দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত চেয়ারম্যানসহ অর্ধশতাধিক
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০২০, ০৬:৩০ পিএম
ছবি: প্রতিনিধি
মিথ্যা মামলা দায়েরের জের ধরে শনিবার ( ৮ আগস্ট) নেত্রকোণার মদন উপজেলার নায়েকপুর-বাঁশরী দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ৪ ঘন্টাব্যপী এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুপক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে বলে ইউপি চেয়ারম্য্যান শেখ আতিকুর রহমান রুমান নিশ্চিত করেছেন। তিনি নিজেও ঝগড়া থামাতে গিয়ে আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বাঁশরী গ্রামের শরীফের অবস্থা আশংকাজনক থাকায় ময়মনসিংহ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে মোতাহার হোসেন টিটু, নয়ন, সুমন, আরশ, আশাদুল, ইমরান, এরশাদ, লায়লাতুলকে মদন হাসপাতালে ভর্তি আছে ও অন্যরা স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের চিকিৎসাধীন আছে।
জানা যায়, ঈদুল আযহার দিন কেন্দুয়া তাম্বুলী পাড়া পার্কে যাওয়ার জন্য বাঁশরী ট্রলার ঘাটে নৌকায় যাত্রী উঠা নিয়ে নায়েকপুর গ্রামের নৌকার মাঝি জাসদ ও বাঁশরী গ্রামের মাঝি নূরুল ইসলামের মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয়। এ ঘটনায় নায়েকপুর গ্রামের সবুজ বেপারী বাদি হয়ে বাঁশরী গ্রামের হাজী জালাল উদ্দিনসহ ২৫ জনকে আসামি করে মদন থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করেন।
এরই জের ধরে শনিবার সকালে বাঁশরী বাজারের পাশের খরই খালের সেতুতে বাঁশরী গ্রামের সোহাগের গ্রুপের সঙ্গে নায়েকপুর গ্রামের শিপনের গ্রুপের এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে। এতে ইট শুরকি ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৩ ঘন্টা প্রচেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খালিয়াজুরী সার্কেল জামাল উদ্দিন জানান, একজন বয়স্ক হাজি ব্যক্তিকে চুরির মামলায় আসামি করায় এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তবে ট্রলার ঘাটে আধিপত্ত বিস্তারকে কেন্দ্র করেই দুই গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।