সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবতা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি আজ মঙ্গলবার। শাস্ত্রমতে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে। তার জন্মতিথিকে জন্মাষ্টমী হিসেবে উদ্যাপন করা হয়।

হিন্দুধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, ৫ হাজার বছর আগে পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়, নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়, তখন সেই অশুভ শক্তিকে দমন করে কল্যাণ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য অবতার হিসেবে শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটে। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের জন্য যুগে যুগে ভগবান মানুষের মধ্যে অবতীর্ণ হন এবং সত্য ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠা করেন।

আজ সরকারি ছুটির দিন। দিনটি উদযাপন করতে প্রতি বছর সমাবেশ, শোভাযাত্রা, মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে এমন কোনো আয়োজনই থাকছে না। ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসরণ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা-অর্চনা আর মন্দির প্রাঙ্গণেই সীমাবদ্ধ থাকবে সব আয়োজন। আজ সকাল ৮টায় করোনা থেকে মুক্তি এবং দেশ, জাতি ও বিশ্ব মঙ্গল কামনায় গীতাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হবে ও রাতে শ্রীকৃষ্ণ পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা রামকৃষ্ণ মঠে এ উপলক্ষে সকাল ৯টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত গীতা পাঠের আয়োজন করা হয়েছে। অন্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ভজন, দুপুরে প্রসাদ বিতরণ, রাত ৮টায় শ্রীকৃষ্ণ পূজা। ভক্তদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এসব কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার জন্য মঠের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জন্মাষ্টমী

উপলক্ষে আলাদা বাণীতে হিন্দু সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জী, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট কিশোর রঞ্জন ম-ল বিবৃতিতে জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষকে জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।