×

সারাদেশ

পদ্মার গর্ভে আরো দুটি স্কুল ভবন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২০, ০৯:৩৮ এএম

পদ্মার গর্ভে আরো দুটি স্কুল ভবন

পদ্মার ভাঙনে বিলীন হলো শরীয়তপুরের নড়িয়ার বসাকের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি -ভোরের কাগজ

পদ্মার ভাঙনে শরীয়তপুরের নড়িয়া ও মাদারীপুরের শিবচরে ২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নিচে এ সম্পর্কে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর শরীয়তপুর : পদ্মার প্রবল  স্রোতে জেলার নড়িয়া উপজেলার চরাত্রা ইউনিয়নের বসাকেরচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ১ তলা ভবন বিলীন হয়ে গেছে। সর্বনাশা পদ্মা নিয়ে গেছে ওই এলাকার আরো ৫০ বসতবাড়ি। এছাড়া গত ১২ দিনে ৪টি মসজিদ ও একটি নুরানি মাদ্রাসাসহ জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলার ৪৯৮টি বসতবাড়ি পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উজানের পানি নামতে শুরু করার পর থেকেই পদ্মাবেষ্টিত জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর ২টার দিকে নড়িয়া উপজেলার চরাত্রা ইউনিয়নের বসাকেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ তলা একটি পাকা ভবন চলে গেছে পদ্মার গর্ভে। ৩০ গজ দূরত্বে থাকা দ্বিতলা অন্য স্কুল ভবনটিও যে কোনো সময় গ্রাস করবে পদ্মা। পদ্মার দুর্গম চরাঞ্চলের শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে ১৯৪২ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় ভবনটিও নদীগর্ভে বিলীন হলে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে ৩৭৫ জন শিশুর শিক্ষাজীবন। বিলীন হওয়া ভবনটি ২০১৬ সালে ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল। এদিকে স্রোতের তোড়ে গতকাল চরাত্রা ইউনিয়নের বসাকের চরের ৫০টি বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়ন্তী রুপা রায় বলেন, পদ্মার প্রবল স্রোতে বসাকেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একতলা একটি পাকা ভবন পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়েছে। ৩০ গজ দূরত্বে থাকা অন্য দ্বিতল ভবনটিও রয়েছে ভাঙন ঝুঁকিতে। জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, ওই সব শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালু রাখার জন্য ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ ও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। শিবচর (মাদারীপুর) : পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে তীব্র স্রোতে অব্যাহত থাকায় মাদারীপুরের শিবচরের বিভিন্ন এলাকায় নদীভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। পদ্মার ভাঙনে চরাঞ্চল কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের একটি ৩ তলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টার ভবন নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এখনো পানিবন্দি রয়েছে হাজার হাজার পরিবার। গত ২৪ ঘণ্টায় শিবচরে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদে অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি পেয়ে তীব্র স্রোতে অব্যাহত থাকায় নদী ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে ৭ ইউনিয়নে। পদ্মা তীরবর্তী উপজেলা বন্দরখোলা, কাঁঠালবাড়ী ও চরজানাজাতে নদী ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনে মঙ্গলবার বিকালে কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের ৭৭নং কাঁঠালবাড়ী সরকারি বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টার ভবনটির বৃহৎ অংশ বিলীন হয়েছে। বিদ্যালয়টিতে ২৭২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা আক্তার বলেন, বিদ্যালয়টি ভাঙনের ফলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া নিয়ে চিন্তায় আছি। খুবই কষ্ট লাগছে। এদিকে পদ্মা নদীর ভাঙনে কয়েক দিন আগে বন্দরখোলা ইউনিয়নে একটি ৩ তলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন, কাজীর সূরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App