চলতি অর্থবছরের (২০২০-২১) জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতিকে নতুন মুদ্রানীতি পুঁজিবাজার সহায়ক উল্লেখ করে স্বাগত জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। করোনা ভাইরাস মহামারীতে দেশের অর্থনীতিকে পুনরুদ্বারের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এমন অভূতপূর্ব, সহজ এবং বিচক্ষণ মুদ্রানীতির ফলে পুঁজিবাজারসহ দেশের অর্থনীতি অতিদ্রুত পুনরুদ্ধার হবে বলে মনে করছে ডিএসই।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের প্রকাশনা ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোঃ শফিকুর রহমান সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞিপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন মুদ্রানীতি পুঁজিবাজার সহায়ক। এ মুদ্রানীতির মাধ্যমে পুঁজিবাজারের প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সমর্থন প্রকাশ পেয়েছে, যা বাজার সম্প্রসারণ ও গতিশীলতায় ভূমিকা রাখবে।

এর আগে গত বুধবার (২৯ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, নতুন মুদ্রানতি সম্প্রসারণমূলক ও সংকুলানমুখী। এই মুদ্রানীতিতে বাণিজ্যিক ব্যাংক তথা অর্থনীতিতে মুদ্রার সরবরাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ডিএসইর প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে, ঘোষিত মুদ্রানীতিতে প্রথমবারের মতো পুঁজিবাজারকে বিশেষ গুরুত্বারোপ করে যুগপোযোগি ও বিনিয়োগ বান্ধব নীতি নেয়া হয়েছে। পুঁজিবাজারে তারল্য বাড়ানো ও মানসম্পন্ন কোম্পানি তালিকাভুক্তির প্রয়াসকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ ব্যাংককে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছে। ঘোষিত মুদ্রানীতিতে পুঁজিবাজারের প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সমর্থণ পুঁজিবাজারের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন তথা সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ডিএসইতে বৈশ্বিক পোর্টফোলিওর অংশীদারিত্ব এবং বাণিজ্য ও আর্থিক অংশগ্রহণ বাড়ানোর কারণে বেশ কয়েক বছর ধরে বিশ্বব্যাপী ইক্যুইটি মার্কেট এবং ডিএসই’র মধ্যে সুসংগত অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু বর্তমান করোনা মহামারিতে সে অবস্থান কিছুটা বাধাগ্রস্থ হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজারের তারল্য বাড়ানোর মাধ্যমে গতিশীল করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছে। এসব উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে- পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা শিথিল করা, বর্তমান বিনিয়োগ সীমার বাইরে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগের জন্য ব্যাংক প্রতি ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন, ব্যাংকের জন্য নতুন লভ্যাংশ বিতরণ নীতিমালা (লভ্যাংশ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত এর মধ্যে ১৫ শতাংশ নগদে দেয়া, দীর্ঘমেয়াদী রেপো এবং অন্যান্য তারল্য বাড়ানোর নীতিমালা গ্রহণের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে তহবিল পরিচালনা করার কাজটি সহজ করা। এ সব উদ্যোগ নেয়ার মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ আকর্ষণ জোরদার করার বিষয়ে গুরুত্বারোপকে ডিএসই অভিনন্দন জানায়।