জামালপুরে বন্যা কবলিত এলাকায় চরম দূর্ভোগ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২০, ০৫:৫৮ পিএম
জামালপুরে বন্যার পানি কমায় বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে বানভাসী মানুষরা। দীর্ঘ এক মাসের বন্যায় লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে তাদের বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট। এখন কাঁদা আর বাড়ির চারপাশের পানির মধ্যে বসতি শুরু করতে হচ্ছে এসব পরিবার । এতে চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে তারা।
যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি কমায় জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। দীর্ঘ একমাসের বন্যায় জেলার ৭ উপজেলার রাস্তা-ঘাট বাড়ি-ঘর ও পাট,সবজী ও রোপা-আমন ধানের বীজতলাসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানি তোড়ে কাঁচা-পাকা রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে বন্যা কবলিত এলাকার লাখো মানুষ।
বন্যা কবলিত এলাকায় অধিক সময় ধরে কোন কাজ না থাকায় অনেকটাই বিপাকে এখানকার শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ। খাবার না থাকায় অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে তাদের।
এসব দরিদ্র পরিবারের অভিযোগ, ঈদের আগের ৮ কেজি চাল পেয়েছিল তা শেষ হয়েছে আগেই। এখন ঘরে কোন খাবার নেই, হাতে টাকাও নেই ছেলে-মেয়ে নিয়ে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। সরকার থেকে কোন ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছে না তারা।
ইসলামপুর উপজেলা পশ্চিম বামনা ও দক্ষিণ চিনাডুলি গ্রামের অনেক পরিবারের অভিযোগ দীর্ঘ একমাসের বেশী সময় ধরে তারা বন্যার পানিতে ভাসলেও কোন ত্রাণ পায়নি তারা। সরকারি ত্রাণ সহায়তার দাবি জানান এসব পরিবার।
তিন দফা বন্যায় জেলার প্রায় আড়াই লাখ পরিবারের ১০ লাখ মানুষ এক মাসের অধিক সময় ধরে পানি বন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করে আসছে। এখন পানি কমলেও বানের পানিতে রাস্তা-ঘাট ও বাড়ি-ঘর লন্ডভন্ড হওয়ায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষরা।