×

আন্তর্জাতিক

ডলার কামাতে ওবামাসহ ১৩০ ব্যক্তির ট্যুইটারে হানা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২০, ০৫:০৪ পিএম

ডলার কামাতে ওবামাসহ ১৩০ ব্যক্তির ট্যুইটারে হানা

প্রতীকী ছবি

১৭ বছর বয়সে বারাক ওবামা থেকে ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বিডনসহ প্রায় ১৩০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির ট্যুইটার হ্যাক করেছিল ক্লার্ক। এসব আইডি হ্যাকিং করে ৭ লক্ষ মর্কিন ডলার উপার্জন করতে সক্ষম হয়েছিল ওই হ্যাকার। সে যে হ্যাক করছে, তা ট্যুইটার কর্মীদেরও বুঝতে দেয়নি ক্লার্ক। সে এতটাই ধূর্ত হ্যাকার যে, ট্যুইটার কর্মীদেরও বোঝাতে সক্ষম হয়েছিল ‘সেও ট্যুইটারেরই একজন কর্মী, তাই প্রয়োজনীয় নথির খোঁজ করছে’। আদালতে জমা দেওয়া তদন্ত কর্মকর্তাদের নথিতে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।

যদিও ক্লার্ক একা পুরো অপারেশন চালায়নি। সে হচ্ছে এর মাস্টারমাইন্ড। তার আরও দুই সহযোগী ছিল ১৯ বছরের ম্যাসন শেপার্ড আর ২২ বছরের নিমা ফাজেলি। ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন১৫ জুলাই গ্রাহাম ক্লার্ককে ফ্লোরিডার টাম্পা থেকে গ্রেফতার করে। ট্যুইটার হ্যাকিং ছাড়াও তার বিরুদ্ধে জালিয়াতি, পরিচয় চুরিসহ প্রায় ৩০টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অপারাধের গুরুত্ব বিচার করে নাবালক হলেও ফ্লোরিডায় ক্লার্ককে একজন একজন প্রাপ্ত বয়স্ক হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়েছে।

ফ্লোরিডার অ্যাপাটমেন্ট থেকেই গ্রেফতার কার হয়েছে ক্লার্ককে। একটি সূত্র জানাচ্ছে সদ্যোই সে ফ্লোরিডা থেকে গ্রাজুয়েট ডিগ্রি পেয়েছিল। তার অপরদুই সঙ্গী শেপার্ড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা। আর আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা। এই দুইজনকেও হেফাজতে নিয়েছেন তদন্তকারীরা। ফ্লোরিডার স্টেট অ্য়ারর্নি অ্যান্ড্ররু ওয়ারেনের কথায় ১৭ বছর বয়সে যে অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে ক্লার্ক ও তার সহযোগীরা জড়িয়ে পড়েছে তা কোনও সাধারণ অপরাধ নয়। গুরুতর অপরাধ হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়েছে।

আদালতের নথি অনুযায়ী ক্লার্ক ট্যুইটার কর্মীদের কাছে নিজের পরিচয় লুকিয়েছিল। ট্যুইটার কর্মীদের ক্রমাগত ভুল বুঝিয়ে হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদের নথি হাতিয়ে নিয়েছিল। ব্যবহার করেছে ক্লার্ক #৫২৭০ কোড নাম । বেশ কয়েক বছর ধরেই ক্লার্ক হ্যাকিং-এ রপ্ত হয়ে উঠিছেল। তাতেই বারাক ওবামা থেকে শুরু করে প্রায় ১৩০ জন হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদের ট্যুটার হ্যান্ডেলে ঢুকে পড়ে। তার তা থেকে প্রায় ৭ লক্ষ মার্কিন ডলার উপার্জন করতে সক্ষম হয়েছিল বলেও মনে করছে তদন্তকারীরা। আর সেইসব হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিত্বদের টুইটার হ্যাল্ডেল থেকে বিটকয়েনে অর্থবিনিয়োগ করার আবেদন জানান হয়েছে। আর গত ১৫ এপ্রিলের এই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল বিশ্বকে। তারপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল সোশ্যাল মিডিয়া কতটা নিরাপদ? সাধারণ মানুষের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে ছিল।

তদন্তে নেমে গোটা পরিকল্পনা কিছু ফাঁকফোঁকোর খুঁজে পায় পুলিশ। তাতেই সামনে আসে শেপার্ডের নাম। কারণ সে বিনাইনস আর কয়েনবেস ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সেচেঞ্জের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়েফেলেছিলেন। পাশাপাশি বিটকয়েনের কিছু লেনদেনও তার অ্যাকাউন্ট থেকে হয়েছিল। ফজেলির কম্পিউটার থেকে অন্যের কম্পিউটারে প্রবেশে করার প্রমান পাওয়া গেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App