শাহজাদপুরের তাঁতীদের নেই ঈদ আনন্দ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২০, ১১:৫১ এএম
তাঁত শ্রমীক
করোনা ভাইরাসের ক্রান্তিকালে শাহজাদপুরের তাঁত মালিক ও শ্রমিকরা ঈদুল আজহার বাজার ধরতে শাড়ি, লুঙ্গি তৈরি করতে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন। এরই মধ্যে ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দিয়েছে চলমান বন্যা।
তাঁতিরা জানান, প্রতি বছর ঈদুল আজহাকে ঘিরে এ সময় বাহারি নকশার কাপড় বুনতে নির্ঘুম সময় পার করতেন তারা। মেশিনের খট খট শব্দে মুখর থাকত চারপাশ। কিন্তু এ বছর করোনা ভাইরাসের প্রকোপে লকডাউনে থাকায় হাতছাড়া হয়ে গেছে নববর্ষ ও ঈদুল ফিতরের বাজার। মজুত পড়ে আছে শত শত কোটি টাকার কাপড়। ঈদুল আজহার বাজার ধরার জন্য অনেক কারখানা-মালিক ধার-দেনা, দাদন ও ব্যাংকঋণ নিয়ে ফের কারখানা চালু করলেও ভয়াবহ বন্যার কারণে কয়েক হাজার তাঁত কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া, নগরডালা, হাসাকোলা, রতনকান্দি, বেলতৈল, ডায়া, কৈজুরী, জামিরতা, ভাটপাড়া, জগতলা, জালালপুর, প্রাণনাথপুর, রূপপুর, রূপপুর নতুনপাড়া, উরিরচর, গাড়াদহ নতুনপাড়া, নগরডালা, বাদলবাড়ী, হামলাকোলা, ডায়া নতুনপাড়া, চর পোরজোনা, খুকনীসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রয়েছে অসংখ্য তাঁতপল্লী। করোনায় প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক এমনিতেই দুর্বিষহ অবস্থায় দিনযাপন করছিলেন। সর্বশেষ বন্যা তাদের পথে বসিয়েছে।
শাহজাদপুর উপজেলা তাঁত মালিক সমিতির সভাপতি মো. ওমর ফারুক বলেন, বর্তমানে তাঁতিরা তীব্র পুঁজি সংকটে পড়েছেন। পুঁজির জোগান দিতে না পারায় শাহজাদপুরের ৭০ ভাগ তাঁত পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে প্রায় ২ লাখ তাঁত মালিক ও শ্রমিকের জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে। তাদের মাঝে সরকারিভাবে পুঁজির জোগান দেয়া না হলে এ শিল্পের ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।