×

রাজধানী

হাসপাতালটির কী হবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২০, ০৯:০২ এএম

হাসপাতালটির কী হবে

হাসপাতাল

মহাখালী করোনা হাসপাতাল দেড়শ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রস্তুত হলেও চালুর সিদ্ধান্ত নেই, অনেক কাজ বাকি

১৪১ কোটি ২৭ লাখ ৭৮ হাজার টাকা খরচ করে তৈরি হতে থাকা মহাখালী করোনা হাসপাতাল কবে দেখবে আলোর মুখ! এমন প্রশ্নের উত্তর জানা নেই কারোরই। সমালোচনার দায় এড়াতে তড়িঘড়ি করে বিদেশগামী যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হলেও হাসপাতালটি রোগীদের চিকিৎসার জন্য উন্মূক্ত করা হচ্ছে না। সিটি করপোরেশন বলছে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উদ্বোধন স্থগিত রয়েছে। তবে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে হাসপাতালটির ৪০ ভাগ কাজ এখনো বাকি।

প্রস্তুত হয়নি সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন, পিসিআর ল্যাব, আইসিইউ : হাসপাতালটির সার্বিক তত্ত¡াবধানে থাকা সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পর্যাপ্ত ডাক্তার, নার্স আয়াসহ অন্যান্য বিভাগের লোক নিয়োগ দেয়া হলেও রোগীদের জরুরি সেবার জন্য সেন্ট্রাল অক্রিজেন লাইন, পিসিআর ল্যাব, আইসিইউসহ অনেক প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এখনো বসানো হয়নি।

এপ্রিল থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত ভেন্টিলেটরসহ আইসিইউ সরঞ্জাম কেনার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এসব সরঞ্জাম কেনার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বাস্থ্য খাতের প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে সব কাজ শেষ হতে আরো তিন থেকে চার মাসও লাগতে পারে। ফলে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় স্থাপিত হাসপাতালটি কবে প্রস্তুত হবে এবং সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পাবে- তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ততদিনে এ ধরনের হাসপাতালের প্রয়োজনীয়তা থাকবে কিনা সেটিও ভাবার বিষয়।

যন্ত্রপাতির অভাবে হাসপাতালটি এখনো রোগী সেবার জন্য প্রস্তুত হয়নি এমনটা বলা হলেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আলাদা অর্থায়নে নির্মাণাধীন এই হাসপাতালের সরকারি অর্থায়নে হচ্ছে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল। অন্যদিকে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে হচ্ছে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল। একই ভবনে নির্মিত দুটি হাসপাতালে যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪১ কোটি ২৭ লাখ ৭৮ হাজার ৩৩২ টাকা। জানা গেছে, হাসপাতালটি তৈরিতে ইউনিসেফ, ইউএনএফপিএসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা কেনাকাটার ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে সহায়তা করছে।

জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুবায়ের রহমান ভোরের কাগজকে বলেন, আমরা সেনাবাহিনী জনগণের কল্যাণে কাজ করি। সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করি। সরকারের সিদ্ধান্ত- আপাতত হাসপাতল কার্যক্রম স্থগিত রেখে বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষা শুরু করার। আমরা সেই মোতাবেক কাজ করছি। রোগীদের সেবা দিতে হাসপাতালটি পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো কিছু কাজ বাকি রয়েছে। জরুরি চিকিৎসার জন্য সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন এবং পিসিআর ল্যাব স্থাপন হয়নি। আমি ইতোমধ্যে এগুলো জরুরি ভিত্তিতে স্থাপনের জন্য মন্ত্রণালায়ে আলাপ করেছি। তবে আশা করছি দ্রুতই সব প্রস্তুতি শেষ হবে। হাসপাতালটির নির্মাণ ব্যয়ের পরিমাণ জানতে চাইলে এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানে না বলে জানান।

সরেজমিন গিয়ে যা দেখা গেল : হাসপাতালটির গেটে একটি ব্যানার ঝুলানো রয়েছে; তাতে লেখা অস্থায়ী কোভিড-১৯ স্বাস্থ্য পরিচর্যা (আইসোলেশন) কেন্দ্র। ৬ তলা ভরনের উপরের তলা হাসপাতাল। আর নিচের তলাগুলো আইসোলেশনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। ডেকোরেশনের কাজ অনেক বাকি। শ্রমিকরা এখনো কাজ করছেন। ক্লিনাররা ঘষামাজা করছেন। তবে বেশির ভাগ শ্রমিকই কাজ বাদ দিয়ে কয়েকজন মিলে গেমস খেলছেন, কেউবা রোগীর জন্য বসানো শয্যায় ঘুমাচ্ছেন। কক্ষগুলোতে শয্যা বসানো হলেও যন্ত্রপাতি নেই। খাবার রাখার ট্রলিও নেই। করোনা নমুনা সংগ্রহের জন্য প্রতিটি তলায় ৩টি করে বুথ বসানো হয়েছে। তবে বুথের ভেতরেও ফাঁকা। ডাক্তারদের জন্য প্রতিটি বøকে দুটি করে আলাদা কক্ষ তৈরি হলেও এখনো বসেনি চেয়ার টেবিল বা মেডিকেল ইনকুইপমেন্ট। বাথরুমে পানির লাইনে সংযোগ নেই। শ্রমিকরা জানালেন, এখনো টেকনিক্যাল অনেক কাজ বাকি। তবে অনেক বিষয়েই মুখ খুলতে রাজি হননি তারা।

