সিলেট নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় এক পুলিশ সদস্যের মোটর সাইকেলে একটি বোমা সদৃশ বস্তু নিয়ে বুধবার সন্ধ্যা থেকেই আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিলো নগরজুড়ে। অবশেষে ২২ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস প্রতীক্ষার পর সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট কর্তৃক উদ্ধার করা হয়েছে সেই বোমা সদৃশ ‘গ্রাইন্ডিং মেশিন’। বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) বিকেল চারটার দিকে টিমটি বোমসাদৃশ ‘গ্রাইন্ডিং মেশিন’-টি মোটরসাইকেল থেকে খুলে ফেলা হয়। এর আগে বেলা ২ টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সেনাবাহিনীর এ টিম। গ্রাইন্ডিং মেশিনটি উদ্ধারের পরয় প্রেস ব্রিফিং করে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। ব্রিফিংয়ে সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের বোমা ও বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ লেফটেনেন্ট কর্নেল রাহাত বলেন, বস্তুটি পাওয়ার পরে পুলিশ বাহিনী আমাদের সাথে যোগাযোগ করে। এরপর পুলিশ বাহিনীর অনুরোধে আমরা ঘটনাস্থলে এসে বস্তুটি দেখতে যাই। গিয়ে আমরা দেখি একটি গ্রাইন্ডিং মেশিন। এরপর আমরা অনেক সতর্কতার সাথে বিষয়টি খুলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হই। আর সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, আমরা ঘটনাস্থল ও আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করছি। হতে পারে এটি আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য কেউ রাখতে পারে। তবে আমরা আরও তদন্ত করছি। প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধ্যার দিকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট চয়ন নাইড়ু তার মোটরসাইকেলটি চৌহাট্টা পয়েন্টে রেখে চা খেতে যান। তবে তিনি ফিরে গিয়ে মোটরসাইকেলে বোমা সদৃশ একটি বস্তু দেখতে পান। বিষয়টি থানায় অবহিত করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত এসে ঘটনাস্থল ঘিরে রাখে। সেই সাথে নগরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। একই সাথে বন্ধ রাখা হয় চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার সড়ক। এরপর বোমা সদৃশ ওই বস্তুটি উদ্ধারে দফায় দফায় মিটিংয়ে বসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বুধবার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে র‌্যাব-৯ এর একটি দল। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে দৃশ্যপটে আসে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট। অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার পর বোমার বদলে একটি গ্রাইন্ডার মেশিন উদ্ধারের মাধ্যমে অবসান ঘটে ২২ ঘন্টার আতঙ্কের।