অবসরপ্রাপ্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর সিনহা হত্যার ঘটনায় পুলিশি মামলার তিন সাক্ষী গ্রেপ্তার। মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) বিকেল ৩ টার দিকে বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবনিয়া এলাকার বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তাদের কক্সবাজার আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে র‌্যাব।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মারিয়াশবনিয়া এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে মো. আয়াজ, নাজু সওদাগরের ছেলে নুরুল আমিন ও নজির আহমদের ছেলে নিজাম উদ্দিন। তারা সিনহা হত্যা মামলার প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষী হিসেবে টেকনাফ থানায় এজাহারে পুলিশ উল্লেখ করেছিলো। র‌্যাব-১৫ এর কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সিনহা হত্যার ঘটনা তারা কেউ নিজের চোখে দেখেননি, ঘটনার পর স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে তাদের ডেকে নেয়া হয় এবং টেকনাফ থানায় নিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছিল বলে গ্রেপ্তারকৃতরা এর আগে দাবি করেছিলেন।

ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, মেজর সিনহা টেকনাফের মারিশ বনিয়ায় তথ্যচিত্রের শ্যুটিং শেষে ফেরার পথে তাদের ডাকাত সন্দেহে পুলিশকে প্রথম খবর দেয় মো: আমিন।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ রোডে টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় করা মামলায় সিনহার সফরসঙ্গী সিফাতকে আসামি করা হয়। সেই মামলায় বেশ কয়েকজনকে সাক্ষীও করা হয়।

এদিকে ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী, ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ৬ আগস্ট বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপসহ সাত আসামি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। মামলার শুনানিতে র‌্যাবের পক্ষে প্রত্যেক আসামির ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত লিয়াকত, প্রদীপ ও নন্দ দুলাল রক্ষিতের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাকি চারজনকে দুদিন কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। অন্য দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।