×

সারাদেশ

করোনাতেও ডুমুরিয়ার শসাচাষীদের ‍মুখে হাসি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২০, ১২:২৭ পিএম

করোনাতেও ডুমুরিয়ার শসাচাষীদের ‍মুখে হাসি

শসার বাম্পার ফলন

খুলনার ডুমুরিয়ায় মৌসুমী সবজি শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও ভাল দাম পেয়ে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। জেলার পাঁচটি উপজেলায় সবজি ক্ষেত ও মৎস্য ঘেরের পারে বিপুল পরিমান শসার চাষ হয়েছে। প্রতিদিন এই জেলা থেকে শতাধিক ট্রাকে শসা যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোতে। করোনা পরিস্থিতিতে নিজ বাড়ির সামনে বসে নায্যমূল্যে ব্যবসায়ীদের কাছে শসা বিক্রি করতে পেরে খুশি কৃষকরা।

ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়ানের কুলবাড়িয়া গ্রামের শসা চাষী আসাদুজ্জামান জানান, শসা একটি স্বল্প সময়ের সবজি। বিচি রোপনের ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে ফল আসে। ফল আসার পরে ৩৫ থেকে ৪০ দিন পর্যন্ত গাছে ফল দেয়। ভাল পরিচর্যা এবং প্রয়োজনীয় সার দিলে এক একর জমি থেকে প্রতিদিন ৬ থেকে ৯ মন পর্যন্ত শসা বিক্রি করা যায়।

ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন ও‌কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী খুলনা জেলার উপজেলায় ১শত ২০হেক্টর জমিতে শসার চাষ হচ্ছে। এ বছরে শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে এর মধ্যে সব থেকে বেশি শসা উৎপাদন হয় ডুমুরিয়া উপজেলায়।

এই উপজেলা থেকে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাকে করে শসাসহ বিভিন্ন সবজি যায় বিদেশ ও দেশের বড় বড় শহরে যাচ্ছে। চলতি বছর হাজার টনের বেশি শসা উৎপাদন হবে খুলনা জেলায়। জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় ডুমুরিয়া উপজেলার শসা যাচ্ছে। কোন প্রকার ‌ ব্রোকার ছাড়ায় সরাসরি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করায় কৃষকরাও লাভবান হচ্ছেন।

ডুমুরিয়া উপজেলার টিপনা গ্রামের মো. ফারুক সরদার বলেন, এক একর জমিতে শসার চাষ করেছি। গেল ১০ দিন থেকে বিক্রি শুরু করেছি। প্রতিদিন ৫ থেকে ৮ মন পর্যন্ত শসা বিক্রি করি। এবার ফলনও যেমন বেশি হয়েছে। দামও মোটামুটি ভাল পাচ্ছি।

উপজেলার শরাফপুর গ্রামের কৃষক মৃত্যুজয় বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে একটু দেরিতে বিভিন্ন সবজির বীজ বপন করেছি। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবার শসার ফলন খুব ভাল হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগও আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছেন। পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি অথবা ৪শ’ থেকে ৬শ’ টাকা মন বিক্রি করছি। এরকম দাম থাকলে এবার আমাদের মোটামুটি ভালই লাভ হবে।

ডুমুরিয়া উপজেলা মির্জাপুর গ্রামের ‌সাবেক মেম্বার মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, এ বছর ১০ একর জমিতে শসার চাষ করেছি। তিন লক্ষ টাকা ব্যয় করেছি। বর্তমানে প্রতিদিন একশো মনের উপরে শসা বিক্রি করছি। আমার কৃষি ক্ষেত ও মাছের ঘেরে নিয়মিত আটজন শ্রমিক কাজ করেন। সব খরচ দিয়ে এবছর শসায় ১০ লক্ষাধিক টাকা লাভ হবে বলে মনে করছি।

খুলনা জেলার কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, খুলনা জেলায় সবজি আবাদের উপর অতিরিক্ত জোর দেওয়া হয়েছে। সরকার সময়মত বীজ, সার ও ঋণ প্রবাহ সচল রেখেছেন। যার ফলে এবছর বিভিন্ন সবজি বিশেষ করে শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছর খুলনা র কয়েকটি উপজেলায় ৫০ হাজার টন শসার ফলন হবে। আমরাও কৃষকদের সব ধরণের কারিগরি সহযোগিতা ও বাজারজাত করণের পরামর্শ দিয়েছি। যাতে কৃষকরা লাভবান হতে পারে সেজন্য আমাদের সব ধরণের চেষ্টা রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App