×

জাতীয়

ঈদুল আজহার জামাত কোথায়, কখন...

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২০, ১১:৪৩ এএম

আগামীকাল শনিবার বাংলাদেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। বাংলাদেশে গত ২৩ জুলাই জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যায়। ওই দিনই নির্ধারিত হয়ে যায় ঈদুল আজহা ১ আগস্ট। মহান আল্লাহর উদ্দেশে পশু কুরবানির মধ্য দিয়ে দেশের মুসলিম সম্প্রদায় তাদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপন করবে। তবে মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে পবিত্র ঈদুল ফিতরের মতো এবারো ভিন্ন আবহে ঈদ উদযাপন করবে দেশের মুসলমানরা। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার ঈদগাহের পরিবর্তে শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে ঈদের জামাত। ফলে রাজধানীর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণের জাতীয় ঈদগাহেও ঈদের প্রধান জামাত হবে না। কেন্দ্রীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে ঈদের ৬টি জামাত। কেবল জাতীয় ঈদগাহ নয়, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের যে কোনো ঈদগাহ কিংবা খোলা ময়দানে ঈদের জামাতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পরিবর্তে মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করতে বলেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রেও ১৩ দফা শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এদিকে জাতীয় ঈদগাহে যেহেতু এবার ঈদের প্রধান জামাত হ?বে না। তাই জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে এক?টি জামাত বা?ড়ি?য়ে মোট ছয়টি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হ?বে। এর আগে বায়তুল মোকারর?মে পাঁচ?টি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হতো। গতকাল বৃহস্পতিবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ?্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ছয়টি ঈদ জামাত হবে। সকাল ৭টায় হবে প্রথম জামাত। এতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মো. মিজানুর রহমান?। সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে হবে দ্বিতীয় জামাত। এতে ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকারমের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভী। সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে হবে তৃতীয় জামাত। এতে ইমামতি করবেন হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেমের ইমামতিতে চতুর্থ জামাত হবে সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে। পঞ্চম জামাত হবে সকাল সাড়ে ১০টায়। এতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা ওয়ালিয়ূর রহমান খান। ষষ্ঠ ও সর্বশেষ জামাত হবে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে। এতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক উপপরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রব মিয়া। জানা যায়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দানেও ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে একই কারণে এই ময়দানে গত ঈদুল ফিতরের জামাতও অনুষ্ঠিত হয়নি। এছাড়া দেশের সাত বিভাগীয় শহর, জেলা-উপজেলা ও গ্রামেও এবার সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ঈদগাহের পরিবর্তে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সারাদেশের প্রতিটি মসজিদ কমিটি ঈদের নামাজের সময়সূচি নির্ধারণ করবেন। বিভাগীয় ও শিল্পনগরী খুলনা টাউন জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। বরিশাল বিভাগীয় শহরে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে বরিশাল বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদে সকাল ৮টায়। এ ছাড়া নগরীর কালেক্টরেট জামে মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। দ্বিতীয় জামাত সকাল ৯টায় এবং তৃতীয় ও শেষ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগীয় শহর রংপুরের কাচারিবাজার মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। এ ছাড়া রংপুর কেরামতিয়া জামে মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত সকাল ৮টায় এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামে সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে। দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। এ ছাড়া নগরীর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদে সকাল ৮টায় প্রথম এবং পৌনে ৯টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের মসজিদগুলোতে মসজিদ কমিটির তত্ত¡াবধানে ঈদের জামাতের আয়োজন করা হবে। সিলেট মহানগর এলাকায় হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজার মসজিদে ঈদের ২টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে ৮টা ও সাড়ে ৯টায়। হজরত শাহপরাণ (রহ.) মাজার মসজিদে একটি ঈদের জামাত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। বন্দর বাজারের কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে ৪টি ঈদ জামাত। এগুলো হবে সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টা ও ১০টায়। একই এলাকায় কালেক্টরেট জামে মসজিদে ২টি ঈদের জামায়াত হবে। সকাল সাড়ে ৮টা ও সাড়ে ৯টায়। সিলেট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঈদের একটি জামাত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। এ ছাড়া রাজশাহী নগরীর হযরত শাহ মখদুম (রহ.) দরগাহ মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। এখানে ঈদের দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল ৯টায়। এছাড়া নগরীর রানীবাজার জামে মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে। বিভাগীয় এসব মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করবেন বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা। আজ থেকে চার হাজার বছর আগে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য হজরত ইবরাহিম (আ.) তার ছেলে হজরত ইসমাইলকে (আ.) কুরবানি করার উদ্যোগ নেন। কিন্তু আল্লাহর কৃপায় ও অপার কুদরতে হজরত ইসমাইলের (আ.) পরিবর্তে একটি দুম্বা কুরবানি হয়ে যায়। হজরত ইবরাহিমের (আ.) সেই ত্যাগের মহিমার কথা স্মরণ করে মুসলিম সম্প্রদায় জিলহজ মাসের ১০ তারিখে পশু কুরবানি করে থাকে। উদ্দেশ্য আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করা। এই ঈদের পর দুই দিন পর্যন্ত (১১ ও ১২ জিলহজ) পশু কুরবানি করার ধর্মীয় বিধান রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App