×

সারাদেশ

৪২ বছর পর বাবার জমি পেলেন তিন ভাই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২০, ০৫:০৩ পিএম

৪২ বছর পর বাবার জমি পেলেন তিন ভাই

লাল নিশান উড়িয়ে জমির মালিকানা হস্তান্তর

আদালতের আদেশ অনুযায়ী বগুড়ার ধুনট উপজেলায় প্রায় ৪২ বছর পর ৫৬ শতক পৈত্রিক জমি ফিরে পেলেন তিন ভাই। তারা হলেন উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের পিরহাটি গ্রামের প্রয়াত সুরেন্দ্র নাথ দাসের ছেলে অশোক কুমার দাস, শান্ত কুমার দাস ও পার্থ কুমার দাস। আদালতের আদেশে সরকারের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লাল নিশান উড়িয়ে জমির মালিকানা প্রকৃত মালিকদের বরাবর হস্তান্তর করেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, জমির মালিক সুরেন্দ্র নাথ দাস ১৯৭৮ সালে মৃত্যুর পর মথুরাপুর মৌজায় তার ৫৬ শতাংশ জমি অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে সরকারের মালিকানাভুক্ত হয়। পরবর্তিতে ৫৬ শতক জমি সরকারের নিকট থেকে উজালশিং গ্রামের মৃত কাজী শামছুল বারীর মেয়ে আফরোজা নার্গিস একসনা লিজ নিয়ে ভাগ দখল করেন।

এদিকে সরকার ২০১২ সালে অর্পিত সম্পত্তি অবমুক্তি বিষয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। একই সঙ্গে অর্পিত সম্পত্তি সম্পর্কিত একটি ট্রাইবুন্যাল গঠিন করা হয় এবং তাতে বলা হয়, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন বিষয়ে যদি কোনো প্রকৃত ওয়ারিশ থেকে থাকেন তবে তারা প্রকৃত ওয়ারিসনের কাগজপত্র দাখিলপূর্বক ওই জমির মালিকানা চেয়ে ট্রাইবুন্যালে মামলা করতে পারবেন। এরই প্রেক্ষিতে সুরেন্দ্র নাথ দাসের তিন ছেলে নিজেদের ওয়ারিশনের কাগজপত্রসহ বগুড়ায় অর্পিত সম্পত্তি ট্রাইবুন্যালে মামলা দায়ের করেন।

বিচারে রাষ্ট্র বিবাদিপক্ষ হেরে যায়। পরে উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল মোকাদ্দমা করেন। সেখানেও ট্রাইবুন্যালের বিজ্ঞ বিচারক বাদিপক্ষে রায় প্রদান করেন। এতে করে ২০২০ সালের ৯ মার্চ আদালতের আদেশে ওই জমি অর্পিত ক তালিকা হতে অবমুক্ত হয়। একই সাথে প্রকৃত মালিকদের জমি বুঝে দেওয়ার জন্য আদেশ দেন আদালত। এরই প্রেক্ষিতে ২২ জুলাই প্রকৃত মালিকদের জমি বুঝে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে আফরোজা নার্গিস বলেন, ২১ জুলাইয়ের মাধ্য জমির দখল ছেড়ে দেওয়ার জন্য উপজেলা ভুমি অফিস থেকে একটি নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্ত অতি বর্ষণের কারণে সরেজমিন জমিতে যাওয়া সম্ভব হয়নি। আমার অনুপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কি ভাবে বাদীপক্ষকে জমি বুঝে দিলেন তা জানা নেই।

জমির প্রকৃত মালিক অশোক, শান্ত ও পার্থ কুমার দাস জানান, আদালতের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আদালত সব সময় সত্যের পথে। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দীর্ঘদিন পর পৈত্রিক সম্পত্তি বুঝে পেয়ে আমরা খুশি।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, আদালতের আদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অশোক, শান্ত ও পার্থ দাসকে তাদের পৈত্রিক ৫৬ শতক সম্পত্তি বুঝে দেওয়া হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App