নিচতলায় সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে গত ২০ জুলাই থেকে বিদেশগামী যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা চলছে। মোট ২০টি বুথ স্থাপনের মাধ্যমে ওই কার্যক্রম পরিচালনা করা হলেও ৫-৬টা বুথে নমুনা পরীক্ষা করতে দেখা গেছে। বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক, নারী ও বিদেশি নাগরিকদের জন্য পৃথক নমুনা সংগ্রহ বুথ নির্ধারণ করা হলেও সেই ধারাবাহিকতা না মেনে যে যেখানে সুযোগ পাচ্ছেন সেই বুথে নমুনা দিচ্ছেন। কেনো সিস্টেম মানা হচ্ছে না কেন? জানতে চাইলে ৫ নং বুথের টেকনোলজিস্টের বক্তব্য, নমুনা এক বুথে নিলেই তো হলো। তাহলে কেনো আলাদা করে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে অনেকটাই বিরক্ত ওই টেকনোজিস্ট সোহাগ। এখানে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিদেশ যাত্রার ৭২ ঘণ্টা পূর্বে নমুনা সংগ্রহ এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তারা। নমুনা পরীক্ষা ফি বাবদ নেয়া হচ্ছে তিন হাজার ৫৩৫ টাকা।

সাধারণ রোগীদের জন্য কবে উন্মুক্ত হচ্ছে হাসপাতালটি- এমন প্রশ্নের উত্তরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসির) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালটি রোগী ভর্তিসহ সব ধরনের সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী উদ্বোধন কাজ আপাতত স্থগিত রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা যত দ্রুত সম্ভব চালু করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয় থেকেও এই হাসপাতাল চালুর ব্যাপারে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।

এক ভবনে দুটি হাসপাতাল : উত্তর সিটি করপোরেশন মার্কেট ভবনে একটি সরকারি; অন্যটি বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে- দুটি হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। একই ভবনে কেন আলাদা দুটি হাসপাতাল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে গত ২৯ জুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে বলছেন, করোনা হাসপাতালে ৪০ শতাংশ শয্যা এখনো খালি। এরপরও কেন একই ভবনে দুই হাসপাতাল এবং এর জন্য আলাদা কেনাকাটাই বা কেন তা কারও কাছেই স্পষ্ট নয়।

যন্ত্রপাতি কেনায় মোটা অঙ্কের দুর্নীতি : জানা গেছে, সরকারি অর্থায়নে এক হাজার শয্যার হাসপাতালের জন্য কেনাকাটায় ৭১ কোটি ২৭ লাখ ৭১ হাজার ৭১৫ কোটি টাকার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। যেখানে ৮৯ ধরনের চিকিৎসা সরঞ্জামের তালিকা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ২৫০ শয্যার জন্য ৬৯ কোটি ৭৫ লাখ ৬ হাজার ৬১৭ টাকা প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। ৪৪ ধরনের চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার কথা বলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেনাকাটার জন্য যদি আলাদা উৎস থেকেই অর্থ আসবে তাহলে একই স্থানে দুটি হাসপাতাল করতে হবে কেন? এর কোনো মানে নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৃথক দুটি হাসপাতালের জন্য মেডিসিন ও ইলেক্ট্রোমেডিকেল ইকুইপমেন্ট চাহিদাকরণ প্রসঙ্গে দুটি আলাদা স্মারকও দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে। এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রীর চাহিদাপত্রে দেয়া বিবরণীতে দেখা যায়, বালিশ থেকে শুরু করে এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন পর্যন্ত প্রায় ৮৯ ধরনের সরঞ্জাম চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫০টি ইলেক্ট্রিক কেটলি, ৫০টি খাদ্যসামগ্রী বিতরণ ট্রলি, ১ হাজার ম্যাট্রেস, ১ হাজার বালিশ, ২ হাজার রোগীদের পোশাকের কোনো মূল্য ধার্য করা হয়নি। বাকি ৮৪ ধরনের পণ্যের মূল্য ধরা হয়েছে ৭১ কোটি ২৭ লাখ ৭১ হাজার ৭১৫ কোটি টাকা।

তবে অন্য একটি হিসাবে দেখা যায়, ৪৪ ধরনের সরঞ্জামসহ কনস্ট্রাকশন ব্যয়, আসবাবপত্র, এমএসআর এবং এইচআর ব্যয়সহ ৩৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা। সেই তালিকায় মেডিকেল সরঞ্জাম, এমএসআর, রিএজেন্টমেডিসিন এন্ড ভ্যাক্সিন, আইসিইউ সরঞ্জাম এবং চিকিৎসা যন্ত্রপাতির পৃথক তালিকা করে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৮১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২৫০ শয্যার হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা হবে ৫০টি। শুধুমাত্র এর জন্যই বরাদ্দ ছিল ৬২ কোটি টাকা।

