কুয়াকাটা যাওয়ার সড়কের সুইজগেটগুলোর বেহাল অবস্থা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২০, ০৪:৩৩ পিএম
ছবি: প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা থেকে সাগরকন্যা কুয়াকাটা যাওয়ার বিকল্প সড়ক হিসেবে পরিচিত বাবলাতলা বাজার থেকে মৎস্য বন্দর মহিপুর-আলীপুর যাতায়তের পাঁকা সড়কটির সুইজ খালগুলোর বেহাল অবস্থা। ওই সড়কটির কয়েকটি সুইজ খালের সংষ্কার কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছে স্থানীয়রা।
চাষাবাদের সুবিধার্থে জোয়ার-ভাটার পানি আসা-যাওয়ার জন্য সড়কটির উপরে কয়েকটি সুইজ খাল রয়েছে। এগুলোর মধ্যে গোমলাখলা সুইজ গেট, মাইক ভাঙ্গা সুইজ গেট,লক্ষি বাজার সুইজ গেট, চাপলি বাজার সুইজ গেট, তুলাতলী বড়োহর পাড়া সুইজগেট গুলোর সংষ্কার কাজ শুরু করা হয়।
গত বছরের শেষ দিকে ওয়াল্ড ব্যাংকের অর্থায়নে ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চায়না সিআইসিও (সিকো) কোম্পানি এসব সুইজ গেটের সংষ্কার কাজ শুরু করেন। করোনা ভাইরাস ও বর্ষা মৌসুমের কারণে দীর্ঘদিন ধরে সংষ্কার কাজ বন্ধ রয়েছে। যাতায়তের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় সুইজ গেটগুলোর উপরিভাগে বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে। প্রতিটি পয়েন্টে হাটু সমান কাঁদা পেরিয়ে যেতে হচ্ছে এলাকাবাসী ও পর্যটকদের।
এ সড়কটির বেহাল অবস্থার জন্য মিস্রিপাড়া বৈদ্যমন্দিরসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্পট দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পর্যটকরাও। শুধু তাই নয়, রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে দ্রুত ও সঠিক সময়ে প্রশাসনের লোকজন পৌছাতে সমস্যা হওয়ায় প্রতিনিয়ত এসব এলাকায় অবৈধ অপকর্ম বৃদ্ধি পাচ্ছে। জরুরী রোগী নিয়ে বেগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। কর্তৃপক্ষ একটু দৃষ্টি দিলেই অনায়াসে এসব সমস্যার সমাধান হতে পারে।
তুলাতলী সুইজগেট সংলগ্ন স্থানীয় সোবাহান হাওলাদার বলেন, এখান হতে মহিপুর সদরে যেতে কয়েকটি জায়গায় কাঁদা পারাতে হয়। এতে যাতায়তে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার হবে এটাই আশা করছি।
এ বিষয়ে লতাচাপলি ইউপি চেয়ারম্যান মো.আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ থাকায় বর্ষার পানিতে রাস্তাটি এখন চলাচলের অনুপযোগী। মৎস্য ব্যবসায়ীদের মাছ পরিবহন, শিক্ষার্থী, পর্যটক ও জরুরী রোগী যাতায়তে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অতিদ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা না নিলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমার পরিষদের সীমিত বাজেট হতে তাৎক্ষণিক এতোগুলো ঝুঁকিপূর্ণ স্থান মেরামত করা সম্ভব নয়। তাই অতিদ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এ বিষয়ে কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) প্রকৌশলী মো. ওয়ালীউল্লাহ বলেন, বর্ষা মৌসুমে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা করার সুযোগ নেই। তবে শুকনা মৌসুমে চলাচলের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে।