×

সারাদেশ

অবশেষে ভাতা কার্ড পেলেন প্রতিবন্ধী নুরুন্নাহার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২০, ০৫:২১ পিএম

অবশেষে ভাতা কার্ড পেলেন প্রতিবন্ধী নুরুন্নাহার
গত ৫ আগষ্ট “ভাতার জন্য ঘুরছেন প্রতিবন্ধি নুরুন্নাহার” শিরোনামে ভোরের কাগজে সংবাদ প্রকাশিত হবার পর অবশেষে ভাতার কার্ড পেলেন নুরুন্নাহার। গুরুদাসপু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.তমাল হোসেন, পৌর মেয়র মো.শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা এবং উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো.শফিকুল ইসলামের প্রচেষ্টায় প্রতিবন্ধী নুরুন্নাহারের ভাতা কার্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) ওই প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড করে দেওয়া হয়। নুরুন্নাহার এবং তার স্বামী ভ্যান চালক আছাদ আলী কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘদিন অতি কষ্টে দিনাতিপাত করেছি। আজ ভাতা কার্ড পেয়ে খুব ভালো লাগছে। দেশজুডে প্রতিবন্ধীদের সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া প্রাথর্না করেন। নুরুন্নাহার বেগম। বয়স (৩৪) বছর। জন্মের পর থেকেই তিনি শারিরীক প্রতিবন্ধী। ডান হাত-পা অচল। সারাক্ষণ চেয়ারে বসে বিছানায় শুয়ে সময় কাটাতে হয়। তার তার স্বামীর বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার পৌর সদরের ১নং ওয়ার্ডের উত্তর নারী বাড়ীতে হলেও ভোটার ছিলেন উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নে। এনিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল। একযুগ আগে বাবা নজের মোল্লাকে হারান তিনি। স্বামী আছাদ আলী (৪৮) একজন ভ্যান চালক । তিন ছেলেসহ ৫ সদস্যের পরিবার তাদের। ৩ ছেলের মধ্যে দুইজনই শিশু বড় ছেলের বয়স ১৩ বছর। সে বাবার পাশাপাশি অন্যের জমিতে দিন মজুরের কাজ করে অতি কষ্টে সংসার চালান। প্রতিবেশী এবং চিকিৎসকের ভাষ্য অনুযায়ী, সঠিকভাবে চিকিৎসা ও পরিচর্যা করলে নুরুন্নাহার আশি ভাগ সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু দরিদ্রতার কারণে নুরুন্নাহারের ভাগ্যে সে চিকিৎসা এখনও জোটেনি। দরিদ্র বাবা জীবিত থাকাকালে সাধ্যমতো মেয়েকে ডাক্তার-কবিরাজ দেখিয়েছেন, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে অনেক কষ্ট করে নিজের শেষ সম্বল বাড়ী টুকু বিক্রি করে ১৮ বছর আগে উত্তর নারিবাড়ী মহল্লার ভ্যান চালক আছাদের সাথে ওই প্রতিবন্ধি মেয়েকে বিয়ে দেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App