×

মুক্তচিন্তা

কুরবানির বর্জ্য অপসারণে সচেতনতা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২০, ০৮:৫৭ পিএম

এবারের পবিত্র ঈদুল আজহায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কুরবানি করবেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, কুরবানির পর বর্জ্য অপসারণ পদ্ধতি অনেকেই জানেন না, অনেকে জেনেও তা পালন করেন না। কেউবা আবার থাকেন সম্পূর্ণ উদাসীন। অথচ এই বর্জ্য যদি যথাযথভাবে অপসারণ করা না হয় তাহলে জনজীবন ও পরিবেশের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। প্রায়ই দেখা যায়, সচেতনতার অভাবে সাধারণ মানুষ কুরবানির পর পশুর বর্জ্য ড্রেনে ফেলে দেয়। এতে এসব পচে বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়ায়। সেই সঙ্গে মশা-মাছি ও রোগ-জীবাণুর বিস্তার ঘটে এবং পরিবেশের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাছাড়া এখন চলছে বর্ষাকাল। বর্জ্য ড্রেনে ফেললে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতে পারে। ড্রেন উপচে সেই বিষাক্ত নোংরা পানিতে সাধারণ জনজীবন হুমকির মুখে পড়বে। পরিবেশ দূষণের সঙ্গে সঙ্গে বিস্তার করবে ডেঙ্গু মশা। এমতাবস্থায় শুধু কর্তৃপক্ষের জন্য অপেক্ষা না করে প্রত্যেককে ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। প্রতিটি এলাকায় নির্দিষ্ট স্থানে পশু কুরবানি করা যেতে পারে। যদি তা সম্ভব না হয় তবে পশুর উচ্ছিষ্ট অংশ পলিথিন ব্যাগে করে এলাকাভিত্তিক নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলতে হবে যেন তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত অপসারণের ব্যবস্থা নিতে পারে। বর্জ্য অপসারণের পর ওই স্থান জীবাণুনাশক স্প্রে এবং ব্লিচিং পাউডার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে যেন দুর্গন্ধ ও রোগজীবাণু ছড়িয়ে পড়তে না পারে। এই করোনা মহামারির সময়ে আমাদের সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। আসুন নিজে সচেতন হই, অন্যকে সচেতন করি। সুস্থ থাকি, নিরাপদ জীবন গড়ি।

শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App