×

মুক্তচিন্তা

বাইডেন এগিয়ে জিতবেন ট্রাম্প

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২০, ০৬:৪৪ পিএম

ট্রাম্প নির্বাচন পেছানোর প্রস্তাব করেছেন! কিছু মিডিয়া বলেছে, হেরে যাবার ভয়ে তিনি নির্বাচন পেছাতে চাচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পেছাতে পারেন না, ট্রাম্প তা ভালোই জানেন। নির্বাচন পেছানোর ক্ষমতা কংগ্রেসের। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস ডেমোক্রেটদের দখলে। তারা নির্বাচন পেছাবেন না, এটা জেনেও ট্রাম্প কেন এ কথা বলেছেন? মার্কিন ইতিহাসে নির্বাচন পেছানোর খুব একটা দৃষ্টান্ত নেই? তবু ট্রাম্প মাত্র একবার একথা বলে হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন। একদিন পর আবার তিনি যথাসময়ে ভোটের কথা বলেছেন, সঙ্গে যোগ করেছেন, পোস্টাল ভোটে গণতন্ত্র ব্যাহত হয়? এটা রাজনীতি। ট্রাম্প খেলছেন। ট্রাম্প স্মার্ট প্লেয়ার। সদ্য ডেমোক্রেট কেউ একজন বিতর্ক বন্ধের কথা বলেছেন। ট্রাম্প সঙ্গে সঙ্গে বলেছেন, বাম ডেমোক্রেটরা বাইডেনকে বাঁচাতে বিতর্ক বন্ধ করতে চায়? বিতর্কে বাইডেন ধরাশায়ী হবেন? প্রথা অনুযায়ী নির্বাচনের আগে প্রধান প্রার্থীদের মধ্যে (সচরাচর ২ জন) তিনটি বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এ মাসে ডেমোক্রেট কনভেনশন। বাইডেন এখনো তার ভাইস-প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দেননি। এ সপ্তাহে দেবেন। ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর কমলা হ্যারিসের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত কিছুই চ‚ড়ান্ত নয়। বাইডেন আগেই ঘোষণা দিয়েছেন, তার রানিং মেট হবেন একজন মহিলা। কে সেই ভাগ্যবতী? বাইডেনের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী যথেষ্ট স্মার্ট ও গ্রহণযোগ্য না হলে এবারকার নির্বাচন ‘পানসে’ হয়ে যাবে। বাইডেন প্রায় সব জরিপে এগিয়ে। হয়তো তিনি এগিয়ে থাকবেন, কারণ মিডিয়া তার পক্ষে। নির্বাচনে জিতবেন ট্রাম্প। ২০১৬-তে তাই ঘটেছিল। প্রায় সব জরিপে হিলারি ডবল ডিজিট ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। হেরেছেন। ট্রাম্প এসব জরিপকে ‘ফেইক পোল’ আখ্যায়িত করেন। ডেমোক্রেটরা ‘ইলেক্টরাল কলেজ’ পদ্ধতি বাতিল করতে চান? নির্বাচন এলে এমন সব কথাবার্তা ওঠে। সাম্প্রতিককালের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন এবং আল গোর পপুলার ভোটে জিতেও নির্বাচনে হেরেছেন, ‘ইলেক্টরাল কলেজ’ পদ্ধতির কারণে। ডেমোক্রেটরা তাই এর বিপক্ষে। মার্কিন রাষ্ট্রের রূপকাররা ছোট-বড় স্টেটের সমান গুরুত্ব বজায় রাখতেই এ পদ্ধতি চালু করেন এবং এটি উঠে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই! ‘ব্ল্যাক লাইফ মেটার্স’ আন্দোলন এখনো ঢিমেতালে চলছে। এর কোনো শেষ নেই? সঙ্গে চলছে, ‘এন্টিফা’ আন্দোলন। হয়তো নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। ডেমোক্রেটরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে অরাজকতা বাড়ছে। ডেমোক্রেটরা পুলিশ ডিফেন্ডিংয়ের পক্ষে। বাইডেন বিপক্ষে। ডেমোক্রেটদের পুলিশের বিপক্ষে অবস্থান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য অনুক‚ল পরিবেশ সৃষ্টি করছে। ট্রাম্প এখন ঘন ঘন চীনের বিরুদ্ধে বলছেন। করোনা ভাইরাসকে তিনি স্পষ্টভাবে ‘চীনা ভাইরাস’ বলছেন। মার্কিনিরা ধীরে ধীরে এন্টি-চীন হচ্ছেন। ট্রাম্প পুরোপুরি এন্টি-চীন অবস্থানে? ডেমোক্রেটরা সম্ভবত এখনো হাওয়া বুঝতে পারেননি। চীন এবারকার নির্বাচনে একটি প্রধান ইস্যু হবে? রিফ্যুজি অনুপ্রবেশ, ইসলামি সন্ত্রাসবাদ, অবৈধ এলিয়েন এন্ট্রি, ইন্টারেস্ট রেট, শিক্ষার্থী ঋণ, নারী অধিকার, ক্লাইমেট চেঞ্জ, মাস্ক পরা বা না পরা; করোনায় এত মৃত্যু; ব্ল্যাক লাইফ মেটার্স, চীন- এসবই নির্বাচনী ইস্যু। স্টিম্যুলাস, ওয়াল স্ট্রিট তো আছেই। অর্থনীতি ভালো থাকলে ট্রাম্পের জন্য সুবিধা। বিপদে পড়ে মানুষ যখন পুলিশে কল দেয়, তখন কাউকে বুঝিয়ে দিতে হয় না, পুলিশের গুরুত্ব কতটা। চলমান পুলিশবিরোধী আন্দোলন বাইডেনকে পথে বসিয়ে দিচ্ছে। কালোদের প্রতি সহানুভ‚তি থাকলেও মাঝেমধ্যে অরাজকতা বা নিত্যদিন আন্দোলনে মানুষ বিরক্ত। সবাই জানতে চাইছে এর শেষ কোথায়? ডেমোক্রেটরা ভাবছে, এই আন্দোলন তাদের হোয়াইট হাউসে নিয়ে যাবে। বাস্তবে উল্টো হয়ে যাবে?

শিতাংশু গুহ : কলাম লেখক।

[email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App