ডাকাতি শেষে বাবা-মা'র সামনে থেকে ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা। বাঁধা দিতে গেলে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে মেয়েটির পিতাকে। পৈশাচিক এ ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মহিধর গ্রামে।

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, রোববার ( ২৬ জুলাই) মধ্যরাতে মুষলধারে বৃষ্টির সময় মেয়েটির বাড়ির দরজা ভেঙে মুখোশ পরিহিত ৩ যুবক কক্ষে প্রবেশ করে। এ সময় বিদ্যুৎ ছিল না। কিছু বুঝে উঠার আগেই ওই যুবকরা মেয়েটির পিতাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এক পর্যায়ে তার পিতা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

এ সময় মেয়েটির মা এগিয়ে এলে, তাকেও মারপিট করে খাটের সঙ্গে বেঁধে রাখে দুর্বৃত্তরা। পরে ওই কক্ষের আলমারির দরজা খুলে নগদ ২ লাখ টাকা ও দুই ভরি স্বণার্লংকার লুট করে মুখোশ পরিহিত যুবকরা। পার্শ্ববর্তী একটি কক্ষের দরজা ভেঙে ফিল্মিস্টাইলে ৯ম শ্রেণির ছাত্রীকে বাড়ির অদূরে একটি ইউকেলিপটাস্ বাগানে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। এরপর তাকে সেখানে ফেলে রাখা হয়।

সকালে এলাকাবাসী ধর্ষিতা মেয়েটি ও তার গুরুতর অসুস্থ পিতাকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এলাকাবাসীর ধারণা, ঘটনার সঙ্গে এলাকারই লোকজন জড়িত রয়েছেন।

খবর পেয়ে বিকেলে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খাঁন (বিপিএম), সহকারী পুলিশ সুপার উৎপল কুমার ও রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ রাজু সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

সোমবার (২৭ জুলাই) বিকেলে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ রাজু সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় রাজারহাট থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করেনি।