শহিদুলকে দুদিন আগেই তুলে নিয়েছিল কালোমাইক্রো
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২০, ০১:১৯ এএম
শহিদুল ইসলাম
পল্লবী থানা
রাজধানীর পল্লবী থানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামির মধ্যে শহিদুল ইসলামকে নিয়ে ধূম্রজাল তৈরি হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, শহিদুল শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদত বাহিনীর সহযোগী। তবে পরিবার দাবি করছে, শহিদুল যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। নেতৃত্ব আর রাজনৈতিক আধিপত্য সম্পর্কিত ঘটনার বলি।
পল্লবী থানায় বিস্ফোরণে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার শহিদুল মিরপুরের স্থানীয় বাসিন্দা। বাউনিয়ায় তাদের বাসা। তার ভাই রফিকুল একজন সেনাসদস্য। রফিকুল জানান, তিনি ছুটিতে ফিরেই তার ভাইকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়ার কথা জানতে পারেন। গেল ২৭ জুলাই দিনে দুপুরে বাউনিয়ার একটি চায়ের দোকান থেকে কালোমাইক্রোবাসে করে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
শহিদুল ইসলামকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ রফিকুলের সংগ্রহে রয়েছে। সেইদিনই পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। সেই সঙ্গে অভিযোগ দেয়া হয় র্যাবের কাছেও।
[caption id="attachment_234701" align="aligncenter" width="700"] পল্লবী থানা[/caption]তবে পুলিশের দাবি, ২৮ জুলাই দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালশী কবরস্থান এলাকা থেকে শহিদুলসহ সন্ত্রাসী রফিকুল ইসলাম ও মোশাররফ হোসেনকে আটক করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয় দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, চার রাউন্ড গুলি ও বিস্ফোরকভর্তি ওজনযন্ত্র। পল্লবী থানার মধ্যে রাখা সেই ওজনযন্ত্রটি কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিস্ফোরিত হয়। এতে ৪ পুলিশ সদস্যসহ ৫ জন মারাত্মকভাবে আহত হন।
শহিদুলের ভাই রফিকুলের দাবি, তার ভাই যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এলাকায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কিংবা মিছিল মিটিংয়ে যোগ দিতেন। তবে নেতৃত্ব আর আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল এলাকায়। সেজন্য তাকে সন্ত্রাসী বানানো হতে পারে। তবে শহিদুল কোনোভাবেই সন্ত্রাসী নয়।
এদিকে, পল্লবী থানা কম্পাউন্ডের ভেতরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) দায় স্বীকার করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বুধবার (২৯ জুলাই) রাতে সাইট ইন্টেলিজেন্স তাদের টুইটার ও নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে ঢাকার পুলিশ কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলছেন, এই বিস্ফোরণের সঙ্গে কোনো ধরনের জঙ্গি সম্পৃক্ততা।