×

জাতীয়

এসপি-ওসির ফোনালাপ যাচাই-বাছাই হচ্ছে: র‌্যাব

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০২০, ০৯:৩৮ পিএম

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ফোনালাপের বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থাও নেয়া হবে। শনিবার (৮ আগস্ট) বিমানবন্দরে র‌্যাব সদর দপ্তর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সিনহা হত্যার মামলাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এ মামলার তদন্তে র‌্যাব সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবে। এর পাশাপাশি যে বিষয়গুলো গণমাধ্যমে এসেছে, সব বিষয় সমন্বিত করে তদন্ত কর্মকর্তা কাজ করবেন। তদন্ত কর্মকর্তা মামলা তদন্তের ক্ষেত্রে যদি প্রয়োজন মনে করেন, তবে বাহিনীর যে কারও সহযোগিতা নিতে পারেন। এখানে আইনি কোনো বাধ্যবাধকাতা নেই।

মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলার আসামি পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর সঙ্গে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশের মোবাইল ফোনে কথা হয়। এরপর উভয়েই কক্সবাজার জেলা এসপির (পুলিশ সুপার) সঙ্গে মুঠোফোনে হত্যার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। এ সংক্রান্ত সংশ্লিষ্টদের ফোনালাপ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

ফোনালাপ ফাঁসের বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কি না জানতে চাইলে আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘মেজর (অব.) সিনহা হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট যে ফোনালাপ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তা র‌্যাবের নজরে এসেছে। এ ফোনালাপের বিষয়টি আমরা যাচাই-বাছাই করছি। এছাড়া অন্য বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের মোটিভ কী ছিল? এ হত্যাকাণ্ডে কোন কোন ব্যক্তি নির্দিষ্টভাবে দায়ী? তাদের চিহ্নিত করাই র‌্যাব মূল লক্ষ্য। নিহতের বড় বোন যে মামলাটি করেছেন, ওই মামলায় ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে সাতজন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। বাকি দুজনের বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, বাহারছড়া কেন্দ্রে এই দুটি নামের কোনো পুলিশ সদস্য নেই। এরপরও এই দুজনের বিষয়ে র‍্যাবের তদন্ত চলছে।

আশিক বিল্লাহ বলেন, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথের নামে দুটি মামলা করেছে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। এই দুটি মামলার ক্ষেত্রে পৃথকভাবে একজন আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নিহত মেজর (অব.) সিনহার বড় বোন যে মামলাটি করেছেন, ওই মামলার গুরুত্বপূর্ণ একজন সাক্ষী সিফাত। অপরদিকে সংশ্লিষ্ট পুলিশ যে মামলাটি দায়ের করেছে, ওই মামলায় সিফাত একজন অপরাধী। বর্তমানে সে পুলিশ হেফাজতে। বিষয়টি নিয়ে র‌্যাব পর্যালোচনা করছে, র‌্যাবের বক্তব্য হচ্ছে- যেহেতু পৃথক দুটি মামলা হয়েছে, পুলিশের করা মামলার ক্ষেত্রে যে আইনজীবী আছেন তিনি সিফাত ও শিপ্রাকে মুক্ত বা জামিনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। এর বাইরে র‌্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা সিফাত ও শিপ্রার খোয়া যাওয়া ল্যাপটপ, হার্ডডিক্স, ঘড়ি উদ্ধারের বিষয়ে প্রয়াজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App