×

জাতীয়

স্থানীয় সরকার নির্বাচন, অভিন্ন আইন করছে ইসি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২০, ০৫:১৩ পিএম

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচনের জন্য অভিন্ন আইন তৈরি করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিদ্যমান ব্যবস্থায় পৃথক পাঁচটি বিধিমালার অধীনে পরিচালিত হয় এই নির্বাচনগুলো। এগুলো অভিন্ন স্বতন্ত্র আইনের অধীনে পরিচালনার লক্ষ্যে এই আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে। ‘স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান নির্বাচন আইন, ২০২০’ শিরোনামের এই আইনের খসড়া সোমবার (১০ আগস্ট) কমিশন সভায় অনুমোদন হবার কথা। সেই সাথে সিটি কর্পোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের সব পর্যায়ের নাম ও পদবী ইংরেজির বদলে বাংলায় রুপান্তরের প্রস্তাব করা হয়েছে। আজ নির্বাচন কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, খসড়া আইনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নাম ও পদবি সবই বদলের প্রস্তাবও করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের নাম বদলে রাখা হয়েছে ‘মহানগর সভা’। পৌরসভার নাম ‘নগরসভা’ ও ইউনিয়ন পরিষদের নাম ‘পল্লি পরিষদ’ রাখা হয়েছে। তবে জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের নাম অপরিবর্তিত থাকছে। সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের পদবিও পরিবর্তন করা হয়েছে। এতে সিটি করপোরেশনের মেয়র পদবি বদলে ‘আধিকারিক’ ও পৌরসভার মেয়রদের পদবি ‘পুরাধ্যক্ষ’ বা নগরপতি রাখার কথা বলা হয়েছে। পৌর কাউন্সিলরকে বলা হবে পরিষদ সদস্য, ওয়ার্ডকে বলা হবে মহল্লা। উপজেলা ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের নাম হবে উপজেলা বা জেলা প্রধান।

প্রসঙ্গত, ইসির প্রস্তাবিত নাম পদবি অনুযায়ী আইনটি পাস হলে তার সামঞ্জস্য বিধানে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান আইনেও সংশোধনী আনার প্রয়োজন পড়বে। বর্তমানে দেশে স্থানীয় সরকারের পাঁচটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো হলো ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন। আইনটি প্রণয়নের যৌক্তিকতা তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনের খসড়ায় বলা হয়, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যয্য রয়েছে। যার কারণে স্বতন্ত্র আইন প্রণয়ন সমীচীন ও প্রয়োজন। এতে আরও বলা হয়, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯, উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮, জেলা পরিষদ আইন, ২০০০, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ ও স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এ নির্বাচন পরিচালনার জন্য বিভিন্ন অধ্যায় ও ধারা সংযুক্ত রয়েছে। ওইসব আইন থেকে নির্বাচন সংক্রান্ত বিধানাবলি আলাদা করতে স্বতন্ত্র আইন করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ইসি সচিব মো. আলমগীর বলেন, বর্তমানে একেক প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনে একেক ধরনের বিধান আছে। আমরা স্থানীয় সরকারের সব প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন পরিচালনায় একই ছাতার মধ্যে আনতে যাচ্ছি। এতে বিদ্যমান আইন ও বিধির সমন্বয় ঘটানো হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের নাম ও পদবি পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক ইংরেজি নামের বাংলা অনুবাদ করা হয়েছে। এ কারণে নামে পরিবর্তন আসছে। এছাড়া আইনটি সংসদে পাস হবে। সংসদই এসব নাম ও পদবি ঠিক করবে। আইনের খসড়া তৈরির সঙ্গে যুক্ত ইসির সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কমিশনের একান্ত আগ্রহে এ খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এটি পরিবর্তন ও পরিমার্জনের জন্য একজন পরমর্শক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। গতকাল সোমবার খসড়া আইনটি কমিশন সভায় অনুমোদনের জন্য তোলা হয়। কমিশন সভা থেকে যে নির্দেশনা আসবে সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, এ আইন পাস হলে স্থানীয় সরকারের সব প্রতিষ্ঠানের আইনে সংশোধনী আনার প্রয়োজন হবে। ওই সংশোধনীগুলো করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App