ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। আগামী ১৬ আগস্ট থেকে শুরু হবে এ অভিযান। সংস্থাটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস রবিবার এ ঘোষণা দেন। রবিবার (৯আগস্ট) বিকেলে নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বছরব্যাপী সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, বছরব্যাপী মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সকলের সহযোগিতায় আমরা সফলতা পাচ্ছি, ঢাকাবাসী সুফল পাচ্ছে। ফলে ঢাকা দক্ষিণে মশার প্রকোপ নেই বললেই চলে। তারপরও ঢাকা দক্ষিণ এলাকায় বিশেষ করে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও নির্মাণাধীন ভবনে এখনো ডেঙ্গু মশার প্রজনন স্থল রয়ে গেছে। যেহেতু এই সময়টাতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হয়, তাই আমাদের কর্মপরিকল্পনার শেষ পন্থা আমরা এখন অবলম্বন করতে যাচ্ছি। তিনি বলেন, ১৬ আগস্ট থেকে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত চালু করব। এর মাধ্যমে যেসকল সংস্থা ও নির্মাণাধীন ভবনে এখনো ডেঙ্গু মশার প্রজনন উৎসস্থল রয়ে গেছে, সেগুলোতে আমরা যেমন মশা নিধন করব, সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাদেরকে সচেতন করব, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাও নেব। যাতে করে তারা এ ব্যাপারে আরো সচেতন হয় এবং নিজেরা স্বপ্রনোদিত হয়ে ডেঙ্গু মশা নির্মূলে কার্যকর ব্যবস্থা নেব।

আমাদের এত ব্যাপক কার্যক্রমের পরেও যদি বিভিন্ন ছোট-খাটো জায়গায় ডেঙ্গু প্রজননের উৎসস্থল রয়ে যায়, তাহলে ঢাকাবাসী আমাদের কার্যক্রমের সেই সুফলটা পাবেনা। সেজন্য আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত চালু করছি। পর্যায়ক্রমে এলাকাভিত্তিক যেসব জায়গায় বেশি প্রকোপ দেখা যাবে সেসব জায়গায আমরা ব্যবস্থা নেব। শুরুতে আমরা দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালনা করব। আমরা আশা করবো যে, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও নির্মাণাধীন ভবনের মালিকরা নিজেরা সচেতন হয়ে, স্বপ্রণোদিতভাবে তাদের নিজেদের এলাকাগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ মশক নিধনে কার্যকর ব্যবস্থা নেন। যাতে করে তাদেরকে আর জরিমানা দিতে না হয়। তাহলে আমরা সম্পূর্ণরূপে মশাবাহিত রোগ-ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ইত্যাদি নির্মূল করতে পারব।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে দক্ষিণ সিটিতে যে ১ লাখ বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে, তা বণ্টনের রূপরেখা দিয়ে আগামী দুই মাসের মধ্যে সে কাজ সম্পন্নের নির্দেশ দেন মেয়র। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ মো. ইমদাদুল হক, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মো. বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদসহ আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা।