রবীন্দ্রনাথের প্রেম-ভালোবাসা ও প্রেরণার উক্তি
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২০, ১১:৫৭ এএম
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একাধারে অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। বাংলা সাহিত্যের এই উজ্জ্বল নক্ষত্র বাংলা সাহিত্যকে দিয়ে গিয়েছেন অসংখ্য শিল্পকর্ম, এ সব কথা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনি ছড়িয়ে আছেন বাঙালির সর্বক্ষেত্রে। তবে শুধু দেশে নন বিদেশেও তিনি সমান সমাদৃত। আজ ২২ শে শ্রাবণ। তার প্রয়াণ দিবস।
তেমনই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উক্তি ও বাণীও একইভাবে মানুষের মুখে ও মনে মনে ফেরে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উক্তিগুলিকে ভালো করে পড়ে দেখলে তাতে প্রায় সাতটি বিষয় বিভাজন স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তিনি মানুষ-মনুষ্যত্ব, জীবন-জীবনবোধ, ধর্ম, সাহিত্য-শিক্ষা, প্রেম-বন্ধু, বাঙালি, পুরুষ নিয়ে অসংখ্য উক্তি দিয়েছেন।
এর মধ্যে কয়েকটি উক্তি তুলে দেয়া হলো-
- ক্ষমাই যদি করতে না পারো তবে ভালোবাসেছিলে কেন?
- মানুষের মধ্যে দ্বিজত্ব আছে; মানুষ একবার জন্মায় গর্ভের মধ্যে, আবার জন্মায় মুক্ত পৃথিবীতে। মানুষের এক জন্ম আপনাকে নিয়ে, আর এক জন্ম সকলকে নিয়ে।
- যার সঙ্গে মানুষের লোভের সম্বন্ধ তার কাছ থেকে মানুষ প্রয়োজন উদ্ধার করে, কিন্তু কখনও তাকে সম্মান করে না।
- আগুনকে যে ভয় পায়, সে আগুনকে ব্যবহার করতে পারে না।
- বিনয় একটা অভাবাত্মক গুণ। আমার যে অহংকারের বিষয় আছে এইটে না মনে থাকাই বিনয়, আমাকে যে বিনয় প্রকাশ করিতে হইবে এইটে মনে থাকার নাম বিনয় নহে।
- অধিকার ছাড়িয়া দিয়া অধিকার ধরিয়া রাখার মত বিড়ম্বনা আর হয় না।
- অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তবে ঘৃণা তারে যেন তৃণসম দহে।
- যে ছেলে চাবামাত্রই পায়, চাবার পূর্বেই যার অভাব মোচন হতে থাকে; সে নিতান্ত দুর্ভাগা। ইচ্ছা দমন করতে না শিখে কেউ কোনকালে সুখী হতে পারেনা।
- সময়ের সমুদ্রে আছি,কিন্তু একমুহূর্ত সময় নেই।
- নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিশ্বাস, ওপারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস। নদীর ওপার বসি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে; কহে, যাহা কিছু সুখ সকলি ওপারে।
- যাহারা নিজে বিশ্বাস নষ্ট করে না তাহারাই অন্যকে বিশ্বাস করে।