×

সারাদেশ

বন্যা পরিস্থিতির ফের অবনতি উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২০, ১০:০১ এএম

বন্যা পরিস্থিতির ফের অবনতি উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে

পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে তৃতীয়বারের মতো বন্যায় দুর্ভোগে রয়েছে পানিবন্দি মানুষ। বন্ধ রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। সুনামগঞ্জের পৌর শহরের কাজির পয়েন্ট এলাকার ২২ জুলাইয়ের দৃশ্য -ভোরের কাগজ

বন্যা পরিস্থিতির ফের অবনতি হয়েছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে। ১৬ জেলায় ১৭টি নদীর পানি ২৮ পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেটে মঙ্গলবার দিনভর চলতে থাকা হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল বুধবার পর্যন্ত। এতে ফের প্লাবিত হয়েছে সিলেটের বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল। টানা বৃষ্টিপাত ও ভারতের পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে সুনামগঞ্জে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। এত বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। দফায় দফায় বন্যার কবলে পড়ে চরম দুর্ভোগে দিন কাটছে জামালপুরের প্রায় ১০ লাখ বানভাসি মানুষের। গাইবান্ধার সব নদীর পানি পুনরায় দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। শরীয়তপুরে বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। রাজবাড়ীতে গত দুদিন ধরে পদ্মা নদীর পানি কমলেও উন্নতি হয়নি বন্যা পরিস্থিতির। নীলফামারীর ডিমলায় আবারো তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শেরপুরে বিপদসীমার নিচে দুই নদীর পানি। নেত্রকোনার কলমাকান্দায় তৃতীয় দফায় আবারো বন্যা হানা দিয়েছে। নওগাঁর পোরশায় পুনর্ভবা নদীর পানি বেড়ে ১৯ বাড়িসহ ২০ হেক্টর আউশ ধান তলিয়ে গেছে। এ সম্পর্কে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্ট-

সিলেট : কয়েকদিনের বিরতি দিয়ে সিলেটে ফের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। মঙ্গলবার দিনভর চলতে থাকা হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল বুধবার পর্যন্ত। এতে ফের প্লাবিত হয়েছে সিলেটের বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল। সুরমা, কুশিয়ারাসহ পানি বেড়েছে প্রায় সবকটি নদ-নদীর। আর এতে বন্যা পরিস্থিতি দুদিনেই ফের পূর্বের অবস্থায় ফিরে গেছে। সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, বুধবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৭১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, আর সিলেট পয়েন্টে রয়েছে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপরে। কুশিয়ারা নদীর পানি শেওলা, আমলসিদ ও শেরপুর পয়েন্টে বিপদসীমার নিচে থাকলেও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে পানি বাড়লেও বিপদসীমার নিচে রয়েছে লোভা, ধলাই ও গোয়াইনঘাটের সারি নদীর পানিও। তবে বুধবার পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে তিন নদীতেই। এতে ফের প্লাবিত হয়েছে গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ, জকিগঞ্জ ও সিলেট সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল। তৃতীয় দফা বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন উল্লেখিত উপজেলাগুলোর প্রায় দুই লাখ মানুষ।

গাইবান্ধা : ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে গাইবান্ধার সব নদীর পানি পুনরায় দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। এর আগে গত কয়েক দিন ধরে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় বন্যাকবলিত সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘরবাড়ি থেকে পানি কমতে শুরু করেছিল। কিন্তু নতুন করে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারো ওই সব বাড়িতে পানি উঠতে শুরু করেছে। ফলে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। গত মঙ্গলবার বিকাল ৩টা থেকে বুধবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রের পানি তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে ৮ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৭১ সে.মি. এবং ঘাঘট নদীর পানি এ সময় গাইবান্ধা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ১১ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫১ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। অপরদিকে করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জের কাঁটাখালী পয়েন্টে ২৪ ঘণ্টায় ২৭ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৮ সে.মি. উপর দিয়ে বইছে। এছাড়া তিস্তা নদীর পানি ২৪ ঘন্টায় ১৬ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এ নদীর পানি এখনো বিপদসীমার নিচে রয়েছে। এদিকে করতোয়া নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ী, তালুককানুপুর ও হরিরামপুর ইউনিয়ন এবং পৌরসভার বেশ কিছু এলাকায় পানি ঢুকে পড়ে ঘরবাড়ি নিমজ্জিত হয়েছে। অপরদিকে পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ি ও হোসেনপুর ইউনিয়নের নিচু এলাকাগুলো ডুবে গেছে।

সুনামগঞ্জ : টানা বৃষ্টিপাত ও ভারতের পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে সুনামগঞ্জে তৃতীয়বারের মতো বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। বন্যা পরিস্থিতি আবারো অবনতিই নয়, শুধু ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যার কারণে এক মাসের ভেতরে তৃতীয় দফায় আবারো সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।

কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি ফের বাড়ছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হচ্ছে। প্রায় ২৬ দিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় থাকা মানুষের মাঝে নতুন করে বন্যা আতঙ্ক বিরাজ করছে। বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় অন্তত চার লাখ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে তিস্তার পানির প্রবল স্রোতে রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের বুড়িরহাট এলাকায় ক্রস বাঁধের ৬৫ মিটার পানিতে ভেসে গেছে। ভাঙন দেখা দিয়েছে রাজারহাটের বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের রতিরাম এলাকার ক্রস বাঁধেও । এতে করে ওই দুই ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রাম তিস্তা নদীর ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে। গত ৫ দিন ধরে জিও ব্যাগ ও বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চালাচ্ছে পাউবো।

