×

সারাদেশ

সড়ক নয় এ যেন মৃত্যুপথ! 

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২০, ০৩:২৭ পিএম

সড়ক নয় এ যেন মৃত্যুপথ! 

বেহাল দশা সড়কের

সড়ক নয় এ যেন এক মৃত্যুপথ!  দুর্ঘটনা যেন এই সড়কে নিত্য খবর। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া- চান্দুরা সড়কের দৈর্ঘ্য ২১ দশমিক ৯ কিলোমিটার। এই সড়কের আখাউড়া - সিঙ্গারবিল পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য উপযোগী ও ভালো হলেও বাকি ১৭ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা। সড়কের বিভিন্ন জায়গায় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।  সামান্য বৃষ্টি হলেই এসব গর্তে জমে হাঁটু সমান পানি। দূর থেকে দেখলে এসব গর্তকে ডোবা মনে হবে। চষা জমি বললেও ভুল হবে না। আখাউড়া- চান্দুরা সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ও বিজয়রগর উপজেলা এবং হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার কয়েক লক্ষাধিক মানুষ চলাচল করে। এছাড়া এ সড়ক দিয়ে আখাউড়া স্থলবন্দরের পাথরবোঝাই ট্রাকও চলাচল করে। এই বেহাল সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মির্জাপুর গ্রামের নিয়ামত উল্লাহ নামের  এক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিজয়নগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে যাতায়াতের জন্য এটিই একমাত্র প্রধান সড়ক। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক সিএনজি চালিত অটোরিক্সাসহ শতাধিক  ট্রাক চলাচল করে। পুরো সড়কেই গর্ত আর খানাখন্দে ভরা। যেন দেখার কেউ নেই।  এ অঞ্চলের মানুষ এই সড়ককে এখন ভাগ্য হিসাবে মেনে নিয়েছে। আড়িয়ল গ্রামের নিছার মিয়া জানান, বর্তমানে  সড়কে অসংখ্য খানা-খন্দ আর বড় বড় গর্ত। দিন যতই যাচ্ছে সড়কের বেহাল অবস্থাও বাড়ছে। ফলে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। মসজিদপাড়ার আরিফুল নামের এক সিএনজি অটোরিক্সা চালক বলেন, এই সড়কে চলতে গেলে যাত্রীকে ৪/৫ বার উঠানামা করতে হয়। তাছাড়া রাস্তার এই বেহাল দশার কারণে প্রায়ই গাড়ির ইঞ্জিন অচল হয়ে পড়ে। আমীর হোসেন নামের আরেক চালক বলেন,  চলাচল করতে গিয়ে প্রায় সময়ই গাড়ির চাকা গর্তে আটকে যায়। তখন গাড়ি থেকে যাত্রীকে নেমে গাড়ি ঠেলা দিতে হয়। আমতলী বাজারের এক ক্ষুদে ফল ব্যবসায়ি বলেন,  রাস্তার ওপর থেকে সুরকি ও বিটুমিন উঠে গেছে। এতে পথচারী ও যানচালকদের সময় লাগছে বেশি। তাছাড়া মৃত্যু ঝুঁকি তো রয়েছেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্মাণ ও মেরামতের ক্ষেত্রে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় সড়কটি বেশিদিন টিকে না। এছাড়া ভারী যানবাহন ও  পাওয়ার টিলার অবাধে চলার কারণেও সড়কটি দ্রুত নাজুক হয়ে পড়ে। বিজয়নগর উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে পিচ ঢালাই করা সড়কটি পরে ২০১৫ এবং ২০১৭ সালে সংস্কার করা হয়েছিল। সম্প্রতি সড়কটি সংস্কারের জন্য ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিজয়নগর উপজেলার উপ সহকারি প্রকৌশলী সাখায়্যাত হোসেন বলেন  সংস্কার কাজ অনেক আগেই শুরু হয়েছিল । তবে চলমান পরিস্থিতিতে পাথর ও সুরকি আনতে না পারায় বর্তমানে সড়কের সংস্কার কাজ বন্ধ রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App