×

জাতীয়

চট্টগ্রাম বন্দরে বিপজ্জনক রাসায়নিক ও বিস্ফোরক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২০, ০৯:১৫ এএম

ঘুম ভেঙেছে বৈরুত বিস্ফোরণে ৬ সদস্যের কমিটি গঠন

লেবাননের বৈরুত বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর ঘুম ভেঙেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের। বন্দরের ‘পি শেডে’ দীর্ঘ প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে পড়ে রয়েছে বেশ কিছু বিপজ্জনক পণ্য। যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। মাত্র মাসখানেক আগে গত ১৫ জুলাই বিকেলে বন্দরের ৩ নম্বর শেডে হঠাৎ করে আগুন লেগে যায়। ভয়াবহ সেই আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি গাড়ি কমপক্ষে তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠিত হলেও তা এখনো আলোর মুখ দেখেনি। এরই মধ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ গত ৯ আগস্ট ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, এসব বিপজ্জনক পণ্য রক্ষণাবেক্ষণ, দ্রুত খালাস করার দায়িত্ব বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের। কিন্তু বন্দরের ‘পি’ শেডে যেসব বিপজ্জনক পণ্য রয়েছে প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে তা নানা জটিলতার দোহাই দিয়ে সেভাবেই রাখা হয়েছে। কিন্তু যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা; যা মোকাবিলায় তেমন কোনো প্রস্তুতিই নেই বন্দর কর্তৃপক্ষের। অথচ এই চট্টগ্রাম বন্দরের ওপরই দেশের অর্থনীতি বলতে গেলে সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে আছে।

বন্দরের অভ্যন্তরে পি শেডে রক্ষিত কেমিক্যাল ও ক্ষতিকারক মালামাল সমূহের বর্তমান অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শন করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেয়ার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মোহাম্মদ ফারুক স্বাক্ষরিত একটি তাগাদাপত্র দেয়া হয়েছে।

ওই চিঠিতে সেখানে রাখা মালামালের তালিকা প্রণয়ন, মালামালসমূহ কতদিন ধরে আছে তার হিসেব নিরূপণ করার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি নিলাম ও ধ্বংসযোগ্য মালামালের পরিমাণ নির্ণয়ের জন্যও বলা হয়। এ ছাড়া মালামালসমূহ বন্দর সংরক্ষিত এলাকায় রাখার জন্য বিদ্যমান যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে তা পর্যাপ্ত কিনা এবং না থাকলে এ ব্যাপারে করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ দেয়ার জন্যও বলা হয়েছে কমিটিকে।

বন্দরের সদস্যকে (হারবার ও মেরিন) আহ্বায়ক করে গঠিক কমিটিকে পি শেডে রাখা মালামালের মধ্যে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক উপাদান রয়েছে কিনা তা চিহ্নিত করতেও বলা হয়। এ ছাড়া কেমিক্যাল ও ক্ষতিকারক মালামাল হ্যান্ডলিং, সংরক্ষণ ও ডেলিভারি প্রদানের ব্যাপারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ, বন্দর কর্তৃপক্ষ, বিস্ফোরক অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান আইন ও নিয়ম পর্যাপ্ত আছে কিনা এবং না থাকলে এ ব্যাপারে কমিটিকে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।

তবে বন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩০ হাজার বর্গফুটেরও বেশি আয়তনের এই ‘পি’ শেডে রাসায়নিক পদার্থ রাখার জন্য কোনো নিরাপদ ব্যবস্থা নেই। শেডের ভেতরে যেসব বৈদ্যুতিক সংযোগ রয়েছে সেগুলোও অত্যন্ত পুরনো ও জরাজীর্ণ। বন্দরের ওই কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে বন্দরের পরিচালক (নিরাপত্তা), পরিচালক (পরিবহন), কাস্টমস হাউসের একজন প্রতিনিধি (যিনি যুগ্ম কমিশনারের নিচে নয়), পরিবশে অধিদপ্তরের একজন প্রতিনিধি ও কাস্টমস হাউসের রাসায়নিক পরীক্ষক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App