রাজবাড়ী : রাজবাড়ীতে গত দুদিন ধরে পদ্মা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে উন্নতি হয়নি বন্যা পরিস্থিতির। এখনো পদ্মা নদীর তিনটি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপরে অবস্থান করছে। বুধবার সকাল ৬টায় পদ্মা নদীর পানি দৌলতদিয়া পয়েন্টে ১ সে.মি. কমে বিপদসীমার ১০৪ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এখনো পানিবন্দি রয়েছেন বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ। শরীয়তপুর : শরীয়তপুরে বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এতে শরীয়তপুরের নড়িয়া, জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানির নিচে তলিয়ে গেছে অনেক ফসলি জমি। পানিবন্দি মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশুর বাসস্থান ও খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। অনেকে তাদের গবাদিপশু নিয়ে উঁচু রাস্তা ও ব্রিজে আশ্রয় নিয়েছেন। কিছু কিছু এলকায় দেখা দিয়েছে পানীয় জলের সংকট। ইতোমধ্যে ঢাকা-শরীয়তপুর মহাসড়কের কয়েক জায়গা তলিয়ে যাওয়ায় এই রুটে ঢাকা-শরীয়তপুরের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এখনো এই রুটে মোটরসাইকেল, সিএনজি, ইজিবাইকসহ ছোট ছোট কিছু যানবাহন চলাচল করলেও অব্যাহতভাবে পানি বৃদ্ধি পেলে যে কোনো সময় জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলার যোগাযোগের প্রধান সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে দুই উপজেলার সড়ক যোগাযোগ। বুধবার সকালে সুরেশ^র পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

জামালপুর : দফায় দফায় বন্যার কবলে পড়ে চরম দুর্ভোগে দিন কাটছে জামালপুরের প্রায় ১০ লাখ বানভাসি মানুষের। যমুনার পানি বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে এখনো বিপদসীমার ৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় চারদিকে শুধু পানি আর পানি। তলিয়ে আছে বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট, ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। প্রায় এক মাসেও বাড়ি ফিরতে না পারায় শুকনো খাবার, খাবার পানি ও গো-খাদ্যের সংকটে পড়েছে কর্মহীন দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষসহ নিম্ন আয়ের লাখো পরিবার। তাদের ভাগ্যে মাত্র ৮-১০ কেজি চাল ছাড়া আর কিছুই জোটেনি। আবার ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে অনেক পরিবারের। স্থানীয় প্রশাসনের অপ্রতুল ত্রাণ সহায়তায় আর অর্থ সংকটের কারণে এক বেলা খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে অনেক দিনমজুর পরিবারকে। তবে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. নায়েব আলী জানিয়েছেন, বন্যার্তদের দুর্ভোগ কমাতে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হবে। এদিকে সরিষাবাড়ীতে বন্যার পানিতে ডুবে স্নেহা আক্তার নামে ২ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বন্যায় পানিতে ডুবে পুরো জেলায় নারী, শিশু ও মুক্তিযোদ্ধাসহ ২০ জনের মৃত্যু হয়।

শেরপুর : শেরপুরে বিপদসীমার নিচে নেমে এসেছে দুটি নদীর পানি। এর আগে অতিবর্ষণে টানা দুই দিন সদর উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র ও নালিতাবাড়ীতে চেল্লাখালী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, সদর উপজেলায় বন্যার পানি বাড়ায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী ৪টি ইউপির ৩০টি গ্রাম, জেলার শ্রীবরদী উপজেলার দুটি ইউপির ১৪টি গ্রাম এবং নালিতাবাড়ীর ৪টি ইউপির ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া নকলার ৫টি ইউপির ৪০টি গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এ অবস্থায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়। এছাড়া এখনো পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন লাখো মানুষ। আর এ পর্যন্ত বন্যার পানিতে ডুবে এক নারীসহ তিনজন মারা গেছেন।

কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) : নেত্রকোনার কলমাকান্দায় তৃতীয় দফায় আবারো বন্যা হানা দিয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় দফার বন্যার রেশ না কাটতেই কয়েক দিনের ব্যবধানে অতিবৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল এবং পার্শ্ববর্তী জেলা সুনামগঞ্জের পানি আসার কারণে কলমাকান্দায় উব্দাখালী নদীর পানি ৬০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৫ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উব্দাখালীর পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও বাড়ছে। এতে নদী তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চল ফের প্লাবিত হয়েছে। প্রায় ৫০টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

শিবচর (মাদারীপুর) : পদ্মা ও আড়িয়ালখাঁ নদে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থেকে শিবচরের বিভিন্ন এলাকায় নদীভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। নদীভাঙন আশ্রয়কেন্দ্রের কাছে চলে আসায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে আশ্রিত ও তাদের মালামাল, গবাদিপশু। এখনো পানিবন্দি রয়েছে হাজার হাজার পরিবার। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে শিবচরের পদ্মায় ৫ সে.মি. ও আড়িয়ালখাঁয় ৬ সে.মি.।

ডিমলা (নীলফামারী) : নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তার পানি আবারো বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে তিস্তা অববাহিকায় নতুন করে বন্যা দেখা দিয়েছে। বুধবার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল এবং পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

পোরশা (নওগাঁ) : প্রবল বর্ষণে পুনর্ভবা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত দুদিনে নওগাঁর পোরশার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। প্রবল বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের জেলেপাড়ার অন্তত ১৯টি বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। এসব বাড়িতে বসবাসরত পরিবারের লোকজন স্থানীয় নিতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App