এবার বিক্ষোভ কারীদের সন্ত্রাসী বলছেন ট্রাম্প!
nakib
প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২০, ১২:২৪ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের পোর্টল্যান্ড ও অরিজন রাজ্যের রাস্তায় চলমান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমনে ভারী অস্ত্র ও সাদা পোশাকে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি নিয়ে অবস্থান নিয়েছে সরকারি সংস্থার এজেন্টরা। তবে কোন ধরণের নিয়মনীতি ছাড়া রাস্তায় একনায়কতন্ত্র শাসিত দেশের মতো এভাবে নামহীন সৈন্যদের টহল কল্পনা করা যায় না যুক্তরাষ্ট্রে।
অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আন্দোনকারীদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে তাদেরকে বারবার বাধা প্রদান করছে। তাছাড়া আন্দোলন দমনে বিভিন্ন রাজ্যে আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। ফলে শক্তি প্রয়োগ করে স্বৈরশাসকদের মতো যুক্তরাষ্ট্র আন্দোলন দমনের দিকে হাটছে বলে দেখা যাচ্ছে।
[caption id="" align="aligncenter" width="780"] পোর্টল্যান্ডে নিরাপত্তা কর্মীদের অ্যাকশন[/caption]
কোন ধরণের স্বচ্ছতা ও জাবাবদিহিতা ছাড়াই সামরিক কর্তাদের শক্তি প্রয়োগের বিরোধিতা করছেন কংগ্রেস সদস্য ও স্থানীয় রাজ্য প্রশাসন। মিশরের সরকার বিরোধী আন্দোলন দমনের মতো ট্রাম্প প্রশাসন হাটছে বলে সমালোচনা হচ্ছে। হংকংয়ে বিক্ষোভ করার জন্য যেভাবে আইনের মুখে পড়তে হয় সে অবস্থানে চলে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি।
ফিলিপাইনে সম্প্রতি সরকারবিরোধী আন্দোলন দমন করতে নতুন সন্ত্রাসবিরোধী আইন করা হয়েছে। সবগুলো একনায়ক দেশ তাদের দশে যে কোন আন্দোলন দমনে সরকার সন্ত্রাসবাদ আইনের আশ্রয় নিয়ে থাকে। আন্দোলন কারীদের সন্ত্রাস বলে ট্রাম্প স্বৈরশাসকদের তালিকায় নিজের নাম ওঠাচ্ছেন বলে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।