অন্যদিকে কিছু চিকিৎসা সরঞ্জাম কয়েক গুণ বেশি দামে কেনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যেমন, একটি পালস অক্সিমিটার (রক্তে দ্রবীভ‚ত অক্সিজেনের পাশাপাশি হৃৎস্পন্দন পরিমাপ করার যন্ত্র) ৩০ হাজার টাকার বেশি দাম দিয়ে কেনা হচ্ছে। সাধারণত সাড়ে ৩ থেকে ১০ হাজার টাকা দামের যন্ত্র সারাদেশে ব্যবহার করা হচ্ছে।

জানতে চাইলে হাসপাতালটির প্রকল্প পরিচালক ইকবাল কবির বলেন, স্বাস্থ্য খাতের প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা কেনাকাটায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও ভবনের কিছু ইলেকট্রিক্যাল কাজ বাকি। বেড রেডি, বুথ বসানো হয়েছে। অক্সিজেন সাপ্লাই রেডি হচ্ছে। সব যন্ত্রপাতি এ মাসের মধ্যে এসে যাবে।

মহামারি শেষ হলে স্থায়ী হাসপাতাল করার চিন্তা সংশ্লিষ্টদের : জানা গেছে, প্রস্তুতিতে দেরি হলেও এখানে দোকান বিক্রি না জনগণের সুরক্ষায় তৈরি হাসপাতালটিকে স্থায়ী রূপ দেয়ার প্রস্তাব করেছেন মেয়র আতিকুর রহমান। এ বিষয়ে হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুবাইদুর রহমান বলেন, মহামারি শেষ হলে কী হবে সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত। তবে কোভিডসহ অন্যান্য রোগীদের জন্য এটাকে জেনারেল হাসপাতাল হিসেবে রেখে দেয়ার বিষয়ে মেয়রের সঙ্গে কথা বলেছি। তারও একই মত। ইতোমধ্যে এমন প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে দেয়া হয়েছে। এটা বাস্তবায়ন হলে সাধারণ রোগীরা উপকৃত হবে।

২০১৩ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মহাখালীতে প্রায় এক বিঘা ১১ কাঠা জমির ওপর ৬ তলা এই ভবনটি করা হয়েছিল মূলত কাঁচাবাজার করার জন্য। কাওরান বাজারের ব্যবসায়ীদের স্থানান্তরের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু, দীর্ঘ ৭ বছরেও সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি। কয়েক দফা বিজ্ঞপ্তি দিয়েও পাওয়া যায়নি দোকান বরাদ্দের আবেদন। যে কয়েকটি পাওয়া গেছে, তা-ও মোট দোকানের তুলনায় অপ্রতুল। ফলে মার্কেটটি নিয়ে বিপাকে পড়ে যায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এর পরই করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ায়, এই ভবনকে অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরির তোড়জোর শুরু হয়।

অন্যদিকে, লন্ডনের এক্সেল এক্সিবিশন সেন্টারের নাইটিঙ্গেল হাসপাতাল ও মাদ্রিদের আইএফইএমএ কনভেনশন সেন্টারের আদলে ৭১ কোটি টাকা খরচ করে ২১ দিনে তৈরি করা রাজধানীর বসুন্ধরা করোনা হাসপাতালটিও এখন রোগীহীন অবস্থায় পড়ে আছে।

ঝকঝকে সাজানো গোছানো ২ হাজার ১৩ শয্যার হাসপাতলটিতে ট্রেড সেন্টারে ৬ ক্লাস্টারে ১ হাজার ৪৮৮টি বেড। ৩টি কনভেনশন হলে রয়েছে ৫২৫টি বেড। এর বাইরে ৪ নম্বর হলে ৭১ বেডে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)। রয়েছে উন্নতমানের পোর্টেবল অক্সিজেন প্ল্যান্ট। এত সব কিছু প্রস্তুত থাকার পরও এখানে রোগী নেই।

রাজধানীর কুড়িল এলাকায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার ৪টি কনভেনশন সেন্টার এবং একটি প্রদর্শনী তাঁবুতে গড়ে ওঠা দেশের সবেচেয়ে বড় এই কোভিড-১৯ হাসপাতালটি চালু হয়েছে আড়াই মাস আগে। মৃদু ও মাঝারি উপসর্গে থাকা করোনা রোগীদের জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ খরচা করে এই হাসপাতাল তৈরি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এছাড়া হাসপাতাল পরিচালনার জন্য ডা. তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে ১৮৬ জন ডাক্তার পর্যাপ্ত সংখ্যক নার্সও নিয়োগ দেয়া হয় সরকারের তরফ থেকে। গত ১৭ মে হাসপতালের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মহামারি শেষ হলে এই হাসপাতালটিতে কী করা হবে তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App