অতি সম্প্রতি এনটিআরসিএর নতুন চেয়ারম্যান যোগদান করেছেন। তাই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অতিসত্ত্বর গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হোক। করোনাকালে থমকে যাওয়া চাকরির বাজারে সারাদেশের বেকারদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের এখনই সময়।

লাখ লাখ শিক্ষক নিবন্ধন সনদধারী এনটিআরসিএর (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ) গণবিজ্ঞপ্তির আশায় দিন পার করছেন। গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নিমিত্তে সারাদেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করে ‘এনটিআরসিএ’। সূত্র মতে, প্রায় ৬০ হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কথা ছিল ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে।

অতঃপর প্রায় চার মাসেরও বেশি সময় চলে গেছে কিন্তু এখনো গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি এনটিআরসিএ। এনটিআরসিএর গণবিজ্ঞপ্তির অপেক্ষায় আছে লাখ লাখ নিবন্ধনধারী চাকরিপ্রত্যাশী। কেননা গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই কেবল চাকরিপ্রত্যাশীদের আবেদনের প্রতিযোগিতার পালা শেষে ‘সোনার হরিণ’ নামক সেই কাক্সিক্ষত চাকরি মিললেও মিলতে পারে! প্রশ্ন হলো, নিবন্ধন সনদধারী বেকার চাকরিপ্রত্যাশীদের অপেক্ষার পালা শেষ হবে কবে? ‘এমপিও নীতিমালা’ অনুযায়ী বয়স ৩৫ বছর পেরিয়ে গেলে বা ৩৫-এর বেশি বয়সীরা আসন্ন গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারবেন না। দুঃখের সংবাদ, গণবিজ্ঞপ্তি না হওয়ায় ইতোমধ্যে শত শত মেধাবী শিক্ষক নিবন্ধনধারী গত কয়েক মাসে বয়স ৩৫ অতিক্রম করে ফেলেছেন। ফলে আসন্ন গণবিজ্ঞপ্তিতে তারা আর আবেদন করতে পারবেন না।

প্রতিটি দিন যাচ্ছে আর এভাবে বহু মেধাবী নিবন্ধনধারীর কপাল পুড়ছে। তাই গণবিজ্ঞপ্তি নিয়ে কালক্ষেপণ করা হলে তা হবে বেকার চাকরিপ্রত্যাশীদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল! মেধাবী শিক্ষক নিবন্ধন সনদধারীরা শিক্ষক হওয়ার সব যোগ্যতা অর্জন করেও আর কতকাল অপেক্ষা করবে? বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মেধাবী শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা মুক্তি চায়। অতি সম্প্রতি এনটিআরসিএর নতুন চেয়ারম্যান যোগদান করেছেন। তাই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অতিসত্ত্বর গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হোক। করোনাকালে থমকে যাওয়া চাকরির বাজারে সারাদেশের বেকারদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের এখনই সময়।

সূত্রাপুর, ঢাকা। [email protected]