×

সারাদেশ

বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২০, ০৮:৫৯ পিএম

বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

ফাইল ছবি।

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত যাচ্ছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। এ অবস্থায় ঘরবাড়ি ডুবে থাকা বানভাসীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। বন্যা কবলিত এলাকা গুলোতে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, গো-খাদ্য ও শিশু খাদ্যের সংকট তীব্র হয়ে উঠছে।

কষ্ট বেড়েছে, বাঁধ, পাকা সড়ক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেয়া বন্যা দুর্গতদের। দিনে অথবা রাতে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় সবচেয়ে বিপদে পড়েছে উঁচু স্থানে ও রাস্তাঘাটে আশ্রিত দিনমজুর শ্রেণীর মানুষ। হাতে কাজ ও ঘরে খাবার না থাকায় এবং ত্রাণ সহায়তা না পাওয়ায় চরম খাদ্য কষ্টে ভুগছেন দুর্গম চরাঞ্চলের বানভাসিরা।

ঈদ উপলক্ষে সরকারিভাবে পর্যাপ্ত ভিজিএফ চাল এর ব্যবস্থা করা হলেও জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বহীনতা ও খামখেয়ালীপনার কারণে অধিকাংশ মানুষ সেই সরকারি সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। ঈদের পূর্বেই ভিজিএফ চাল বিতরণ করার কথা থাকলেও ২৭ তারিখ পর্যন্ত অধিকাংশ ইউনিয়নে চাল বিতরণ করা হয়নি বলে জানা গেছে। বানভাসি অনেকেই এতো দিন ধারদেনা করে একবেলা খেয়ে দিন পাড় করলেও এখন মিলছে না সে ধারদেনাও। দুর্বিষহ দিন পাড় করছে জেলার ৯ উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের ৪ লক্ষাধিক মানুষ। স্যানিটেশনের সমস্যা বানভাসিদের দুর্ভোগ আরো বাড়িয়েছে দিয়েছে।

উলিপুর উপজেলার চর বগুয়ার এনামুল হক জানান, দীর্ঘদিন হাতে কাজ নেই। তার উপর বন্যা আরো দীর্ঘায়িত হচ্ছে। ঘরের খাবার শেষ হয়ে গেছে। ধার দেনাও আর পাওয়া যায় না। দুইটি বাচ্চা আর স্ত্রীকে খুবই বিপদে আছি। কোন ত্রাণও জুটছে না।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার এবং ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি খুব ধীরগতিতে কমছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App