×

জাতীয়

ন্যায়বিচারের জন্য অপেক্ষা করবেন শিপ্রা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২০, ০৯:৫৬ এএম

অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনা তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। জীবনের শেষ বিন্দু দিয়ে হলেও এ মামলার বিচার দেখে যেতে চান এ শিক্ষার্থী। ন্যায়বিচারের স্বার্থে প্রয়োজন হলে জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন বলেও জানান তিনি। কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহত হওয়ার ঘটনায় জামিনে থাকা শিপ্রা দেবনাথকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন কথা বলেন বলে জানিয়েছেন র‌্যাব লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ।

এছাড়াও তিনি জানান, জেল গেটে ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। তাই তদন্তের স্বার্থে আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। গতকাল রবিবার র‌্যাব সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। র‌্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, জামিনে ইতোমধ্যে মুক্ত স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম ও মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী শিপ্রা দেবনাথ তদন্ত কর্মকর্তার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সম্পর্শকাতর এ কথাগুলো জানিয়েছেন। এদিকে আদালতের নির্দেশনা মতে, চার আসামির জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলেও মূল অভিযুক্ত তিনজনকে গত চার দিনেও রিমান্ডে নেয়া যায়নি।

রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন মামলার ১ নম্বর আসামি বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলী, ২ নম্বর আসামি টেকনাফ থানা পুলিশের ওসি (বরখাস্ত) প্রদীপ কুমার দাশ ও ৩ নম্বর আসামি এসআই (বরখাস্ত) নন্দ দুলাল রক্ষিত। বৃহস্পতিবার তাদের প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পাশাপাশি পুলিশের সাবেক এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন বিচারক। সেই জিজ্ঞাসাবাদ গতকাল সোমবার শেষ হয়েছে। এদিকে এই চার অভিযুক্তকে নতুন করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে র‌্যাব। লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ গতকাল বলেন, আদালতের নির্দেশনা ছিল ১০ কার্যদিবসের মধ্যে রিমান্ড সংক্রান্ত কার্যক্রম শেষ করার জন্য। তবে এ সময়সীমাকে উন্মুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করলে আরো ৭ কর্মদিবস সুবিধা মতো সময় বাড়াতে পারবেন।

ইতোমধ্যে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত ও এসআই নন্দলাল রক্ষিতের ৭ দিন রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনে করছেন, শুরুতে তিনি সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে অভিযুক্তদের পর্যায়ক্রমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তের স্বার্থে বাহিনীর যে কাউকে নিতে পারেন। তবে ইতোমধ্যে তাকে কিছু দক্ষ কর্মকর্তাই সহায়তা করছেন। তিনি আরো বলেন, মূলত জেলগেটে যে ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তারা বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে ওই দিন চেকপোস্টে উপস্থিত ছিলেন বলে র‌্যাবকে জানিয়েছেন। তাদের দুদিন করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তদন্তের স্বার্থে আরো ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App