে বলে উঠে এসেছে এক জরিপে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জাতীয় ম্যালেরিয়া ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় এই জরিপ চালানো হয়। গত ১৯ থেকে ২৮ জুলাই দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় চালানো বর্ষাকালীন এই জরিপের ফলাফল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় প্রকাশ করা হয়।
সেখানে বলা হয়, উত্তর সিটি করপোরেশনের ৯টি ও দক্ষিণের ১৬ ওয়ার্ড এখনও ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভার ঘনত্বের সূচক ব্রুটো ইনডেক্স ২০ এর বেশি।
মশার লার্ভার উপস্থিত হিসাব করা হয় ব্রুটো ইনডেক্স বা সূচকের মাধ্যমে। জরিপে প্রতি একশ প্রজনন উৎসের মধ্যে ২০টি বা তার বেশিতে যদি এডিস মশার লার্ভা বা পিউপা পাওয়া যায়, তাহলে সেটাকে ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি বলা যায়।
ঢাকা উত্তরের ১০, ১১, ১৭, ১৯, ২১, ২৩, ২৪, ২৯, ৩২ ওয়ার্ডে এবং দক্ষিণের ২, ৪, ৮, ৯, ১২, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৮, ২৫, ৩৪, ৪০, ৪১, ৪৫ এবং ৫১ নম্বর ওয়ার্ডে এডিস মশার উপস্থিতি বেশি পাওয়া গেছে জরিপে।
উত্তরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে (কল্যাণপুর, পাইকপাড়া ও মধ্য পাইকপাড়া) ব্রুটো ইনডেক্স সর্বোচ্চ ৪৩.৩ পাওয়া গেছে। ১৭ নম্বর (খিলক্ষেত, কুড়িল, কুড়াতলী, জোয়ারসাহারা, অলিপাড়া (আংশিক), জগন্নাথপুর, নিকুঞ্জ-১ ও ২, এবং টানপাড়া) ওয়ার্ডে এবং দক্ষিণে ৫১ নম্বর ওয়ার্ড (মীর হাজারীবাগ, ধোলাই পাড় ও গেন্ডারিয়া) ব্রুটো ইনডেক্স ৪০ পাওয়া গেছে। এই তিনটি ওয়ার্ড সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে।
ডিএনসিসির ২৯ এবং ডিএসসিসির ৩৮টি ওয়ার্ডের ব্রুটো ইনডেক্স ১০ এর বেশি। দুই সিটির ৫টি ওয়ার্ডে এইডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি। মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু গতবছর বাংলাদেশের বড় মাথাব্যথা হয়ে উঠেছিল। সরকারি হিসাবে, পুরো বছরে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন, মৃত্যু হয় ১৭৯ জনের।
তবে দেশের সবগুলো হাসপাতালে ভর্তি এবং বাসায় থাকা রোগীদের তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে না আসায় প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার কথা। এরপর চলতি বছর বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাংলাদেশে দেখা দেয় মার্চের শুরুতে। এই সঙ্কটের সময়ে ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকা শহরে যেন আবার ডেঙ্গুর প্রার্দুভাব বাড়তে না পারে, সে বিষয়ে উচ্চ আদালত থেকেও সিটি করপোরেশনগুলোকে সতর্ক করা হয়।