×

জাতীয়

সরকারের ব্যথ্যতায় মানুষের জীবন বিপন্ন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২০, ০৩:৪২ পিএম

বন্যার বিষয়ে সরকারের নীরবতা মানুষকে আতঙ্কগ্রস্থ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (২৭জুলাই) দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, করোনা মোকাবেলায় সরকার যেমন একবারেই ব্যার্থ, চরম উদাসীনতা, অবহেলা ও দূর্নীতির কারনে গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, ঠিক তেমনি বন্যার বিষয়েও সরকারের নীরবতা, নিষ্ক্রীয়তা, মানুষকে আতংক গ্রস্থ করেছে। একজন মন্ত্রীতো বলেই ফেললেন বন্যার বিষয় এতটুকুও চিন্তিত নই।

তিনি বলেন, এই যে প্রতিদিন গণমাধ্যমে আসছে আমরা বন্যার্ত মানুষের আহাজারি, তার অসহায়ত্বের কথা, সহায় সম্বল হারিয়ে সড়কের অথবা বাঁধের ওপরে আশ্রয় নেওয়া, শিশু-সন্তান, বৃদ্ধ পিতা-মাতা নিয়ে খোলা আকাশের নীচে অভুক্ত থাকা - এই বিষয়গুলো তাদের চিন্তিত করে না। তারা তো ধরা ছোয়ার বাইরে। জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহিতা করতে হয় না। করোনা-বন্যা এই সব দুর্যোগ এলে বরঞ্চ তার খুশি হয় - দূর্নীতির নতুন সুযোগ সৃষ্টি হলো বলে। এ সময় অবিলম্বে বন্যা প্রয়োজনীয় ত্রাণের যথাযথ ব্যবস্থার গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

ভারতীয় সীমান্তে প্রতিদিন বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যা করা হলেও সরকার প্রতিবাদ জানাতে সাহস পাচ্ছে না বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, একদিকে কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে অন্যদিকে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমাগত বাংলাদেশের মানুষ চরম দুর্ভোগে। একদিকে করোনা মোকাবেলায় সরকারের চরম ব্যথ্যতা মানুষের জীবন ও জীবিকাকে বিপন্ন করে তুলেছে অন্যদিকে ভারতের উজান থেকে বন্যার পানি নেমে আসাতে মানুষের সম্পদ, বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে যাওয়া, গোবাদী পুশু মৃত্যু, ফসলহানি দেশের মানুষ সীমাহীন কষ্ট ও অর্থনৈতিক অসহায়ত্বের মধ্যে ফেলেছে।

তিনি বলেন, ভারত অভিন্ন নদী গুলোর সকল বাঁধ ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়ায় উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানি, বাংলাদেশে ব্রক্ষ্মপুত্র, যমুনা, মেঘনা, মহানন্দ, পদ্মা, তিস্তা ও ধরলা নদীর অববাহিকায় ৩৪টি জেলা ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে। কয়েকটি জেলা ১ মাসের মধ্যে ২/৩ বার বন্যার পানি উজান থেকে এসে বাড়ি-ঘর, ফসলের ক্ষেত ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।

ফখরুল বলেন, ভারতের সঙ্গে যে অভিন্ন নদী প্রায় ১৫৪টি একমাত্র পদ্মার ফারাক্কা বাঁধ ব্যতীত কোনটারই কোন পানি বণ্টন চুক্তি ভারতের অনীহার কারনে সম্পূণ হয়নি। তিস্তার চুক্তির কথা ফলাও এই সরকার প্রচার করলেও গত এক দশকে কোন চুক্তিই করতে সক্ষম হয়নি অথচ একের পর এক ট্রানজিট, বন্দর ব্যবহার, বিদ্যুৎ ক্রয়সহ অসংখ্য অসমচুক্তি স্বাক্ষর করেছে। অন্যদিকে সীমান্তে প্রায় প্রতিদিন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশীদের গুলি করে হত্যা করছে। সে ব্যাপারেও সরকার কোন কার্যকরী প্রতিবাদ জানাতে সাহস পায়নি। এই সরকারের নতজানু পরারাষ্ট্রনীতি কারনে প্রায় প্রতি বছর বাংলাদেশের নদী অববাহিকায় বসবাসকারী মানুষেরা এই বন্যায় আক্রান্ত হয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে। ভারত বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশন প্রায় নিষ্ক্রীয় হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App