বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চালু হয়েছে করোনা বিষয়ক গবেষণা ইউনিট। বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যানেসথেশিয়া, এ্যানালজেশিয়া এন্ড ইনটেনিসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগ ও যুক্তরাজ্যের ওয়েলসের হাইওয়েল দা ইউনিভার্সিটি হেলথ বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে কেবিন ব্লকের আইসিইউতে ৪টি বেড নিয়ে এই গবেষণা ইউনিট চালু হয়।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ব্লকের অধ্যাপক সামাদ সেমিনার হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই গবেষণা ইউনিটের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, এ্যানেসথেশিয়া বিভাগের অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, অধ্যাপক ডা. দেবাশিস বনিক, অধ্যাপক ডা. এ কে কামরুল হুদা প্রমুখ।

গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি অনুদান হিসেবে দিয়েছে যুক্তরাজ্যের ওয়েল গভার্নমেন্ট। বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছে বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন, ইউকে; বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশী বংশদ্ভূত ব্রিটিশ চিকিৎসকরা।

প্রাথমিকভাবে ৫০ জন রোগীর উপর গবেষণা কর্মটি পরিচালিত হবে। এই গবেষণার বিষয় হল নতুনভাবে তৈরিকৃত নন ইনভেনসিভ ভেন্টিলেটর সিটেক্স ডব্লিউজি সেভেন সিপাপ ডিভাইস বা যন্ত্রটি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য কতটা কার্যকরী ও করোনায় আক্রান্ত রোগীদের থেকে কি পরিমাণ ভাইরাস বাইরে বের হয় তা নিরূপণ করা। গবেষণায় প্রধান গবেষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এ্যানেসথেশিয়া বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ কে এম আখতারুজ্জামান। গবেষকদের মধ্যে আরো রয়েছেন-অধ্যাপক ডা. মুজিবুর রহমান, অধ্যাপক কেয়ার লিউস, ডা. রিজ থমাস, ডা. সোহেল মুসা মিঠু।

অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, এই গবেষণা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ও সেবাদানকারী চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচিত হবে বলে আমার বিশ্বাস। যেকোনো ভাইরাস সংক্রমণের পর ভাইরাল লোড ও ভাইরাসটির এগ্রেসিভনেসের উপর নির্ভর করে রোগীর জীবন কতটা সঙ্কটাপন্ন। আশা করি, এসকল বিষয় নির্ণয়েও এই গবেষণা ইউনিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।