×

সারাদেশ

বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, কমেছে সচেতনতা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২০, ০৩:২২ পিএম

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলছে। প্রায় প্রতিদিনই নতুন করে শনাক্ত হচ্ছেন করোনা রোগী। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে। এ উপজেলায় মৃতের সংখ্যা ছয়জন। আক্রান্ত ২২৯ জন। অথচ জনসাধারণের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা দিনে দিওন কমছে।

করোনা সংক্রমণ হু হু করে বেড়ে যাওয়ায় সচেতন মানুষের মাঝে চরম উদ্বেগ ও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। মরণব্যাধি এই ভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধির পেছনে স্থানীয় স্বাস্থ্যবিভাগের দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করছেন তারা। তাদের অভিযোগ, মহামারি করোনা শুরু হওয়ার পর থেকেই ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দায়সারা ভাব লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহে অনীহা, আক্রান্তদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা প্রদান না করা, তাদের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন না করা। আক্রান্ত হওয়ার উৎস সম্পর্কে তথ্য গোপন করে লকডাউন ঘোষণা না করা উল্লেখ্যযোগ্য।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল কাদের বলেন, করোনা নিয়ে এই উপজেলায় উদ্বেগ ও শঙ্কার কারণ নেই। করোনা পরীক্ষার জন্য শুক্রবার পর্যন্ত মোট ৮৬২টি নমুনা পাঠানো হয়। এর মধ্যে ২২৯ জনের রির্পোট পজিটিভ এসেছে। তবে এটি স্বাভাবিক। এছাড়া আক্রান্তদের অনেকের শরীরেই তেমন কোনো উপসর্গ নেই। তাই করোনা পজিটিভ হলেই হাসপাতালে নিতে হবে এমন নয়। কেবল যাদের শ্বাসকষ্ট, তীব্র জ্বর, গলাব্যাথা রয়েছে তাদেরই চিকিৎসার প্রয়োজন। অসুস্থ বেশি হলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। আর যাদের তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না, কোন উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না তাদের বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ১৮ মে এই উপজেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। প্রায় আড়াইশ’র কাছে পৌঁছেছে। এরপরও স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের ঘুম ভাঙছে না। বরং তথ্য গোপন করছেন তারা। যেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট জবাবদিহি করতে না হয় তাদের।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত চব্বিশ ঘন্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শেরপুর উপজেলার দুইজন মারা গেছেন। এরমধ্যে একজন নারী রয়েছেন। তার নাম গীতা রানী। আর মারা যাওয়া পুরুষ ব্যক্তির নাম আফতাব হোসেন। এছাড়া গত ১জুলাই পুলিশ কনস্টেবল আবুল কালাম আজাদ, ১৩ জুলাই দলিল লেখক আমজাদ হোসেন, ২ ০জুলাই মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল ইসলাম, ২২ জুলাই পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ মারা যায়।

শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে কাজ করছেন তারা। প্রতিনিয়তই গণসচেতনতা তৈরি করতে প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জরিমানাও আদায় করা হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App