×

পুরনো খবর

ডুমুরিয়ায় তুঁত ফল সম্ভব

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২০, ০৪:০২ পিএম

ডুমুরিয়ায় তুঁত ফল সম্ভব

ছবি: প্রতিনিধি

ডুুমুরিয়ায় তুঁত ফল চাষ সম্ভব। এক সময় দেশের বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে তুঁত ফলের গাছ দেখা যেতো। এখন একটু কমই দেখা যায়। তুঁত শুনলেই কেমন জানি, রেশম পোকার কথাই মনে পড়ে যায়। তুঁত গাছের পাতা রেশম পোকার প্রিয় খাদ্য। তুঁত গাছের পাতা রেশম মথকে খেতে দেয়া হয়। বাংলাদেশে তুঁত কখনও ফলের জন্য চাষ করা হয় না। যদিও তুঁত ফল দেখতে খুব সুন্দর। উত্তর অঞ্চলে রেশম পোকার জন্যই এর চাষ হয়ে থাকে। তুঁত গাছের পাতা ডিম্বাকার, চমৎকার খাঁজযুক্ত এবং অগ্রভাগ সূঁচাল । ডুমুরিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি বাড়িতে তুঁত চাষ হয়। তবে বাণিজ্যিকভাবে চাষের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ফুল আসে এবং মার্চ-এপ্রিলেই ফল পাকে। তুঁত ফল প্রথম অবস্থায় সবুজ হয়। পরে লাল, সম্পূর্ণ পাকলে কালো রং ধারণ করে। ফল বেরী জাতীয়। ইংরেজিতে মালবেরী বলা হয়ে থাকে। খুব সহজেই ছাদে এর চাষ সম্ভব। অনেকের ছাদেও শোভা পাচ্ছে বাংলার তুঁত বা মালবেরী। তুঁত শালিক, টিয়া, বুলবুলি, টুনটুনিসহ অনেক পাখিদের খুব প্রিয় ফল। পাকা ফল রসালো ও টক-মিষ্টি। ফলগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আকৃতির।

তুঁত ফলের বেশ কিছু ঔষধি গুণও রয়েছে। যেমন- পাকা ফলের রস বায়ু, পিত্ত, কফ ও জ্বরনাশক। তুঁত গাছের ছাল ও শিকড়ের রস কৃমিনাশক। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য পাকা তুঁত ফল বেশ উপকারী। Mulberry গাছের দুই প্রজাতির বৈজ্ঞানিক নাম যথাক্রমে Morus nigra এবং Morus rubra। তবে আফগানিস্তান, উত্তর ও দক্ষিণ ভারত প্রভৃতি স্থানে Mulberry চাষ করা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App